আরাফত সানি। ছবি: সংগৃহিত।
টুয়েন্টি২০তে দারুণ বোলিংয়ের রেকর্ড রয়েছে সাকিব আল হাসানের। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে ২টি ট্রানজিট সহ ৩৬ ঘন্টার লম্বা ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বারবাডোজে পা রেখেই নেমে পড়েছেন ম্যাচে। বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ২০১৩ সালে ত্রিনিদাদ টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে ৬-১-৬-৬। ৬ রানে ৬ উইকেট। ম্যাজিক ফিগার। টুয়েন্টি২০তে এটাই দ্বিতীয় সেরা বোলিং। সাকিবের ওই বিস্ময় বোলিংকে বৃহস্পতিবার ছাপিয়ে গিয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানি। ১৬ বলে কোনও রান না দিয়ে তিন তিনটি শিকার। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে এতদিন ইনিংসে তিন উইকেটে সেরা স্ট্রাইক রেট ছিল বাঁ হাতি স্পিনার দিনুকা হিতিয়ারাচির। তবে ১২র বেশি বলের ইনিংসে রানহীন উইকেটে বিশ্বরেকর্ড আরাফাত সানিরই।
আরাফাত সানির বিশ্বরেকর্ডময় ম্যাচে বিপিএলে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা (৪৫/১০) খুলনা টাইটান্সকে দিয়ে, ৭০ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে জিতেছে রংপুর রাইডার্স।
এক ওভারের প্রথম স্পেলটি এই বাঁ হাতি স্পিনারের উইকেটহীন। নবম ওভারের প্রথম বলে আরিফুল, পঞ্চম বলে জুনায়েদ আরাফতের শিকার। একাদশ ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ আসগরকে করেছেন বোল্ড। এক এন্ডে বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানি (৩/০),অন্য এন্ডে পাকিস্তানি লেগ স্পিনার আফ্রিদি (৪/১২)। এর আগে বাংলাদেশের ঘরোয়া টুয়েন্টি২০তে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল মহামেডানের।
সর্বশেষ টি২০ বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন। আইসিসির ওই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমানে গত সেপ্টেম্বরে ব্রিসবেনে বায়ো মেকানিক্স পরীক্ষা দিতে হয়েছে। সেই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ফিরেছেন বোলিংয়ে। বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে আইসিসিকে দিয়েছেন জবাব। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ফ্লাড লাইটের আলোয় এই বিশ্বরেকর্ড করেছেন। অথচ বিশ্বরেকর্ডের কথা জেনেছেন আরাফাত সানি খেলা শেষে। ‘‘রেকর্ডের ব্যাপারে জানতাম না । আমি ভেবেছিলাম এটা হয়ত আমার সেরা বোলিং ফিগার। প্রথম ওভারটা যে মেডেন হয়েছে, তা পর্যন্ত বুঝতেই পারিনি। রেকর্ড করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। উইকেট টু উইকেট বল করব, এটাই ছিল পরিকল্পনা।’’
আরও খবর
নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখ তানভির, ফিরলেন মুস্তাফিজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy