Advertisement
E-Paper

নভেম্বরে নির্বাচন, ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে প্রশ্ন

শনিবার ওয়ার্কিং কমিটির সভায় প্রতি সদস্যের হাতে সংস্থার নতুন গঠণতন্ত্রের খসড়া ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা অনুমোদিত হবে মঙ্গলবার বিশেষ সাধারণ সভায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৪
সিএবি-তে নির্বাচন ঘিরে ইডেন ক্লাব হাউসে উত্তাপ কমার সম্ভাবনা কম। —ফাইল চিত্র।

সিএবি-তে নির্বাচন ঘিরে ইডেন ক্লাব হাউসে উত্তাপ কমার সম্ভাবনা কম। —ফাইল চিত্র।

পুজোর পরে ইডেনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর। তাই শারদীয়া উৎসবের পরেও তার মেজাজটা থেকেই যাবে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিএবি-তে। কিন্তু ৪ নভেম্বর ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পরেও ইডেন ক্লাব হাউসে উত্তাপ কমার সম্ভাবনা কম। এর পরে যে আরও একটা ম্যাচ হতে চলেছে, যেখানে বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিষেক ডালমিয়াদের হার-জিত নির্ধারিত হবে। বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষপদে কারা বসবেন, টিম-সৌরভ, না বিরোধীরা, সে জবাবও মিলবে ওই বার্ষিক সভায়, যেখানে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।

শনিবার সন্ধ্যায় সিএবি-র ইতিহাসে শেষ ওয়ার্কিং কমিটির সভা সেরে বেরিয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘৪ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে নতুন কমিটি বাছা যাবে না। কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরে বার্ষিক সাধারণ সভা হবে।’’ বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে রাজ্য সংস্থাগুলিকে। সৌরভের কথায় তাই ধরে নেওয়া যায় ১০ থেকে ১৫ নভেম্বর সিএবি-র বার্ষিক সভা ও সম্ভাব্য নির্বাচন।

শনিবার ওয়ার্কিং কমিটির সভায় প্রতি সদস্যের হাতে সংস্থার নতুন গঠণতন্ত্রের খসড়া ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা অনুমোদিত হবে মঙ্গলবার বিশেষ সাধারণ সভায়। কিন্তু সদ্য তা হাতে পাওয়ায় এই নিয়ে এ দিন বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব হয়নি। খসড়ার দু-একটি বিষয় নিয়ে অবশ্য এ দিন প্রশ্ন ওঠে বলে শোনা যায়। ট্রাস্টি বোর্ড রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই খসড়ায়। যা বোর্ডের গঠণতন্ত্রে নেই। তা হলে কেন ট্রাস্টি বোর্ড রাখা হল আর কেনই বা পাঁচ জনের এই ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের যোগ্যতামান বেঁধে দেওয়া হল না? মঙ্গলবার বিশেষ সাধারণ সভাতেও এই প্রশ্ন উঠতে পারে।

এই নিয়ে সিএবি-র একাংশের ব্যাখ্যা, তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যাদের মেয়াদ শেষ হবে, তারা যাতে সংস্থায় থাকতে পারে, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। আদালতের নির্দেশে যাতে সায় নেই। শুক্রবার মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার ওয়েবসাইটে দেওয়া গঠনতন্ত্রে এই ট্রাস্টি বোর্ডের উল্লেখ নেই। এ ছাড়া সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বা সিইও নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সারা বছরে একশো কোটি টাকার ব্যবসা করে, এমন বাণিজ্যিক সংস্থার শীর্ষপদাধিকারী বা সিইও-কে বোর্ড বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সিইও করে আনতে হবে। সিএবি-র বর্তমান সিইও-র সেই যোগ্যতা আছে কি না, এই প্রশ্নও উঠে গিেয়ছে ইতিমধ্যেই।

নতুন নিয়মে সংস্থার শীর্ষকর্তা থাকবেন পাঁচজন। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব, যুগ্ম সচিব ও কোষাধ্যক্ষ। এ বার থেকে প্রত্যেক অনুমোদিত সংস্থাকে দেওয়া আর্থিক অনুদানের ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব দিতে হবে। ময়দানে বহু ক্লাবের বিরুদ্ধে সিএবি-র দেওয়া টাকায় ফুটবল দল তৈরির অভিযোগ ওঠে। এ বার আর তা করা যাবে না। প্রশাসনে এই ব্যাপক ভোলবদল ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার।

Cricket Association of Bengal Cricket CAB সিএবি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy