Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩
কনফেডারেশন্স কাপ সেমিফাইনাল
Sports News

ব্রাভোর হাতে শেষ পর্তুগাল, টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে চিলে

আক্রমণ ছিল, ছিল কাউন্টার অ্যাটাক। গোল মুখি শট কখনও থমকে গিয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে। কখনও নিজের গোলের সামনে দেওয়াল তৈরি করেছেন দুই গোলকিপার। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি কেউই। যে সাত বনাম সাত দেখার জন্য বুধবারের রাত জাগার পরিকল্পনা সেই লড়াই তেমন ভাবে দেখা গেল না পুরো ম্যাচে।

চিলে গোলের নিচে বাজিমাত ব্রাভোর।

চিলে গোলের নিচে বাজিমাত ব্রাভোর।

সুচরিতা সেন চৌধুরী
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০২:২৪
Share: Save:

পর্তুগাল ০ (০) : চিলে ০ (৩) (১২০ মিনিট)

Advertisement

টাই ব্রেকার

পর্তুগাল ০ কোরেসমা (সেভ), মোতিনহো (সেভ), নানি (সেভ)

চিলে ৩ ভিদাল (গোল), মারিয়ানো (গোল), স্যাঞ্চেজ (গোল)

Advertisement

কোপা আমেরিকার ফাইনাল মনে করাল চিলে। সেই অতিরিক্ত সময় সেই টাই ব্রেকার। এক বছর আগের সেই রাতে প্রতিপক্ষ ছিল মেসির আর্জেন্তিনা আর এ দিন রোনাল্ডোর পর্তুগাল। বিশ্ব ফুটবলের এই মুহূর্তের দুই সেরা নামকেই মাত দিলেন ভিদাল, স্যাঞ্চেজরা। চিলে গোলের নিচে বাজিমাত ব্রাভোর।

প্রথমার্ধটা ছিল একে অপরকে মেপে নেওয়ার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হঠাৎ জয়ের খিদে দেখা দিয়েও হারিয়ে গেল। কিছুটা ছন্নছাড়া। ফিনিশিংয়ের অভাবে ভুগল দু’পক্ষই। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। এখানেই শেষ হতে পারত ম্যাচ যদি না শেষ মুহূর্তে চিলের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিতেন পর্তুগাল গোলকিপার। আর ফিরতি বলে ভিদালের শট বাঁচাল ক্রসবার।

আক্রমণ ছিল, ছিল কাউন্টার অ্যাটাক। গোল মুখি শট কখনও থমকে গিয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে। কখনও নিজের গোলের সামনে দেওয়াল তৈরি করেছেন দুই গোলকিপার। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি কেউই। যে সাত বনাম সাত দেখার জন্য বুধবারের রাত জাগার পরিকল্পনা সেই লড়াই তেমন ভাবে দেখা গেল না পুরো ম্যাচে। তুলনা করলে রোনাল্ডোর থেকে কিছুটা পিছিয়েই থাকলেন স্যাঞ্চেজ।

ম্যাচের নায়ক ব্রাভোকে ঘিরে উল্লাসে মাতলেন চিলে ফুটবলাররা।

বাঁ দিক থেকে রোনাল্ডোর একটা অসাধারণ মাপা পাস আন্দ্রে সিলভা হেলায় না হারালে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত পর্তুগাল। আক্রমণে উঠল চিলেও। কিন্তু ফিনিশি করার কেউ ছিল না। ভিদাল বেশ কয়েকবার ওপেন করলেন কিন্তু গোল এল না। ম্যাচের উত্তেজনা এতটাই ছিল যে হলুদ কার্ড হল অনেক। কিন্তু প্রায় পুরো ম্যাচেই দুই দলের লক্ষ্য ছিল গোল হজম না করা। তাই আর নির্ধারিত সময়ে গোলের মুখ খোলা হল না কারও।

আরও পড়ুন:

সেমিফাইনালে সাতের সঙ্গে সাতের লড়াই

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা অনেকটাই গতি পেল। এর আগে রোনাল্ডো গোলের বল তৈরি করলেও প্রথম গোলে শট নিলেন ৫৯ মিনিটে। এই প্রথম তাঁকে দেখা গেল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে। ৬৫ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে সেই রোনাল্ডোরই ফ্রিকিক চিলে রক্ষণকে বেগ দিতে ব্যর্থ হল। শেষ ২০ মিনিট দু’দলই নিজেদের রক্ষণে শক্তি বাড়াল। যার ফল, গোল এল না। স্যাঞ্চেজকে প্রথম পাওয়া গেল ম্যাচের ৯৪ মিনিটে। যখন অল্পের জন্য তাঁর হেড বাইরে গেল।

দু’পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল। চিলে কোচ জুয়ান পিজ্জি যেখানে তিনটি পরিবর্তন করেছিলেন সেখানে পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস পাঁচটি পরিবর্তন করে দল নামিয়েছিলেন। কার্ডের জন্য পেপের না থাকাট বড় ধাক্কা ছিল স্যান্টোসের জন্য। বাকি তিনটি পরিবর্তন ছিল মাঝমাঠে। অন্য দিকে চিলের প্রথম দলে মাঝ মাঠে পাবলো হার্নান্ডেজ চলে আসায় অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পজিশনে খেলতে পেরেছিলেন ভিদাল।

প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলতে তাই দল সাজিয়েছিলেন ৪-৩-৩এ। সেখানে ৪-৪-২এ সমান আক্রমণাত্মক ছিল পর্তুগাল। কিন্তু গোল এল না নির্ধারিত সময়ে। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। ৯০ মিনিটের সেই ফুটবলই চলল আরও ৩০ মিনিট। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাজিমাত চিলের। শুরু থেকে শেষ একা লড়লেন ব্রাভো। শেষ বেলায় ওই হাতেই আটকে গেল রোনাল্ডোর পর্তুগাল।

পর্তুগাল: প্যাট্রিসিও, সেড্রিক, ফঁতে, আলভেজ, এলিসিউ, বার্নার্দো সিলভা, উইলিয়াম, আদ্রিয়েন সিলভা, আন্দ্রে গোমস, রোনাল্ডো, আন্দ্রে সিলভা।

চিলে: ব্রাভো, ইসলা, মেডেল, জারা, বেসেজোর, আরানগুইজ, দিয়াজ, হার্নান্ডেজ, ভার্গেস, সাঞ্চেজ, ভিদাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.