Advertisement
E-Paper

‘ওহে বিজ্ঞজন, নিজেদের চরকায় তেল দিন!’

ফের সেই শ্রীলঙ্কা। যেখানে গত অগস্টে শুরু হয়েছিল কোহালিদের কোচ হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস। রবিবারই বেরিয়ে পড়লেন তরুণ দল নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে দিন ছয়েকের মধ্যে নতুন অভিযান। চরম ব্যস্ততার মধ্যেও মোবাইল ফোন থেকে আনন্দবাজার-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রবি শাস্ত্রী।দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে দিন ছয়েকের মধ্যে নতুন অভিযান। চরম ব্যস্ততার মধ্যেও মোবাইল ফোন থেকে আনন্দবাজার-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রবি শাস্ত্রী।

সুমিত ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৭

প্রশ্ন: দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগের ছ’টি সফরে সব মিলিয়ে ভারত জিতেছিল ছ’টি ম্যাচ। এ বারে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ১২ ম্যাচে জয় ৮টিতে। স্কোরলাইনে এত তফাতের কারণ কী মনে হয়?

রবি শাস্ত্রী: প্রধান কারণ ছেলেদের দায়বদ্ধতা এবং বিশ্বাস যে, আমরা পারব। কোচ হিসেবে ফেরার পর গত অগস্টে শ্রীলঙ্কায় আমি একটা প্রেস কনফারেন্সে এসে বলেছিলাম, কখনও অন্য কোনও ভারতীয় দল যা করতে পারেনি, সে সবই করে দেখানোর ক্ষমতা রয়েছে এই দলটার। তখন অনেকে আমার কথা শুনে হেসেছিল। কারও কারও মনে হয়েছিল, আমি বুঝি ফরাসি ভাষায় কথা বলছি। এখন তারা সব কোথায় গেল?

প্র: ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, কোচ হিসেবে অনেক দেশে গিয়েছেন। ক্রিকেট দলের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা-ই কি সব চেয়ে কঠিন অভিযান?

শাস্ত্রী: এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই হবে না। নিঃসন্দেহে কঠিনতম সফর। এবং পিচের দিকে তাকালে নিজের চোখেই তো সকলে দেখতে পাবে, আমরা কী পেয়েছি আর অন্য দেশকে কী দেওয়া হচ্ছে। এই যে ডারবানে টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আমাদের যে পিচ দেওয়া হয়েছিল আর ডারবানে এই টেস্টের জন্য যে পিচ হয়েছে, দু’টো তো দেখছি উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু! আমাদের জন্য তৈরি করা উইকেটগুলোর কথা মনে করে আরও বেশি গর্ব হচ্ছে ছেলেদের জন্য। ৮-৪ স্কোরলাইন ওদের প্রাপ্য। ওদের সাহসের পুরস্কার।

প্র: শুরু থেকে আপনারা পিচ নিয়ে অভিযোগ করতে চাননি। এটা কি জেনেবুঝে ইতিবাচক থাকা?

শাস্ত্রী: ইয়েস, আমরা ইতিবাচক থাকতে চেয়েছি। শুরুতেই ঠিক করে নিই যে, উইকেট নিয়ে কোনও অভিযোগ করব না। যা দেওয়া হবে, তাতেই খেলব। দু’টো দলই একই পিচে খেলছে। তা হলে অভিযোগ করব কেন? বরং চেষ্টা করব, সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করে ওদের পিচেই ওদের কাউন্টার অ্যাটাক করার।

প্র: এর পর বিদেশি দল ভারতে এসে যদি পিচের চরিত্র নিয়ে অভিযোগ করে, কী বলবেন তাঁদের?

শাস্ত্রী: খুব ভদ্র ভাবেও যদি বলি, তা হলে দু’টো শব্দ ব্যবহার করব— ‘গেট লস্ট’। কেউ যেন আমার কাছাকাছিও না আসার চেষ্টা করে পিচ নিয়ে কথা বলার ইচ্ছে নিয়ে।

প্র: টেস্টে ০-২ পিছিয়ে থাকা অবস্থায়, আপনি সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন ওয়ান্ডারার্স টেস্টের আগে। বললেন, ছেলেরা মাথা উঁচু করেই ফিরবে। ওই সময়েও কেন মনে হল, ‘এরা পারবে’?

শাস্ত্রী: হেরে গেলেও আমরা সুযোগ তৈরি করেছিলাম। সেটা দেখেই আমি আশাবাদী হয়েছিলাম। প্রথম দু’টো টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল খেলেছিল। সেই কারণে ওরা জিতেছিল। যদি আমরা দু’তিনটে সেশনে ভাল খেলতাম, আমরাও এগিয়ে যেতে পারতাম।

প্র: ওয়ান্ডারার্স টেস্টে নামার আগে দলের মন্ত্র কী ছিল?

শাস্ত্রী: এক এবং একমাত্র মন্ত্র ছিল— শুধু জেতার জন্য খেলব। কোনও ড্র নয়, হারের ভয় নয়। একটাই রিংটোন বাজছিল সকলের মনে। এই টেস্ট জিতব আমরা।

তুলনা: বিশ্বকাপজয়ী ইমরানের ছায়া কোহালির নেতৃত্বে। —ফাইল চিত্র।

প্র: ওয়ান্ডারার্সে যখন পিচ খুব বিপজ্জনক বলে খেলা সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল, কমেন্ট্রি বক্সে বলাবলি হচ্ছিল, দু’টো দল রয়েছে। একটা দল খেলতে চাইছে, অন্যটা চাইছে না...

শাস্ত্রী: আমার মনে হয়, এই মন্তব্যটা ছেলেদের জন্য সেরা কমপ্লিমেন্ট হয়ে থাকবে। ওয়ান্ডারার্সে ছেলেদের দুঃসাহসিক মনোভাবকে টুপি খুলে সেলাম করছি আমি।

প্র: আপনার দু’টো টেস্ট সেঞ্চুরি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ১৯৮৩-তে অ্যান্টিগায় ১০২। প্রতিপক্ষ বোলিং: রবার্টস, হোল্ডিং, মার্শাল, উইন্সটন ডেভিস। ১৯৮৯-তে বার্বেডোজে তিন নম্বরে নেমে ১০৭। প্রতিপক্ষ বোলিং: মার্শাল, বিশপ, অ্যামব্রোজ, ওয়ালশ। অগ্নি যুগের ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারিকে সামলানোর অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন ওয়ান্ডারার্সের ভারতীয় ব্যাটিংকে?

শাস্ত্রী: ওয়ান্ডার্রাসে ভারতীয় দলের ব্যাটিং সর্বকালের সব চেয়ে নির্ভীক ব্যাটিংয়ের আখ্যা পাওয়া উচিত। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেও। যেমন কঠিন পরিবেশ, তার চেয়েও কঠিন পিচ, তেমনই দুরন্ত বোলিং আক্রমণ প্রতিপক্ষ দলের। আমাদের ছেলেরা তার পরেও যে রকম বুক চিতিয়ে ব্যাটিং করেছে, তা করার জন্য দুঃসাহস দরকার ছিল। মেরুদন্ড দরকার ছিল। দৃঢ়তা দরকার ছিল। সব চেয়ে বেশি করে দরকার ছিল, নিজেদের প্রতি বিশ্বাস। ওয়ান্ডারার্সে আমরা টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিই। এত সাহসিক সিদ্ধান্ত আমি কখনও কোনও দলকে নিতে দেখিনি। হোম টিম ঘাস বিছিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে চার পেসার তৈরি রেখে। আর সফরকারী দলের অধিনায়ক টসে জিতে হোম টিম অধিনায়কের চোখে চোখে বলছে, আমরা ব্যাট করব— ক্রিকেট মাঠে এমন বীরত্বের কাহিনি খুব কমই লেখা হয়েছে! পন্ডিত আর বিজ্ঞগুলো তখনও আমাদের সমালোচনা করতে বসে গেল! ওদের যা কাজ! আর আমাদের যা কাজ, সেটা আমরা করলাম— বিজ্ঞদের ভুল প্রমাণ করা।

প্র: এখন কি মনে হচ্ছে, টেস্ট সিরিজের ফল অন্য রকমও হতে পারত?

শাস্ত্রী: সিরিজ হেরে আমি বলার বান্দা নই যে, আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু এটা ঠিক যে, এই টেস্ট সিরিজটায় ২-১ স্কোরলাইনটা যে কোনও দিকে যেতে পারত। যদি প্রথম দু’টো টেস্টে আমরা আর একটু ধৈর্য দেখাতাম, যদি কঠিন মুহূর্তেগুলো ভাল সামলাতাম, তা হলে ফলটা আমাদের পক্ষেও ২-১ হতেই পারত।

প্র: টেস্ট এবং ওয়ান ডে দু’টো ফর্ম্যাটেই বিশ্বের এক নম্বর। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি জিতলে টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর হয়ে যেতে পারেন। এই তথ্যগুলো কতটা আনন্দ দিচ্ছে?

শাস্ত্রী: কোচ হিসেবে এর চেয়ে বেশি কী আর চাইতে পারি আমি ছেলেদের কাছে? দু’টো ফর্ম্যাটে এক নম্বর হতে পারাটাই একটা বিরাট ব্যাপার। সেখানে এই টিমটা একই সঙ্গে দু’টো ফর্ম্যাটেই এক নম্বর এখন। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটে কেন, বিশ্বের কোনও দল কি কখনও এটা পেরেছে?

প্র: আপনি ১৯৮৩-তে বিশ্বকাপ-জয়ী কপিল দেবের দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৮৫-তে অস্ট্রেলিয়ায় বেনসন অ্যান্ড হেজেস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়ন্স। আপনার চোখে বিরাটদের বর্তমান ওয়ান ডে দলটি কেমন?

শাস্ত্রী: দুর্ধর্ষ টিম। আমি যতগুলো ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছি, তাদের যে কাউকে এরা দৌড় করিয়ে দেবে। আর যে কোনও দল বলতে আমি তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দল বা পঁচাশির বেনসন অ্যান্ড হেজেস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা টিম দু’টোকেও ধরছি।

প্র: দ্বিতীয় বার কোচ হিসেবে ফিরেই শ্রীলঙ্কাতে গত অগস্টে আপনার মাস্টারস্ট্রোক— রিস্ট স্পিনারদের নিয়ে আসা। সেই সিদ্ধান্তের পিছনে ভাবনা কী ছিল?

শাস্ত্রী: ওয়ান ডে-তে বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটা হতে গেলে সব সময় উইকেট নিতে জানতে হবে। শুধু নতুন বল বা পুরনো বলে উইকেট নিলেই হবে না, মাঝের ওভারেও নিতে হবে। কুলদীপ আর চহাল সেটাই করে দেখাচ্ছে বলে আমরা অ্যাডভ্যান্টেজ পাচ্ছি। উইকেট নেওয়া বোলার চাইলে এমন স্পিনার নিতে হবে, যারা যে কোনও পিচে বল ঘোরাতে পারবে। রিস্ট স্পিনাররা সেটা করতে পারে। আর একটা কথা হচ্ছে, আমাদের দুই রিস্ট স্পিনার এক দিকে নয়, দু’দিকেই বল ঘোরাতে পারে। তাতে বৈচিত্র যোগ হচ্ছে বোলিংয়ে, ব্যাটসম্যানদের অনেক বেশি বিভ্রান্ত করে তোলা যাচ্ছে।

প্র: নিশ্চয়ই কুলদীপ বা চহাল-কে আনার সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন ছিল। কারণ সিনিয়র বোলারদের বাইরে রাখার প্রশ্ন এসে যাচ্ছিল।

শাস্ত্রী: একেবারেই কঠিন ছিল না। সব সময় নিজেদের সেরা প্রথম একাদশই তো মাঠে নামাতে চাইবে যে কোনও দল। সেরা বোলারদেরই তো খেলাতে হবে, যারা উইকেট নিতে পারবে। আর রিস্ট স্পিনারদের আনারও আগে গুরুত্বপূর্ণ ছিল— আমরা সেরা ফিল্ডিং একাদশকে মাঠে নামাতে চেয়েছিলাম। কেউ দারুণ ব্যাটসম্যান হতে পারে বা দুর্দান্ত বোলার হতে পারে। কিন্তু টিমে জায়গা পেতে গেলে তোমাকে ভাল ফিল্ডার হতে হবে। ফিল্ডিংয়ে একশো শতাংশ দায়বদ্ধতা দেখাতে হবে। এটা নিয়ে কোনও আপস করা চলবে না।

প্র: বিরাট কোহালির ব্যাটিং এবং অধিনায়কত্ব নিয়ে কী বলবেন?

শাস্ত্রী: দুরন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় যে ভাবে বিরাট সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেটা দেখে আমি মুগ্ধ। কঠিন সফর। কঠিন পরিবেশ। কঠিন প্রতিপক্ষ। তার পরেও প্রায় দু’মাস ধরে লাগাতার দাপট দেখিয়ে প্রায় ন’শো রান করা— আমার মনে হয় অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স!

প্র: অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারের দাবি, বিরাট অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখিয়ে ফেলেন। ওঁর উচিত নিজেকে শান্ত রাখা। আপনি কী বলবেন?

শাস্ত্রী: যারা এ সব বলছে, তাদের একটাই ছোট্ট পরামর্শ দেব আমি— ভাই, যান তো নিজের চরকায় তেল দিন। আর আমাদের কাজটা আমাদেরই বুঝে নিতে দিন।

প্র: আপনার কখনও মনে হয়েছে, বিরাটকে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কোনও পরামর্শ দিই?

শাস্ত্রী: ধুর, ধুর। একেবারেই মনে হয় না। ওর সব কিছু একদম ঠিক আছে। যদি কিছু সমস্যা থাকেও তা হলে আম্পায়াররা তো আছেন, ম্যাচ রেফারি আছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন। ওঁরা আছেন কী জন্য যদি প্রাক্তন ক্রিকেটাররাই সব বলে দেবে?

প্র: এমন কোনও ক্যাপ্টেন আছেন, যাঁর সঙ্গে বা বিরুদ্ধে আপনি খেলেছেন— তাঁর কথা মনে পড়ে যায় অধিনায়ক বিরাটকে দেখে?

শাস্ত্রী: বিরাট এখনও তরুণ। আরও অনেক রাস্তা যাবে ও। তবে ইতিমধ্যেই সেরাদের গ্রহে জায়গা করে নিতে পেরেছে। অধিনায়ক বিরাট আমাকে ইমরানের কথা মনে করিয়ে দেয়। ওর মধ্যে অনেক গুণ আমি দেখতে পাই, যেটা অধিনায়ক হিসেবে ইমরানের মধ্যে ছিল।

প্র: বিরাটের বিশেষ কোন গুণের কথা বলছেন, যা দেখে অধিনায়ক ইমরানের কথা মনে পড়ে যায়?

শাস্ত্রী: সব সময় শাসন করতে চাওয়া, সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হার-না-মানা মানসিকতা। তা সে পরিবেশ যতই প্রতিকূল থাকুক না কেন। নিজের প্রতি অদম্য বিশ্বাস রেখে, সব সময় অসীম সাহসী হয়ে এগিয়ে চলা যে, আমি পারব। যখন নেতার মধ্যে এ রকম অসাধারণ ইতিবাচক মানসিকতা থাকে, সেটা দ্রুত বাকি সতীর্থদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। বিরাট সেটা করছে। ইমরানের অধিনায়কত্বে এটাই সব চেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার ছিল।

প্র: দক্ষিণ আফ্রিকায় সকলকে চমকে দিয়েছে ভারতীয় বোলিং। সব মিলিয়ে সফরে ১৩২ উইকেট। তিন টেস্টে ৬০টার মধ্যে ৬০টা উইকেট। অথচ বোলিং কোচ বি. অরুণের নিয়োগ নিয়ে প্রচুর কথা উঠেছিল?

শাস্ত্রী: পরিষ্কার হয়ে গেল, অভিজ্ঞতার কোনও বিকল্প নেই। অরুণ অনেক দিন ধরে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া। ওকে সবাই খুব সম্মানও করে। আমাদের বোলিংয়ে এখন দারুণ বৈচিত্র এসে গিয়েছে। বিভিন্ন উচ্চতার, বিভিন্ন স্কিলের বোলার রয়েছে। সেটাও পার্থক্য করে দিচ্ছে।

প্র: গত অগস্টে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন শ্রীলঙ্কা থেকেই। সেখানেই আবার যাচ্ছেন। সাত মাসের এই যাত্রাপথের দিকে ফিরে তাকিয়ে কী মনে হচ্ছে?

শাস্ত্রী: উন্নতির জায়গা রয়েছে অনেক কিছুতেই। তবে ছেলেরা যে ভাবে তাদের সাহসী চরিত্রকে তুলে ধরেছে, সেটা খুবই উদ্বুদ্ধ করার মতো। কোচ হিসেবে এই টিম নিয়ে গর্বিত না হয়ে উপায় নেই।

প্র: সেই খেলার দিন থেকে শুরু করলে কখনও আপনার মুখে নেতিবাচক কথা শোনা যায়নি। কী ভাবে সারাক্ষণ ইতিবাচক থাকেন?

শাস্ত্রী (হাসি): আমি নিজে জানলে ভালই হতো। এটুকু বলতে পারি যে, আমি কোনও স্পেশ্যাল ভিটামিন বা কোনও বিশেষ ফলের রস নিচ্ছি না।

প্র: যদি তরুণ ক্রিকেটারদের একটা উপদেশ দিতে বলি যে, কী ভাবে ইতিবাচক থাকতে হয় সেটা তাঁদের বলুন, কী পরামর্শ দেবেন?

শাস্ত্রী: একটাই কথা বলব। নিজের কর্মপদ্ধতির সঙ্গে আপস করতে যেও না আর মনে রেখো সাফল্যের কোনও শর্টকার্ট হয় না।

Cricket Virat Kohli Imran Khan Ravi Shastri interview
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy