Advertisement
০১ মে ২০২৪
Ricky Ponting

বল পাল্টানো নিয়ে তদন্তের দাবি পন্টিংয়ের

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭তম ওভারে উসমান খোয়াজার হেলমেটে মার্ক উডের বাউন্সার লাগে। মাঠের দুই আম্পায়ার জোয়েল উইলসন এবং কুমার ধর্মসেনা মনে করেন, হেলমেটে লেগে বলের আকৃতি পাল্টে গিয়েছে।

An image of Ricky Ponting

রিকি পন্টিং। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:১৯
Share: Save:

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বল বদল করা হল কেন, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুললেন রিকি পন্টিং। আম্পায়ারদের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটে চতুর্থ দিন অর্থাৎ রবিবার। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭তম ওভারে উসমান খোয়াজার হেলমেটে মার্ক উডের বাউন্সার লাগে। মাঠের দুই আম্পায়ার জোয়েল উইলসন এবং কুমার ধর্মসেনা মনে করেন, হেলমেটে লেগে বলের আকৃতি পাল্টে গিয়েছে। তাই তাঁরা বলটিকে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরে চতুর্থ দিনে খুব বেশি ওভার খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে। কারও কারও মত, পাল্টে দেওয়া বলটি বেশ শক্ত ছিল বলে সোমবার সকালে বৃষ্টি থামার পরে যখন খেলা শুরু হয়, অন্যায় সুবিধে পেয়ে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। তার উপরে পরিবেশও মেঘলা ছিল। সোমবার শুরুতেই ক্রিস ওকসের বলে দুই ওপেনার ওয়ার্নার এবং খোয়াজা আউট হয়ে যান। তখন কটাক্ষ করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল টুইট করেন, ‘‘দ্বিতীয় নতুন বল থেকে সাবধান, বন্ধুরা।’’

পন্টিং মনে করেন, আম্পায়ারেরা হয় নিজেরা সঠিক কাজ করেননি নতুন বলটিকে বেছে অথবা তাঁদের কাছে উপযুক্ত বিকল্প বলের বাক্স পাঠানো হয়নি। স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে পন্টিং বলেন, ‘‘আমার সব চেয়ে বড় আপত্তি হচ্ছে, দু’টো বলের অবস্থায় অনেক তফাত ছিল। যে বলটা সরানো হল আর যেটা আনা হল, দু’টো পাশাপাশি রাখলে কেউ বলবে না একই রকম বল।’’ তাঁর আরও সওয়াল, ‘‘বল যদি পাল্টাতেই হয়, তা হলে নিশ্চিত করা দরকার যেন পুরনোটার মতো অবস্থায় রয়েছে, এমন বল আনা হয়। কিন্তু বাক্সটার মধ্যে যদি ভাল করে তাকিয়ে দেখে কেউ, তা হলে দেখতে পাবে খুব বেশি পুরনো অবস্থায় থাকা বল ছিল না। কয়েকটা পুরনো বল ছিল কিন্তু আম্পায়ারেরা নেড়েচেড়ে দেখে বাক্সেই রেখে দিয়েছিলেন।’’

এখানেই থামেননি পন্টিং। জোরাল প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারদের মনোভাব নিয়ে। বলেছেন, ‘‘দু’জন আম্পায়ারেরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। অবাক হয়ে যাচ্ছি, ওরা এত বড় ভুল কী করে করতে পারে। আমার মনে হয়, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। বাক্সের মধ্যে কী যথেষ্ট পরিমাণে পুরনো বল ছিল না? নাকি মাঠের আম্পায়ারেরা যেমন তেমন করে একটা বল তুলে নিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন!’’

বিকল্প বলের বাক্স মাঠের আম্পায়ারদের কাছে নিয়ে আসার দায়িত্ব থাকে চতুর্থ আম্পায়ারের। এ ক্ষেত্রে চতুর্থ আম্পায়ার ছিলেন ডেভিড মিলিন্স। বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্কাই এ দিন দেখিয়েছে, পঞ্চম দিন খেলা শুরু হওয়ার পরে বল চতুর্থ দিনের শেষ বেলার চেয়ে অনেক বেশি নড়াচড়া করেছে। পন্টিংয়ের মন্তব্য, ‘‘নিশ্চয়ই সোমবার সকালের আবহাওয়া সুইং বোলিংয়ের জন্য ভাল ছিল মানছি। একই সঙ্গে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, কাল যে বলটা সরানো হয়েছে সেটা এতটা বাঁক নিত না এই পরিবেশেও। চতুর্থ দিন বিকেলের চেয়ে দ্বিগুণ নড়াচড়া হয়েছে পঞ্চম দিন সকালে।’’

ক্রিকেটের ৪.৫ আইনের ধারা অনুযায়ী, বলের আকৃতি নষ্ট হলে তা পরিবর্তন করতে পারেন আম্পায়ারেরা। কিন্তু যে অবস্থায় ছিল পুরনো বল, ঠিক সেই ধরনের বলই বিকল্প হিসেবে বাছতে হবে। এখন দেখার, আইসিসি সত্যিই পন্টিংয়ের গুরুতর অভিযোগের জেরে তদন্তের আদেশ দেয় কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE