Advertisement
১৬ মে ২০২৪

গেইলরাই পারে বড় অঘটনটা ঘটাতে, বিশ্বাস লারাদের

বিশ্বকাপের এক নম্বর দাবিদারদের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। নিজেদের অবস্থা যে বেশ ভাল, তা একেবারেই নয়। এই অবস্থা সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাঁদের সমর্থন পাচ্ছে, সেই নামগুলো দেখলে ক্রিস গেইল, ড্যারেন স্যামিরা আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতেই পারে।

ব্রায়ান লারা ও অ্যান্ডি রবার্টস।

ব্রায়ান লারা ও অ্যান্ডি রবার্টস।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৫ ০৪:৫২
Share: Save:

বিশ্বকাপের এক নম্বর দাবিদারদের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। নিজেদের অবস্থা যে বেশ ভাল, তা একেবারেই নয়। এই অবস্থা সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাঁদের সমর্থন পাচ্ছে, সেই নামগুলো দেখলে ক্রিস গেইল, ড্যারেন স্যামিরা আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতেই পারে।

ব্রায়ান লারা ও অ্যান্ডি রবার্টস।

দুই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কিন্তু শনিবার অকল্যান্ডে তাঁদের দলের জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বিশেষজ্ঞরা অঘটনের পূর্বাভাস দিলেও প্রথম দুই ম্যাচে তার ধারকাছ দিয়েও যায়নি ফেভারিট দলগুলি। তবে শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটতে পারে বলে বিশ্বাস প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ব্রায়ান চার্লস লারার। তাঁর বক্তব্য, “এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটার মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর অস্ত্র আছে। তেমন খেলোয়াড়ও আছে দলে। ওরাই পারে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনটা ঘটাতে।”

জ্যাসন হোল্ডাররা যে আন্ডারডগ হয়েই শনিবার আয়োজক দেশ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবেন, তা স্বীকার করে নিয়েই লারা এক টিভি চ্যানেলে বলেন, “মানছি, আমরা আন্ডারডগ। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের দুর্গেও তো ফাটল রয়েছে। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে না জেতার কোনও কারণ নেই।” তেইশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে যে বিশ্বকাপ হয়েছিল, সে বারও কিউয়িদের নক আউট থেকে ছিটকে যাওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে লারা বলেন, “এ বারও তা হবে না, কে বলতে পারে?”

কিন্তু সারা ক্রিকেটবিশ্ব যেখানে নিউজিল্যান্ডকে অন্যতম ফাইনালিস্ট ধরে বসে রয়েছে, সেখানে লারার এই স্রোতের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণ কী?

প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের ক্রিকেটীয় যুক্তি, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাইন-আপে বদল দরকার। ডোয়েন স্মিথকে সরিয়ে জনসন চার্লসকে (আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৫৫ করেছিলেন যিনি) ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠাতে হবে।” গেইলের ব্যাটে যদি রান আসে, তা হলে রামদিন বা লেন্ডল সিমন্সকে তিন নম্বরে পাঠানোর পরামর্শও দিলেন লারা।

কিনংবদন্তি ব্যাটসম্যান একা নন। পাশে পেয়ে গিয়েছেন আর এক কিংবদন্তিকেও। তিনি অ্যান্ডি রবার্টস। অ্যান্টিগার এক কাগজে হোল্ডারদের জন্য তাঁর টিপস, “বেশি চাপ নিও না। চাপ নিলে তোমরা হতোদ্যম হয়ে পড়ো। অনেকবারই দেখেছি জয়ের কাছ থেকেও ফিরে গিয়ে ম্যাচ হারতে হয়েছে।” নিজেদের স্বাভাবিক রেখে মাঠে খেলার পরামর্শ দিয়ে রবার্টস বলেছেন, “মাঠে নিজেরা স্বাভাবিক থাকো। নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলো। তোমরা জিততে পারো, এই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে রাখো। যদি ভুল করেও এক মুহূর্তের জন্যও হারের ভাবনা চলে আসে। তা হলে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না তোমাদের।”

যাঁরা শনিবার ইডেন পার্কে নামবেন, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা মুখে কুলুপ আঁটলেও তাঁদের বোলিং কোচ ও প্রাক্তন তারকা পেসার কার্টলে অ্যামব্রোজও কিন্তু লারা, রবার্টসদের সঙ্গে একমত। অ্যামব্রোজের ধারণা, তাঁর দলের অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা আছে। ওয়েলিংটনে প্র্যাকটিসের পর এ দিন তিনি বলেন, “আমাদের দলে কয়েকজন বিপজ্জনক খেলোয়াড় আছে। ম্যাচের দিন ওরা কেমন খেলবে, দেখা যাক। শুরুটা যদি ভাল হয়, বিপক্ষের আক্রমণ যদি সামলে নেওয়া যায় আর আমাদের ছেলেরা যদি নিজেদের আসল খেলাটা দেখাতে পারে, তা হলে অঘটন ঘটতেও পারে।” তাঁর আরও যুক্তি, “ঘরের মাঠের দর্শকদের প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। কঠোর মানসিক শক্তির পরীক্ষা দিতে হবে ওদের। বরং আমরাই চাপমুক্ত থাকব। কারণ, আমরা তো ফেভারিট নই। এটাই আমাদের প্লাস পয়েন্ট।”

নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার গ্রান্ট ইলিয়ট আবার বলছেন, তাঁদের শেষ চারের প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিক হয়ে গেলেও আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কিছু ভাবতে চাইছেন না তাঁরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যে মোটেই কম গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে তিনি বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ শক্তিশালী দল। সব দলেই যেমন ম্যাচ উইনার আছে, ওদেরও আছে। তাই ওদের নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে। আগে এই গন্ডিটা পার করি। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ভাবা যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE