মরিয়া: পেশির শক্তি বাড়াতে ক্রসবার ধরে ঝুলছেন সনি। সোমবার মোহনবাগান অনুশীলনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ফুটবল নয়। তার বদলে ডার্বির ছয় দিন আগে মোহনবাগান মাঠে দিপান্দা ডিকা, সনি নর্দেরা সাতসকালে ব্যস্ত ডাম্বেল, বারবেল নিয়ে!
সোমবার সকালে এমন দৃশ্যেরই দেখা মিলল মোহনবাগান মাঠে। দরজায় কড়া নাড়ছে বড় ম্যাচ। তার আগে সবুজ-মেরুন শিবিরের কোচ খালিদ জামিল এ দিন ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিলেন। আগামী রবিবার ডার্বি। সেই ম্যাচের আগে ধাপে ধাপে এগোচ্ছেন মোহনবাগানের মুম্বইকর কোচ। রবিবার দলকে সেট-পিস অনুশীলন করিয়েছিলেন। এ দিন করালেন শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অনুশীলন। শুধু তাই নয়, সোমবার থেকেই খালিদের নির্দেশে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ হয়ে গেল কিংসলে ওবুমনেমে, হেনরি কিসেক্কাদের। যার অর্থ ধীরে ধীরে বড় ম্যাচের আবহে দলকে নিয়ে যাচ্ছেন খালিদ জামিল।
অনুশীলনের পরে মোহনবাগান কোচ যদিও ডার্বির প্রসঙ্গ মুখে আনেননি। তিনি বলেন, ‘‘লম্বা লিগে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে পারফরম্যান্স করতে হলে, শারীরিক সক্ষমতার শীর্ষে থাকতে হবে। ডার্বি ম্যাচের আগে কয়েক দিন বিশ্রাম পাওয়া গিয়েছে। তাই কিছু কিছু জায়গা মেরামত করে নিচ্ছি।’’
খালিদ এর বেশি কিছু না বললেও তাঁর দলেরই কারও কারও মত, ডার্বিতে ফুটবল বুদ্ধির পাশাপাশি, ইস্টবেঙ্গলের দুই বিদেশি স্টপার জনি আকোস্তা ও বোরখা গোমেস পেরেসের শক্তির সঙ্গেও মোকাবিলা করতে হবে ডিকা, সনিদের। রক্ষণে কিংসলেদের লড়তে হতে পারে খাইমে সান্তোস কোলাদো, টোনি দোভালে-সহ এ দিনই কলকাতায় আসা এনরিকে এসকুয়েদাদের সঙ্গে। সেখানে যাতে শক্তিতে মার না খেতে হয়, তাই হয়তো খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত ফিটনেসেও শান দিয়ে রাখছেন মোহনবাগানের মুম্বইকর কোচ। ফুটবলারদেরও দেখা যায়, মাঠে কোচের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানতে।
জ্বর হওয়ায় এ দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি শিল্টন পাল। তিনি ড্রেসিংরুমেই ছিলেন। মোহনবাগান কোচ বলছেন, ‘‘এখনও পাঁচ দিন হাতে রয়েছে। ডার্বির জন্য সবাইকে পরখ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy