প্রস্তুতি: এশিয়াডে নামার প্রস্তুতি চলছে সর্দারের। ফাইল চিত্র
পাখির চোখ টোকিয়ো অলিম্পিক্স। ভারতীয় হকি দল তারই মঞ্চ করতে চায় জাকার্তা এশিয়ান গেমসকে। পুরুষ ও মেয়েদের দল ইন্দোনেশিয়া রওনা হয়ে গেল মঙ্গলবারই। আর দু’দলই বলে গেল, জাকার্তা থেকে সোনা নিয়ে আসাই লক্ষ্য।
মেয়েদের দলে সদস্য আঠারো জন। ১৯ অগস্ট তাদের প্রথম খেলা আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে। মজা হচ্ছে, পুরুষ দলের প্রথম প্রতিপক্ষও সেই ইন্দোনেশিয়াই। মেয়েদের খেলার ঠিক পরের দিনই আবার নামবেন সর্দার সিংহরা।
মেয়েদের দলের অধিনায়ক রানি রামপাল বলে গেলেন, ‘‘এই দলটা সদ্য বিশ্বকাপে খেলেছে। ওখানে দারুণ আমাদের পারফরম্যান্স। তাই সবাই আত্মবিশ্বাসী আমরা।’’ প্রসঙ্গত শেষ এশিয়ান গেমস থেকে মেয়েরা এনেছিলেন ব্রোঞ্জ। এ বার কি তার চেয়েও ভাল কিছু প্রত্যাশা করা যায়? এমন প্রশ্নে রাণির জবাব, ‘‘নিশ্চয়ই। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠতে না পেরে মেয়েরা খুবই ভেঙে পড়েছিল। এশিয়াডে সোনা জিতলেই একমাত্র আমাদের সেই দুঃখ কেটে যাবে।’’ মেয়েদের পুল-এ ইন্দোনেশিয়া ছাড়া রয়েছে কোরিয়া, তাইল্যান্ড ও কাজাখস্তান। সেমিফাইনালে যেতে ভারতকে প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকতেই হবে। প্রত্যয়ী রানির প্রতিক্রিয়া, ‘‘বেঙ্গালুরুতে দারুণ প্রস্তুতি হয়েছে। বাংলাদেশ, কোরিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচের ফলেও আমরা সন্তষ্ট। আমাদের দরকার ছিল গোল করার পজিশন একটু বদলে ফেলা। বিশ্বকাপে এই জায়গাটাতেই মার খেয়েছে দল।’’
এ দিকে ভারতীয় পুরুষ দলের অধিনায়ক পি আর সৃজেশ বলে গেলেন, ‘‘আমরা সব চেয়ে বেশি খেটেছি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার প্রস্তুতি নিতে। এখন আমার একটাই কাজ। ম্যাচের সময় সেটা কাজে করে দেখানো। সোনা নিয়ে দেশে ফেরাটা আমাদেরও প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।’’ সৃজেশকে প্রশ্ন করা হয়, এশিয়াডে ভারতের সব চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ কে? অধিনায়কের জবাব, ‘‘কোনও দলকেই হেলাফেলা করা যাবে না। সবাই সোনার জন্য ঝাঁপাবে। সবার মাথাতেই থাকবে জাকার্তায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সরাসরি টোকিয়োয় খেলার সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটা।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের দলটার যা ক্ষমতা আছে তাতে জাকার্তায় ভারতের চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy