এএফপি-র তোলা ফাইল চিত্র।
বর্ণবৈষম্যের বাধা কাটিয়ে ক্রিকেটের মূল স্রোতে ফেরার পর তাঁর অধিনায়কত্বেই প্রথম ওয়ান ডে খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯১ সালের সেই ভারত সফর পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেট তথা বিশ্বক্রীড়ার ইতিহাসে। মঙ্গলবার স্বদেশের মাটিতে কেপ টাউনের এক হাসপাতালে প্রয়াত হলেন সেই ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইস। বয়স হয়েছিল ৬৬।
বহু দিন থেকেই ব্রেন টিউমারে ভুগছিলেন রাইস। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বে। বিশেষত, ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে। বর্ণবৈষম্যের কারণে ক্রিকেট আঙিনা থেকে জাতীয় দলের নির্বাসনের সময় রাইস নিয়মিত ছিলেন ইংল্যাড কাউন্টি নটিংহ্যামশায়ার দলে। একটি বিবৃতিতে শোকপ্রকাশ করেছেন নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ। রাইসকে ‘উজ্জ্বল আলো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশক পর্যন্ত নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে খেলে দলকে দু’বার (’৮১ ও ’৮৭) কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাবও এনে দেন রাইস। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে খেলতে নামবেন প্রোটিয়ারা।
তবে রাইসের জীবনের উজ্জ্বলতম মুহূর্ত বোধহয় ৪২ বছর বয়সে ভারতের বিরুদ্ধে প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দেওয়া। ’৯১-এর সেই সফরে তিনটি ওয়ান ডে খেলেছিল প্রোটিয়ারা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাটাল, ট্রান্সভাল এবং নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে মোট ৪৮২টি ম্যাচ খেলেছেন রাইস। ৪০.৯৫ গড়ে ২৬,৩৩১ রান করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ২২.৪৯ গড়ে ৯৩০টি উইকেটের পরিসংখ্যানও।
আইসিসি ক্রিকেটের চিফ এগ্জিকিউটিভ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড রিচার্ডসন রাইসের মৃত্যুতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে বলেন, “শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের এক নক্ষত্র ছিলেন ক্লাইভ রাইস।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy