Advertisement
E-Paper

মানুষের সততায় বিশ্বাস করি, বোপান্নাকে কেন অবিশ্বাস করব

চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি রোহন বোপান্না ডেভিস কাপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যার প্রতিক্রিয়া একমাত্র ই-মেলে লিখিত ভাবে দিতে চাইলেন লিয়েন্ডার পেজ। সোমবারই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন ভারতীয় দলে যোগ দিতে। রিওর মতো কোনও বিতর্ক চান না আর। তা সত্ত্বেও নাদালদের স্পেনের বিরুদ্ধে খেলতে আমেরিকা ছাড়ার আগের দিন আনন্দবাজার-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতীয় টেনিসের মহাতারকার কথাবার্তা মোটেই নিরামিষ থাকল না!

সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৯

চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি রোহন বোপান্না ডেভিস কাপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যার প্রতিক্রিয়া একমাত্র ই-মেলে লিখিত ভাবে দিতে চাইলেন লিয়েন্ডার পেজ। সোমবারই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন ভারতীয় দলে যোগ দিতে। রিওর মতো কোনও বিতর্ক চান না আর। তা সত্ত্বেও নাদালদের স্পেনের বিরুদ্ধে খেলতে আমেরিকা ছাড়ার আগের দিন আনন্দবাজার-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতীয় টেনিসের মহাতারকার কথাবার্তা মোটেই নিরামিষ থাকল না!

প্রশ্ন: অন্য গোলার্ধে থাকলেও এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছেন, রোহন বোপান্নাকেও মহাকঠিন স্পেন টাইয়ে পাচ্ছে না ভারত।

লিয়েন্ডার: এখনও আমেরিকায় শনিবার। খানিকটা আগে জিশান (ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের কোচ জিশান আলি) ফোন করেছিল বেঙ্গালুরু থেকে। ওর থেকেই জানলাম। তার পর আমার ই-মেলে এআইটিএ-র এই সম্পর্কে প্রেস রিলিজটাও দেখলাম ঢুকেছে।

প্র: আপনার প্রতিক্রিয়া? ভারতীয় টেনিসমহলের একটা অংশ কিন্তু বোপান্নার সিদ্ধান্তের পিছনে রিও বিতর্ক দেখছে!

লিয়েন্ডার: সব প্লেয়ারের সততাকে, শুধু প্লেয়ারই কেন, সব মানুষের সততাকে আমি বিশ্বাস করি। রোহনের এই টাই থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাখ্যাকে তাই অবিশ্বাস করার কোনও কারণ দেখছি না আমি। এটা নিয়ে কে কী ভাবছে তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। আমি এখন থেকেই মনে মনে ভিসুয়ালাইজ করতে শুরু করে দিয়েছি সাকেতকে (মিনেনি) নিয়ে কী ভাবে পরের শনিবার লোপেজদের টিমের সঙ্গে ডাবলস খেলব। কারণ, এত বড় ম্যাচে আনন্দ (ভারতীয় দলের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজ) হয়তো আনকোরা বাচ্চা ছেলে সুমিতকে (সুমিত নাগাল) নামানোর ঝুঁকি নেবে না। তবে নব্বইয়ে আমি প্রথম ডেভিস কাপ ম্যাচ ফিফথ সেটে ১৮-১৬ যখন জিতেছিলাম, আমার ষোলো বছর বয়স ছিল। সুমিতের চেয়েও তিন বছর কম।

প্র: স্পেনের মতো প্রচণ্ড কঠিন ডেভিস কাপ টাইয়ের জন্য এই মুহূর্তে কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? বিশেষ করে যেখানে সম্প্রতি আপনার অলিম্পিক্স প্রস্তুতি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে!

লিয়েন্ডার: অলিম্পিক্স বা ডেভিস কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির অনেক ধরনের সিস্টেম আছে। হয় আপনি টিমের সঙ্গে যোগ দিয়ে ট্রেনিং করলেন। প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেললেন। অথবা আপনি ফাংশনাল ট্রেনিং করার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট খেলে বড় মঞ্চের জন্য নিজেকে তৈরি রাখলেন। দু’টোর মধ্যে শেষেরটা বেশি কাজের। সব টপ প্লেয়ারই টুর্নামেন্ট খেলাকে গুরুত্ব দেয়। রিওর প্রস্তুতি নিয়ে আমি কোনও অজুহাত দেব না। এআইটিএ এবং সাই, দু’তরফই জানত অলিম্পিক্সের আগে আমি টুর্নামেন্ট খেলছি। তবে এই ডেভিস কাপের জন্য আমি সোমবার টিমের সঙ্গে দিল্লিতে যোগ দিচ্ছি। টাইয়ের চার দিন আগে। অতএব বিতর্কের প্রশ্ন নেই।

প্র: আপনি সম্প্রতি বলেছেন, রামনাথন কৃষ্ণনের ডে‌ভিস কাপে সবচেয়ে বেশি সিঙ্গলস জেতার রেকর্ড ভাঙতে চান। দিল্লিতে কি তা হলে লিয়েন্ডার বনাম নাদাল ম্যাচ দেখার সম্ভাবনা আছে?

লিয়েন্ডার: গ্রেট রামনাথনের রেকর্ড ভাঙার ইচ্ছেতে সিঙ্গলস খেলার কোনও প্রস্তাব আমি নিজে থেকে টিম বা এআইটিএ-কে দেব না সেটা এই ইন্টারভিউতেই স্পষ্ট বলে দিচ্ছি। তবে একটা কথা। চণ্ডীগড়ে শেষ ডেভিস কাপে দু’দলের ছেলেরাই ক্র্যাম্পে তাসের ঘরের মতো পড়ে গিয়েছিল। এমনকী রোহন আর আমাকে আগাম জানিয়ে রাখা হয়েছিল, দরকারে যে কোনও একজনকে রিভার্স সিঙ্গলস খেলতে হতে পারে। চণ্ডীগড়ে রোহনের ঘাড়ে দায়িত্বটা চেপেছিল। দিল্লিতেও যথেষ্ট প্যাচপ্যাচে গরম থাকার কথা এখন।

প্র: ভারতের ক্যাপ্টেন দিল্লিতে সন্ধেতে ম্যাচ ফেলায় সেটা বিপক্ষ স্পেনকে বেশি সুবিধে দেবে বলে এআইটিএ-র উপর ক্ষুব্ধ। আপনি কি আনন্দ অমৃতরাজের সঙ্গে একমত?

লিয়েন্ডার: আনন্দ আর এআইটিএ-র মতানৈক্যের মধ্যে আমি নিজেকে জড়াতে চাই না। শুধু একটা কথা বলব, ক্র্যাম্প সব প্লেয়ারেরই লাগতে পারে। কোরিয়া টাইয়ে যেমন হল। ইউরোপিয়ানদের বেশি ক্র্যাম্প ধরে কথাটা ঠিক নয়। ওরা সব সুপ্রিম অ্যাথলিট। দরকারে প্রচণ্ড গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় ট্রেনিং করে। আমাদের ছেলেরাও বছরের বেশির ভাগ সময় বিদেশে খেলে বেড়ায়। সব ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত। তা ছাড়া, টাইয়ের আগে গরমের মধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ট্রেনিংয়ে কারও পক্ষে পরিস্থিতির সঙ্গে পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

প্র: ডেভিস কাপে র‌্যাঙ্কিং কোনও কালেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। তা সত্ত্বেও স্পেনের বিরুদ্ধে অন্তত একটা ম্যাচও ভারতের জেতার সম্ভাবনা কতটুকু?

লিয়েন্ডার: ওরা গত দু’বছর ওয়ার্ল্ড গ্রুপে উঠতে না পারায় এ বার সেরা দল প্লে-অফে নামাচ্ছে। তবে আমাদের দায়িত্ব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা। তার পর যা হওয়ার হবে। নিজের আর টিমের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে আমাদের। ডেভিস কাপে কিন্তু অদ্ভুত সব ব্যাপার ঘটে। ফ্রেজুতে ফ্রান্স আর দিল্লিতেই ক্রোয়েশিয়া টাই মনে নেই?

Leander Paes Interview
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy