মুনরো আউট। বোলার শামিকে অভিনন্দন সতীর্থদের। ছবি: এপি।
বিশ্বকাপের আগে তাঁদের দল ‘অটোপাইলট মোড’-এ চলে এসেছে বলে মনে করছেন বিরাট কোহালি। নিউজ়িল্যান্ডে দশ বছর পরে প্রথম বার কোনও ভারত অধিনায়ক হিসেবে এ দিনই ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নিলেন কোহালি। ২০০৯ সালে শেষ বার হ্যাডলির দেশে এক দিনের সিরিজ জিতেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় উপমহাদেশের প্রথম দল হিসেবে টেস্ট সিরিজ জেতার পরে সোমবার আরও একটি পালক যোগ হল ক্যাপ্টেন কোহালির মুকুটে।
কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তাঁর গড়ে চলা কীর্তি নয়, কোহালি ভাসছেন দলীয় সাফল্যে। একমাত্র চিন্তার জায়গা ছিল চার নম্বর ব্যাটসম্যানকে নিয়ে। কোহালি এ দিন ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন, অম্বাতি রায়ডু যে রকম খেলছেন, তাতে তিনিই হয়তো বিশ্বকাপে তাঁদের চার নম্বর। ‘‘আমি বলেছিলাম, চার নম্বর জায়গাটা এখনও নিশ্চিত হয়নি। কিন্তু রায়ডু যে রকম খেলছে, তা দেখে আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি।’’
মিডল-অর্ডার নিয়ে এর পর অধিনায়ক যোগ করেন, ‘‘দীনেশ কার্তিকও দারুণ খেলছে। যে কোনও সময়ে ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এম এস (ধোনি) দারুণ হিট করছে। এখানে তিনটে ম্যাচ হওয়ার পরে আমি খুব বেশি চিন্তার জায়গা কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’’ এ বার তিনি বিশ্রামে চলে যাচ্ছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের এই তীব্রতা কি কমে যেতে পারে? কোহালি বলে দেন, ‘‘আমাদের টিম এখন অটো মোডে চলে এসেছে।’’ কোহালি জানান, রায়ডু এবং কার্তিক যখন জয়ের রানগুলো তুলছিলেন, গোটা দল এক সঙ্গে বসে তা উপভোগ করছিল। ‘‘আমাদের ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতি এখন এটাই। আমি খুশি, সিরিজ জিতে বিশ্রামে যাচ্ছি। আমি না থাকলেও কোনও তফাত হবে না। এটাই এখন টিম সংস্কৃতি।’’
এই নিয়ে শেষ ১১টি ওয়ান সিরিজের ১০টি জিতেছে কোহালির ভারত। কোহালির মুখে বার বার তাই শোনা গেল, ‘‘অক্লান্ত ভাবে জেতার খিদে দেখিয়ে চলেছে দল। গত কয়েক বছরে এটাই আমাদের প্রাপ্তি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy