শনিবার আই লিগ চ্যম্পিয়নশিপ জিতে দলের সঙ্গে সুনীল ছেত্রী।— নিজস্ব চিত্র।
এএফসি কাপ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর ফুটবলার জীবনের বৃত্তটা পূর্ণ হবে না। জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। রবিবার শিলিগুড়ি থেকে আইলিগ ট্রফি নিয়ে ফেরার আগে হোটেলের লবিতে দাঁড়িয়ে তাঁর আক্ষেপের কথা শোনালেন সুনীল। ফুটবলার হিসেবে ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছেন, ভাইচুংকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা হয়েছেন, বিদেশের ক্লাবেও খেলেছেন, খেলার মাঠে এখনও কিছু না পাওয়া যদি থেকে থাকে, তা হলে তা ওই কাপটি।
তবে ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও রাজনীতি নিয়েও সচেতন সুনীল। ভাইচুং এই কেন্দ্র থেকেই দাঁড়িয়েছেন, জানেন কী? সুনীল জানালেন, সে কথা তিনি জানেন। শুধু ভাইচুং নয়, দীপেন্দু বিশ্বাস ও রহিম নবিকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা নিজেদের এই ভূমিকাতেও সফল হবেন বলে মনে করি। ওঁদের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।’’ তবে তাঁদের শুভেচ্ছা জানালেও নিজে রাজনীতিতে নামবেন না বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমার এখনও ফুটবলার হিসেবে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এতে আমি খুশি। রাজনীতিতে নামার কোনও ইচ্ছে নেই।’’ তবে খেলা ছাড়ার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও এক জায়গায় অ্যাকাডেমি তৈরির ব্যপারে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে। এ ব্যাপারে ভাইচুংও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন শুনে তিনিও তাঁকে সাহায্য করতে পারেন বলেও জানান। এমনিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বলে মোহনবাগানের কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘার হার খুব একটা গায়ে মাখছেন না বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা। টিম হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে গোটা দল কাপ নিয়ে ছবির আব্দার মেটালেন হোটেল কর্তৃপক্ষের। দেখে মনে হল, হারটাকে রাতের ঘুমের সঙ্গেই মুছে ফেলেছেন।
আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া ছিল না বলে বেশি ক্ষণ কথা বলার অনুমতি পাওয়া গেল না। তবু হোটেল থেকে বের হয়ে টিমবাসে বিমানবন্দরে যাওয়ার টিম বাসে ওঠার মাঝখানে কয়েক মিনিট কথা বলা গেল পরিচয় পেয়ে সুনীল নিজেই এগিয়ে আসায়। এএফসি নিয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানানোর সঙ্গে ফের আইএসএল এবং আইলিগ মিশিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। দেশে একটাই লিগ থাকলে ফুটবলারদের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে তাঁর মত। তিন বছরে দু’বার চ্যাম্পিয়ন ও একবার সেরা হওয়ার কারণ নিয়েও খোলামেলা উত্তর দিলেন। বেঙ্গালুরুর সাফল্যের পিছনে চূড়ান্ত পেশাদারিত্ব ও ক্লাব কর্তাদের সহযোগিতার ফলই পাচ্ছে বলে মত তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘কোচের কোনও আব্দারই অপূর্ণ রাখেন না কর্তারা। কোচকে স্বাধীনতা দেন। তার ফলে কোচ নিজের মতো করে দল চালাতে পারেন।’’ তা ছাড়া, দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়সও কম।
মিডিয়া ম্যানেজার তাড়া দিচ্ছিলেন বাসে ওঠার জন্য। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই তাঁর বাড়ি, নেপালের ঝাপা জেলায়। বাসে ওঠার আগে তাই বলে গেলেন, আবার আসব এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy