রবিবার মেলবোর্নে স্পিন-অস্ত্রে বধ হতে পারেন ডে’ভিলিয়ার্স-মিলাররা। যদি নিজেদের অস্ত্রে শান দিয়ে মাঠে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা। এমনই ধারণা বিষেণ সিংহ বেদীর।
কিংবদন্তি স্পিনারের বিশ্বাস, ভারতের স্পিনাররা তাঁদের ভূমিকা ঠিকমতো পালন করতে পারলে ধোনি ব্রিগেড দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেগ দিতে পারবে। সে জন্য স্পিনারদের ঠিকমতো ব্যবহার করার পরামর্শও ধোনিকে দিলেন বেদী।
দক্ষিণ দিল্লিতে এক বন্ধুর বাড়িতে বসে ক্রিকেট বিশ্বে একসময় ত্রাস হয়ে ওঠা স্পিনার শনিবার ‘আনন্দবাজার’-কে বললেন, “ধোনিদের স্পিন-আক্রমণ ডে’ভিলিয়ার্স বা মিলাররা আটকাতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে! হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, ভারতের স্পিনাররাই দুই দলের মধ্যে তফাত গড়ে দিতে পারে।”
কী ভাবে?
বেদী বললেন, “ওদের মিডল ওভারে তো ব্যবহার করতেই হবে। ডেথ ওভারের জন্যও স্পিনারদের অন্তত চার ওভার রাখতেই হবে। মাঝের ওভারগুলোতে অশ্বিনদের উইকেটের জন্য ঝাঁপাতে হবে। আর ডেথ ওভারে রান আটকানো ও উইকেট নেওয়ার কাজ দুটোই করতে হবে। জানি কাজটা কঠিন। কিন্তু স্পিনাররাই পারে দক্ষিণ আফ্রিকার হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে।”
কিন্তু স্পিন জুটির অন্যতম রবীন্দ্র জাডেজা তো ফর্মে নেই। বেদীর ধারণা, “ফর্মে ফিরতে একটা ম্যাচ লাগে। কে বলতে পারে, রবিবারের ম্যাচই জাডেজার কাছে সেই ম্যাচ হয়ে উঠবে না?”
কী হওয়া উচিত রবিবার ভারতের স্ট্র্যাটেজি? প্রাক্তন অধিনায়ক বেদী চান, রবিবার টস জিতে ধোনি যেন প্রথমে ফিল্ডিং না নেন। বললেন, “অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দ্রুত বদলায়। তাই ধোনির টস জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যেতে পারে। টস জিতলে অবশ্যই ব্যাট করা উচিত। আর শুরুতে বিপক্ষের পেসারদের সামলে নিতে পারলেই বড় রান আসবে। তার পর তো বোলারদের কাজ। বিশেষত স্পিনারদের।”
মেলবোর্নে স্পিনারদের কাজ কী হবে? এই নিয়ে বেদীর মন্তব্য, “আজকালকার স্পিনাররা উইকেট পাওয়ার চেষ্টা না করে রান আটকানোর দিকে বেশি জোর দেয়। এটা ঠিক নয়। স্পিন বলেও যে বারুদ ঠাসা থাকতে পারে, তা আমাদের বিরুদ্ধে যারা ব্যাট করত, তারা বুঝত। এ কালের বিদেশি ব্যাটসম্যানরা কেন তা টের পাবে না? বিদেশের মাটিতে আমাদের স্পিনাররা উইকেট পেতে পারে। আর ওরা ঠিকমতো বোলিং করতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা বিপদে পড়বেই পড়বে।”
বেশির ভাগ সময় ফ্লাইট করিয়ে ব্যাটসম্যানদের ক্রিজ থেকে টেনে বের করে আনুক স্পিনাররা। এটাই প্রথম শর্ত বেদীর। বললেন, “বল ফ্লাইট করাতে হবে বেশি। উইকেট থেকে সাহায্য পাবে কি পাবে না, এই ভেবে বসে থাকলে হবে না। উইকেট থেকে ফায়দা তুলতে হবে। আর কোনও সাহায্য না পেলে হাওয়াকে কাজে লাগাতে হয়। ওদের ব্যাটসম্যানদের কিছুতেই ক্রিজে দাঁড়িয়ে শট খেলতে দেওয়া চলবে না। সঙ্গে দরকার তুখোড় ফিল্ডিং। হাফ-চান্সগুলোকেও নিতে হবে। এ রকম পারফরম্যান্স না হলে এই ম্যাচে জেতা সম্ভব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy