উইম্বলডনে এ বার আবহাওয়া এতটাই গড়বড়ে যাচ্ছে যে, অনেক বাছাই প্লেয়ারের খারাপ সময়কে আরও গুরুতর করে তুলছে। বৃষ্টির ধাক্কায় ম্যাচ থেমে যাওয়া, ফের শুরু হওয়াটা ফেভারিটদের ছন্দে বেশি ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তাদের চ্যালেঞ্জারদের তুলনায়। সাধারণ টেনিসপ্রেমী হয়তো ভাবছেন, কন্ডিশন যখন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্যই এক, তখন বাছাইরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কেন? উত্তরটা খুব সহজ। শীর্ষস্থানীয় প্লেয়াররা খেলে নিজস্ব ছন্দে। সে জন্য ম্যাচ যত গড়ায়, বড় প্লেয়ারের খেলা ততই জমাট হয়ে ওঠে। বৃষ্টিতে বারবার খেলা থেমে যাওয়া, আবার শুরু হওয়াটা বড় প্লেয়ারের সেই নিজস্ব ছন্দের ব্যাঘাত ঘটায়।
উল্টো দিকে একজন সাধারণ খেলোয়াড় যে ভাবে হোক বলটা রিটার্ন করে। তার তো হারানোর কিছু নেই। ফলে বৃষ্টিতে ম্যাচ সাময়িক থামল, কী ফের শুরু হল, সেটা তার খেলায় তেমন প্রভাব ফেলে না। এমন আবহে বাছাইরা যখন ধারাবাহিকতার খোঁজে থাকে, তার উপর অবাছাই প্লেয়ার শাসন করতে শুরু করে। অবশ্য খুব কমই এ রকম অনামী প্লেয়ার আছে যারা শেষমেশ বাছাইদের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিতে পারে। তবে এ বারের উইম্বলডন দেখিয়ে দিয়েছে, আধুনিক টেনিসে স্কিল খেলোয়াড়দের এতটাই গভীরে ঢুকে পড়েছে যে, অনেক নীচের র্যাঙ্কিংয়ের প্লেয়ারও বিশ্বের এক নম্বরের চ্যালেঞ্জ সফল ভাবে নিতে পারে। তা সে নীচের র্যাঙ্কিংয়ের প্লেয়ার কপিবুক টেনিস শট নিয়ে থাক বা না থাক।
বাছাই প্লেয়ারের উপর সর্বদা জেতার একটা চাপ থাকে। সেই প্রত্যাশা যখন দুর্ভাগ্যবশত বারবার আবহাওয়ার কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন সেই ফেভারিটের টানটান মানসিক স্থিতিও খানিকটা ধাক্কা খায়। উইম্বলডনের এ রকম ঠান্ডা জোলো হাওয়ায় ম্যাচ সাময়িক বন্ধ থেকে ফের যখন শুরু হয়, প্লেয়ারের শরীর দ্রুত ম্যাচ সিচুয়েশনের যোগ্য গরম করে তোলা সবচেয়ে কঠিন কাজ। নোভাক জকোভিচ তো ম্যাচ হেরে গিয়ে লকার রুমেও ফেরেনি। বরিস বেকার আর অন্য সাপোর্ট স্টাফ নোভাকের ড্রয়ার পরিষ্কার করে অল ইংল্যান্ড ক্লাব ছেড়েছিল সে দিন। এর মধ্যে আমি নিজে ডাবলস থেকে ছিটকে গেলেও মিক্স়়ড ডাবলসে নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার ১১তম মিক্স়ড ডাবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জেতাই উইম্বল়ডনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমাকে তাতাচ্ছে।
রেকর্ড ফেডেরারের
উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে রজার ফেডেরার একইসঙ্গে ছুঁলেন কোনর্স ও নাভ্রাতিলোভাকে। কোনর্সের ১৪ বার উইম্বল়ডন শেষ আটে ওঠার রেকর্ড এবং মার্টিনার ৩০৬টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ জেতার নজির এখন ফেডেরারেরও দখলে। তৃতীয় বাছাইয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াই মারিন চিলিচের সঙ্গে। অন্য একটি কোয়ার্টার ফাইনালে স্যাম কুয়েরির মুখোমুখি মিলোস রাওনিক। শেষ আটে অ্যান্ডি মারে-ও। মেয়েদের কোয়ার্টার ফাইনালে সেরিনার লড়াই পাভলুচেনকোভার সঙ্গে। ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন শীর্ষ বাছাই সানিয়া মির্জা-মার্টিনা হিঙ্গিস। তবে বোপান্না-মার্জিয়া জুটির তৃতীয় রাউন্ডে হারে পুরুষ ডাবলস থেকে ভারতীয়দের চ্যালেঞ্জ শেষ হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy