টেনিসের জোকার। প্রাক-উইম্বলডন সাংবাদিক সম্মেলনে।
বছরের তিন নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম আমার কাছে সব সময় নিজের ঘরে ফেরার মতো। এবং খুশি মনে!
একই সঙ্গে নোভাকও এসডবব্লিউ ১৯-এ সময় কাটানোটা উপভোগ করতে শুরু করেছে।
সোমবারই উইম্বলডন শুরু হয়ে যাচ্ছে। এবং সেটা সামনের দু’সপ্তাহ পরীক্ষা নেবে, ফরাসি ওপেন ফাইনালে হারের পর টিম নোভাকের সার্কিট থেকে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত ফলদায়ক হবে কি না!
এ বার উইম্বলডনের আগে একটাও গ্রাস কোর্ট টুর্নামেন্ট না খেলার সিদ্ধান্তটা নোভাক ভেবেচিন্তে নিয়েছিল। এ বছরের গোড়া থেকে ও প্রচুর খেলেছে। ওর চেয়ে বেশি ম্যাচ বিশ্বের প্রথম পাঁচ টেনিস প্লেয়ারের আর কেউ সম্ভবত খেলেনি। ক্লে মরসুমটা ওর খুব পরিশ্রমের গিয়েছে। অনেক সাফল্যও রয়েছে। ক্লে এমন এক সারফেস যেটা টেনিস প্লেয়ারের থেকে প্রচুর ফিটনেস আর স্ট্যামিনা দাবি করে। এবং রোলাঁ গারোয় ওয়ারিঙ্কার কাছে হারটা বিশ্বের এক নম্বরের কাছে ছিল একটা কঠিন ধাক্কা।
কখনওসখনও এ রকম ধাক্কা সামলানোর সেরা রাস্তা হল, সব টুর্নামেন্ট থেকে দূরে থাকা। ম্যাচ খেলা থেকে বিশ্রাম নিয়ে স্রেফ নিজের প্র্যাকটিসের উপর সম্পূর্ণ ফোকাস করা। নোভাক শীর্ষ বাছাই। জানে কী ভাবে ওপেন জিততে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে ও প্রচুর সময় পেয়েছে ম্যাচ-রেডি হওয়ার জন্য।
উইম্বলডন এ বার এক সপ্তাহ দেরিতে শুরু হচ্ছে। বেশির ভাগ প্লেয়ার সে কারণে আরও বেশি তাজা আর জেতার খিদে নিয়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে নামবে। নোভাকের প্রথম রাউন্ড ফিলিপ কোলসক্রেইবারের সঙ্গে, যে কিনা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেই পারে। আর সত্যি বলতে উইম্বলডনে ‘ভাল, সহজ ড্র’ কথাটা অপ্রাসঙ্গিক। নোভাকের দিকে রজার, মারে, রাফার না পড়া মানে এই নয় যে, ওর অর্ধে কোনও বিপদ লুকিয়ে নেই!
ঘাস এমন এক সারফেস যার উপর অনেক অখ্যাত প্লেয়ারের সামনে জীবনের সেরা সুযোগ এসে পড়ে আর তার জন্য সব তারকারই বা়ড়তি সতর্ক থাকা দরকার।
উইম্বলডনের আগে গ্রাস কোর্টে খেলা অন্য বাছাইদের মধ্যে মারে সম্পর্কে বলা হচ্ছে, সেরা ফর্মে আছে। বছরকয়েক আগে উইম্বলডন জেতার সময় ওর সার্ভিস প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। আমার মতে এ বার মারের সার্ভিস কমপক্ষে সে বারের মতো হওয়া দরকার যদি আবার চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
উইম্বলডন নিয়ে ফেডেরারের কী রকম অনুভূতি সেটা আমি জানি। এই একটা গ্র্যান্ড স্ল্যামে ও যত দিন খেলবে সব সময়ই ফেভারিট। যে টুর্নামেন্টে ওর বিরুদ্ধে জেতাটা এখনও এক বিরাট ব্যাপার। নাদাল হয়তো ওর টাইটানিকের মতো বিশাল স্ট্যান্ডার্ডের থেকে একটু কমা রয়েছে এখন। কিন্তু নিজের ফিটনেস সমস্যা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতেও চলেছে। দেখা যাক, এ বছর ও কোথায় পৌঁছয়! তবে ওর বাৎসরিক আনন্দোৎসবটা ফরাসি ওপেনে এ বার মিস করায় নাদাল নিশ্চয়ই বেশি ক্ষুধার্ত আর মরিয়া থাকবে এখানে।
তবে আমার মতে সবচেয়ে বড় বিপদ হল ওয়ারিঙ্কা। চতুর্থ বাছাই ওর জীবনের সেরা টেনিসটা খেলছে এখন। ঘাসে ওর প্রচণ্ড পাওয়ারফুল শটগুলো নিশ্চয়ই আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে প্রতিপক্ষের সামনে। আরও তাৎপর্যের, ওয়ারিঙ্কা এখন বিশ্বাস করে যে, ও-ও অনেক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারে।
মেয়েদের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, সেরেনা এই টুর্নামেন্টে সব সময়ই টপ ফেভারিট। গত বার ওর গোড়ার দিকে হারাটা ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়বে। সেরেনার ভয়ঙ্কর গ্রাউন্ডস্ট্রোকের উপর পাল্টা ভয়ঙ্কর শট নিতে পারে আমার মতে শুধু কিভিতোভা। গত বারের চ্যাম্পিয়নের ঘাসের কোর্টে বাঁ-হাতি সার্ভ আর বিদ্যুৎ গতির ক্রস কোর্ট ওকে উইম্বলডনে স্পেশ্যাল করে তোলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy