আগামী ২৫ এবং ২৭ মে যথাক্রমে প্লে অফের এলিমিনেটর আর কোয়ালিফায়ার-২ হবে শহরে। ফাইনালও মুম্বই থেকে সরছে বেঙ্গালুরুতে। শুক্রবার দিল্লির বোর্ড বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হল। যেখানে আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল, বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর ছাড়াও ছিলেন মহারাষ্ট্রের দুই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের প্রতিনিধিরা। এখন এই সিদ্ধান্তের উপর আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সিলমোহর পড়াটুকু বাকি। এ দিন বৈঠকের পরে রাজীব শুক্ল বলেছেন, ‘‘১ মে-র পুণে-মুম্বই ম্যাচটা আমরা পুণেতেই রাখতে দেওয়ার আবেদন জানাব আদালতে। ২৯ এপ্রিল পুণেতে খেলার দু’দিনের বিশাখাপত্তনমে গিয়ে খেলা ওদের পক্ষে কঠিন হবে।’’
কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কার টিম পুণের হোম ম্যাচ সেখান থেকে সরে অবশ্য তাঁর নিজের শহরে আসছে না। আসছে না দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর রাঁচিতেও। শুক্লরা মহারাষ্ট্রের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে চারটে শহরের নাম দিয়েছিলেন মে মাসে তাদের হোম ম্যাচের ‘ভেনু’ বেছে নেওয়ার জন্য— কানপুর, জয়পুর, রায়পুর, বিশাখাপত্তনম। শেষটাকে পুণে তাদের শেষ তিনটে ম্যাচের ‘হোম’ হিসেবে বেছে নেয়। মুম্বই আরও দু’দিন সময় নিয়েছে সিদ্ধান্তের জন্য।
আরও দু’টো ম্যাচ পাওয়ায় শুক্রবার সন্ধেয় খুশির বাতাবরণ সিএবিতে। যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘‘ইডেনের গুরুত্ব যে ভারতীয় ক্রিকেটে কমে যায়নি এটা তারই প্রমাণ।’’ জানা গেল, বৃহস্পতিবারই রাজীব শুক্লকে ই-মেলে ফাইনাল ও প্লে অফের দু’টো ম্যাচ আয়োজনের শেষ আবেদন করেছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক। প্রথমত, ইডেনের বিশাল আসন সংখ্যা ও দ্বিতীয়ত, সদ্য খুব অল্প সময়ের নোটিশে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করার যুক্তিগুলো মূলত দেওয়া হয়েছিল সিএবি-র পক্ষ থেকে। তাতেই কাজ হয়েছে বলে ধারণা শীর্ষকর্তাদের।
অন্য দিকে আবার কেন ধোনির শহর রাঁচিকে অন্যতম সম্ভাব্য শহর হিসেবে তাঁর দল রাইজিং পুণের সামনে পেশ করাই হল না, উঠে পড়ছে সেই প্রশ্নও। ক্ষুব্ধ ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার এক শীর্ষকর্তার এ দিন অভিযোগ, ‘‘আমাদের বঞ্চিত করা হল। রাঁচিতে পুণের হোম ম্যাচ হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি ছিল। সবচেয়ে বড় কথা টিম ক্যাপ্টেন ধোনির নিজের শহর। এর পরেও কানপুর, জয়পুর কী করে সুযোগ পায়!’’ কেন রাঁচিকে সুযোগ দেওয়া হল না, তার ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি বোর্ডকর্তারা। রাজীব শুক্লকে এ দিন সন্ধে থেকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে রাঁচি-প্রসঙ্গে পুণে কর্তারা ঢুকতে রাজি নন। বরং বলা হল, যা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বিশাখাপত্তনমকেই ঘরের মাঠ হিসেবে ঠিক করা সবচেয়ে সুবিধেজনক ছিল। কারণ, রায়পুরে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ম্যাচ ছিল। রায়পুরকে তাই পুণে-র সেন্টার করা সম্ভব ছিল না। ব্র্যান্ডিং, সেট আপের দিক থেকে বরং বিশাখাপত্তনম সব দিক থেকে সুবিধেজনক। তাই ওটা নিয়েছে পুণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy