জয়ের পর অধিনায়কের সঙ্গে কোহলি। ছবি: এএফপি।
সিরিজ জিতলে কেক কেটে উত্সবের কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু সিরিজ হেরে?
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিম ইন্ডিয়া বুধবার রাতে সেটাও করে ফেলল!
বুধবার ম্যাচ শেষে আচমকাই ড্রেসিংরুমে কেক হাজির করে ফেলেন ধোনিরা। শোনা গেল বলা হতে থাকে যে, দেশের মিডিয়া কোনও দিনই আমাদের পাশে থাকে না। ক্রিকেটবিশ্বের অন্যান্য দেশে যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিকে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান কেউ ওয়ান ডে সিরিজ জিতে যেতে পারেনি। ভারত সেখানে গত বছর জিতেছে। এ বার শুধু পারেনি। তাতেও এমন জঙ্গি মনোভাব দেখানো হচ্ছে। গোটা মরসুমের সাফল্যকেই অগ্রাহ্য করে দিচ্ছে জাতীয় মিডিয়া। যেখানে কিনা গোটা মরসুমে জয়ের হার পঁচাত্তর শতাংশ।
টিম নাকি তাই ঠিক করে ফেলে যে মিডিয়া যা খুশি লিখুক, বলুক, সেটাও অগ্রাহ্য করা হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হারকে নয়, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে গোটা মরসুমের ক্রিকেট সাফল্যকে। কেক কেটে তার উত্সব উদযাপন করা হবে!
ম্যাচ পরবর্তী ভারতীয় সংসার ঘিরে আরও কিছু কিছু ঘটনা থাকল। ধোনির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠল। গত কয়েকটা দিন তাঁর কেমন গিয়েছে, সেটা জানতে চাওয়া হল। রায়না বলছিলেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে এমএসের যা প্রভাব সেটা কি কেউ অস্বীকার করতে পারে? ও শুধু ভাল অধিনায়ক নয়, একজন ভাল মানুষও।” কিন্তু অধিনায়কের জন্য তো আপনাকে ব্যাটিং অর্ডারে নীচে নেমে আসতে হচ্ছে? এ বার রায়না বললেন, “ছ’নম্বরে ব্যাট করাটা যে কঠিন, মেনে নিচ্ছি। আগে যেটা এমএস করত, সেটা এখন আমাকে করতে হবে। কিন্তু এটাও ঠিক যে এমএস বহু দিন চার নম্বরে ব্যাট করেনি। অথচ দিনের পর দিন দায়িত্ব নিয়ে টেনে গিয়েছে দেশকে।”
ধোনিকে এ দিন ম্যাচ শেষে ফোন কানে ড্রেসিংরুমে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার বাইরে কিছু করতে দেখা যায়নি। পরে শোনা গেল, জুনিয়র সতীর্থদের নিয়ে আলাদা আলাদা বসে পড়েন ধোনি। অজিঙ্ক রাহানে, ধবল কুলকার্নিদের আলাদা ডেকে বোঝাতে থাকেন যে, সামনেই অফ সিজন। বসে থাকা যাবে না। কার কোথায় উন্নতি করা প্রয়োজন সেটাও শোনা গেল, জুনিয়র সতীর্থদের বলে দেন ক্যাপ্টেন।
ঠারেঠোরে, হাবেভাবে ধোনি সবাইকে একটা অদৃশ্য বার্তা এ দিন মোটামুটি দিয়ে গেলেন। যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, মাঠে যেমন আমি তোমাদের অধিনায়ক, তেমন মাঠের বাইরেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy