বিপন্ন: স্টোকসের ক্রিকেট জীবনই এখন অনিশ্চিত। ফাইল চিত্র
অ্যাশেজ তো বটেই, তাঁর গোটা ক্রিকেট জীবন বিপন্ন কি না, এখন বোধহয় তা-ই ভাবতে বসেছেন বেন স্টোকস। ব্রিস্টলে পানশালায় মারপিট করে এক তরুণের মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তাঁর অপরাধ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই পুলিশ ও ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের। এই ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে স্টোকস ও ওই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে থাকা অ্যালেক্স হেলসকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে ইসিবি।
ফুটেজে দেখা গিয়েছে স্টোকস এমন জোরে ঘুসি মেরেছেন যে, তরুণটি সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয় আহত হওয়ার পরেই। ওই এক ঘুসির পরেই যে তাঁর ক্রিকেট জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি স্টোকস। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘ডেইলি মেল’ জানাচ্ছে, তিনি এখন দলের সতীর্থদের মোবাইলে ‘টেক্সট’ পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু দলের ভাইস ক্যাপ্টেনের মানসিক স্থিরতা নিয়ে তাঁদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এক সিনিয়র ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘‘ও কী করে এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবে, সেটাই বুঝতে পারছি না’’। শুধু ক্রিকেট মাঠ থেকেই যে বার করে দেওয়া হচ্ছে স্টোকসকে, তা নয়, তাঁর স্পনসররাও এই ঘটনার পরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তাঁর দিক থেকে। তাঁর ব্যাট ও ক্রিকেট সরঞ্জাম এত দিন স্পনসর করত যারা, সেই সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর ইংরেজ ক্রিকেট তারকার সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি রাখছেন না। এই চুক্তি থেকে বছরে দু’লক্ষ পাউন্ড আয় হত তাঁর।
আরও পড়ুন: জিএসটি নিয়ে ভাজ্জির মজার টুইট
কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পরে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, স্টোকসের অন্য স্পনসররাও না একই রাস্তায় হাঁটে। ইংরেজ কোচ ট্রেভর বেইলিস, যিনি শ্রীলঙ্কার টিম বাসে জঙ্গি হানার সময়ও তাদের কোচ ছিলেন, তিনি বলছেন, ‘‘সেই ঘটনার পরে আমাকে এই ঘটনা সামলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। দলের উপর যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, এটাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy