অস্কার: মাঠে মৃত্যু।
আম্পায়ারদের কাজটা আজকের দিনে কতটা বিপজ্জনক?
বিনীত: আম্পায়াররা তো একটা রিস্ক জোনে দাঁড়িয়েই ম্যাচটা পরিচালনা করেন। সামান্য ভুল হলেই কিন্তু মারাত্মক চোট লেগে যেতে পারে।
সাবির: প্রযুক্তি অনেক কিছু দিয়েছে, কিন্তু আম্পায়ারদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তার কোনও প্রয়োগ নেই। আমাদের জীবনের ঝুঁকি থেকেই যায়। আম্পায়ারদের মৃত্যুর আশঙ্কাই কিন্তু মাঠে সবচেয়ে বেশি।
সত্রাজিত্: রিস্ক তো আছেই। আজকের ক্রিকেটে টি-২০-র একটা প্রভাব আছে। আধুনিক ব্যাট বা নতুন ধরনের কোকাবুরা বলে পাওয়ার শট খেলা সোজা। তাই ঝুঁকি বাড়ছে আম্পায়ারদের।
কোন ক্ষেত্রে ভয় বেশি?
সত্রাজিত্: স্পিনাররা বল করার সময়। কারণ ওরা ফলোথ্রুতে আম্পায়ারের সামনে চলে আসে বার বার। বল সোজা ফিরে আসলে যদি ওরা মিস করে বা হাতে লেগে বল দিক পরিবর্তন করে তা হলে আশঙ্কা বেড়ে যায়। আম্পায়ারদের সেকেন্ডের ভগ্নাংশে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
বিনীত স্পিনারদের বল করার সময়ই ঝুঁকি বেশি।
সাবির: আঘাত আম্পায়ারকে বলে আসবে না। তাই স্পিনার-পেসার কেন? ফিল্ডার বল থ্রো করলেও বিপদ আসতে পারে।
সমাধানের রাস্তাটা কী?
বিনীত এমন কিছু বার করতে হবে যাতে আম্পায়ারিংয়ের কাজে সমস্যা তৈরি না করে নিরাপত্তা দেবে। ব্যাটসম্যানের হেলমেট পরে আম্পায়ারিং করলে কিন্তু দেখতে সমস্যা হবে। শুনতেও।
সাবির: পুরো শরীর বর্মে ঢেকে তো আম্পায়াররা ম্যাচ পরিচালনা করবেন না! আর গার্ড ব্যবহার করা হলে আম্পায়ারের দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি যাতে বাধা না পায় সেটা দেখতে হবে। কী পন্থা বা প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আম্পায়ারদের মৃত্যুর আশঙ্কা কমবে তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে।
সত্রাজিত্: অ্যাবডোমেন গার্ড কিংবা হেলমেট ব্যবহার করলে কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কিন্তু তা আম্পায়ারের ব্যবহার উপযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আপাতত কী হবে?
বিনীত অনুমানক্ষমতা আর রিফ্লেক্স চাঙ্গা রাখতে হবে। বাকিটা ভাগ্য।
সাবির: রিফ্লেক্স এবং ফিটনেসে যেন ঘাটতি না পড়ে কোনও আম্পায়ারের। কারণ বিপদ এড়ানোর প্রাথমিক রাস্তা এ দু’টোই।
সত্রাজিত্: বল থেকে চোখ সরানো চলবে না ম্যাচের সময়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy