মাঠের ভিতর যখন সঞ্জয় সেন ডার্বির স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে ব্যস্ত তখন মাঠের বাইরে প্রতিদিন ঝামেলা বেড়ে চলেছে মোহনবাগানে।
তিন মাসের মাইনে বকেয়া থাকা সত্ত্বেও সনি-কাতসুমিরা যতটা শান্ত, ততটাই অশান্ত ক্লাব কর্তারা।
বাগান তাঁবুতে শনিবার সকালে এবং বিকেলে সেই ছবিটা বদলাল না।
এ দিন সকালে প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে অনুশীলনে ডুডু-র্যান্টিকে আটকানোর জন্য নিজের রক্ষণকে মজবুতের প্রস্তুতি নিলেন বাগান কোচ। জোনাল মার্কিংয়ের অঙ্ক কষার পাশাপাশি সেট পিস সিচুয়েশনে অনুশীলন করালেন। বিপক্ষের আক্রমণ আছড়ে পড়লে সনি-কাতসুমিরা কী ভাবে নেমে আসবেন তারও স্ট্র্যাটেজি তৈরি হল। এ ছাড়াও চলল হেডিং, শু্যটিং অনুশীলনও। মাঝপথেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হল অবশ্য শৌভিষ ঘোষকে। কুছ পরোয়া নেহি। প্রীতম-কিংশুক-বেলোদের নিয়ে তৈরি রক্ষণ নিয়েই কম্বিনেশন তৈরি করলেন বাগান কোচ। বললেন, “আমি তৈরি ডার্বির জন্য।” কিন্তিু লেফট ব্যাকে কে? শৌভিকের জায়গায় অবশ্য ধনচন্দ্রকে দেখে নিলেন সঞ্জয়। কিন্তু মাঠের মধ্যে ফুটবলাররা যতই ডার্বি জেতার জন্য মরিয়া হন না কেন, মাঠের বাইরের ছবিটা ঠিক উল্টো। সেখানে কর্তাদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলছেই। ফুটবলারদের বকেয়া হিসাব নিয়ে তীব্র ডামাডোলও চলছে। বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে কর্মসমিতির সদস্য মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলে দেন, “ক্লাবের হিসাব দেখেছি। গণ্ডগোল আছে। হিসাব নিয়ে কমর্সমিতির সভা ডাকতে হবে।” যার উত্তরে ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র আবার বলেন, “টাকা চাইলেই আজেবাজে কথা বলে এঁরা। একটা টাকাও আনার মুরোদ নেই। হিসাবটাও বোঝে না। সোমবার সকালে মাঠে যাব। ফুটবলারদের কিছু টাকা দেব। মাঠে তো টিম নামাতে হবে।” অতীন প্রশ্ন তুলেছেন, “সচিব তো পদত্যাগপত্র তোলেননি। তা হলে সাধারণ সভা ডাকেন কী করে?” পাল্টা অঞ্জনের মন্তব্য, “আমি তো পদত্যাগের পর চারটে সভা করেছি। ওরা সেখানে তা হলে যোগ দিয়েছেন কেন?” বিকেলে ক্লাব তাঁবুর পরিবেশ সকালে ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পেতে সঞ্জয় সবরকম অস্ত্রই হাতে পাচ্ছেন। পিয়ের বোয়ার চোট সমস্যা থাকলেও, এ দিন তিনি প্র্যাকটিস ম্যাচই খেলেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনি তৈরি মহাযুদ্ধের জন্য। ক্লাব তাঁবু ছাড়ার আগে বোয়া বললেন, “সমর্থকরা ডার্বি নিয়ে প্রচন্ড উত্সাহী। আমার কাছে অবশ্য অন্য ম্যাচের মতোই গুরুত্ব পাচ্ছে ডার্বি। অর্থাত্ তিন পয়েন্ট পেতেই হবে। আলাদা করে কোনও চাপ নেই।” তবে বাগানের মার্কি ফুটবলার ডার্বি নিয়ে আলাদা উত্সাহ না দেখালেও, তাঁর সতীর্থ বেলো রাজাক কিন্তু মুখিয়ে আছেন জীবনের প্রথম ডার্বিতে সেরা খেলাটা খেলার জন্য। বেলো বলছিলেন, “সমর্থকদের উন্মাদনা অন্য পর্যায়ে পৌছায় এই ম্যাচে। আমি চাই প্রথম ডার্বি জিততে আর নিজের সেরাটা দিতে।” আর সনি নর্ডি? মাঠ ছাড়ার সময় সমর্থকদের সেলফিতে ছবি তোলার আব্দার মিটিয়ে বাগানের সেরা বাজি বলে গেলেন, “ইস্টবেঙ্গল তিন দিনে দুটো ম্যাচ খেললেও ওরা ভাল দল। আমি আগেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করেছি। সেটা আবার করতে চাই।”
বেঙ্গালুরু জিতল
আইলিগে শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি ২-০ হারাল শিলং লাজং এফসিকে। গোল করেছেন থই সিংহ ও রবিন সিংহ।
অন্য খেলায়
অল ইন্ডিয়া রেলওয়েজ বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হল সার্ভিসেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy