Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩

বোর্ড নির্বাচনে ভোট নেই শ্রীনির ক্রিকেট সংস্থার

সিওএ ঘোষণা করে দিয়েছে, ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচন হবে ২৩ অক্টোবর। নতুন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে।

চর্চায়: শ্রীনির রাজ্যের ভোট দানে নিষেধ সিওএ-র। ফাইল চিত্র

চর্চায়: শ্রীনির রাজ্যের ভোট দানে নিষেধ সিওএ-র। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০০
Share: Save:

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনের আগে ধাক্কা খাওয়ার মুখে এন শ্রীনিবাসন। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর, শ্রীনির তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থাকে বোর্ড নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের দল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)। অভিযোগ, লোঢা কমিটির সম্পূর্ণ সুপারিশ মেনে নিজেদের ক্রিকেট সংস্থায় সংস্কার করে নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করেনি তামিলনাড়ু। একই কারণে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাকেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না নির্বাচনে।

Advertisement

সিওএ ঘোষণা করে দিয়েছে, ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচন হবে ২৩ অক্টোবর। নতুন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছিল, শ্রীনি নেপথ্যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং লোঢা সংস্কারের ধাক্কায় তিনি নিজে যতই মসনদ দখলের যোগ্যতা হারিয়ে থাকুন, পছন্দসই প্রার্থীকে বসানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। ঠিক যে ভাবে রাতারাতি তিনি তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রধান করে দিয়েছেন মেয়ে রূপা গুরুনাথকে। কিন্তু সিওএ যদি নির্বাচনেই শ্রীনির সংস্থাকে প্রবেশাধিকার না দেয়, তা হলে তাঁর পক্ষে অতটা প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।

বোর্ডের একটি সূত্র পিটিআই-কে জানিয়েছে, সিওএ ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু এবং হরিয়ানাকে জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনে তাদের ভোট থাকছে না। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাকেও একই কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার অধীনে পুণের মাঠে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই দেশের বাইরে থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা থেকে কে বোর্ডের সভায় যাবেন, তা-ও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ধরেই নেওয়া যায়, এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করবে তিনটি ক্রিকেট সংস্থাই। তার জেরে বোর্ড নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে কি না, সেটাই দেখার। শোনা যাচ্ছে, তামিলনাড়ু তাদের গঠনতন্ত্রে ২১টি সংস্কার মানেনি। তার মধ্যে সত্তরোর্ধ্বদের নিয়ে নিষেধাজ্ঞা এবং সংস্থায় ছ’বছর কাটানোর পরে বাধ্যতামূলক ‘কুলিং-অফ’ মেয়াদের শর্তকে লঙ্ঘন করা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শ্রীনি পাল্টা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছেন, বোর্ড নির্বাচনে প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক্তিয়ার নেই সিওএ-র। যার জবাবে বিনোদ রাই-রা সম্ভবত পাল্টা জবাব তৈরি করে রেখেছেন যে, বোর্ড নির্বাচন তাঁদের নজরদারিতেই হওয়ার কথা। যারা সংস্কার মেনে গঠনতন্ত্র তৈরি করছে না, তাদের কোনও ভাবেই বোর্ড নির্বাচনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সিওএ-র কট্টর মনোভাবের জবাবে শ্রীনি এখন কোন পন্থা নেন, তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট মহল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.