যশপ্রীত বুমরা। —ফাইল চিত্র।
চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পর ভারতীয় দলে ফিরেছেন যশপ্রীত বুমরা। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে নেতৃত্বও দিচ্ছেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই নজর কেড়েছেন বল হাতে। প্রমাণ করে দিয়েছেন, চোট তাঁর বোলিংয়ের ধার কমাতে পারেনি। চোট সারিয়ে ফেরা বুমরার বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তনও দেখা যাচ্ছে।
চোটের সম্ভাবনা এড়াতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) কোচেরাই বুমরার বোলিং অ্যাকশনে কিছু পরিবর্তন করেছেন। তাতে এক দিকে যেমন চোট লাগার সম্ভাবনা এড়ানো যাবে, তেমনই বাড়বে বলের ধারও। কী কী পরিবর্তন করা হয়েছে বুমরার বোলিং অ্যাকশনে? এনসিএর এক সিনিয়র কোচ বলেছেন, ‘‘আমরা বুমরার বোলিংয়ের ভিডিয়ো বার বার দেখেছি। কী কারণে ওর পিঠের নীচের অংশে বার বার চোট লাগছে, তা খোঁজার চেষ্টা করেছি। বুমরা আগে ছ’-সাত পা দৌড়ে এসে বল করত। সাত নম্বর স্টেপে ক্রিজে ঢুকে লাফ দিত। তাতে ওর পিঠের নীচের অংশে বেশি চাপ পড়ত।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল করার সময় বুমরা আরও দু’তিন পা বেশি দৌড়চ্ছে। বল হাত থেকে ছাড়ার পর ফলো থ্রুর সময়ও বেড়েছে আগের তুলনায়। ওর বোলিং অ্যাকশনের এটা খুব বড় পরিবর্তন নয়। এই অল্প পরিবর্তন-ই বুমরাকে চোট মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।’’
রান আপ বড় করার কারণ কী? জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ওই কোচ বলেছেন, ‘‘এতে বল করার ছন্দ আরও সহজ হবে। বলের ধার যেমন বাড়বে, তেমনই চোট লাগার সম্ভাবনাও কমবে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘বুমরাকে আগে যুদ্ধ বিমানের মতো লাগত। সামান্য কয়েক পা দ্রুত দৌড়েই বল করত। তাতে কাঁধ এবং পিঠের পেশি ব্যবহার করে বলে গতি আনতে হত। ফলে চোট লাগত ঘন ঘন। অস্ত্রোপচারের পর কয়েক পা বেশি দৌড়চ্ছে। জোরে বোলারদের পা শক্তিশালী হওয়া দরকার। বড় রান আপ বুমরার ছন্দটা আরও ভাল তৈরি করছে। তাতে পা দুটো আরও ভাল ব্যবহার করতে পারছে। ফলো থ্রু বেশি হওয়াও উপকার করছে। পিঠে কম চাপ পড়ছে। পেশি স্বাভাবিক হওয়ার সময় বেশি পাচ্ছে।’’
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ওই কোচের মতো নতুন বুমরা আগের থেকে আরও বেশি শক্তিশালী। বলের গতি যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে কার্যকারিতা। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে থাকার সময় শেষ দিকে দিনে ১২ থেকে ১৫ ওভার বল করতেন তিনি। তাই এক দিনের ম্যাচ খেলতেও কোনও সমস্যা হবে না তাঁর। খেলার মধ্যে থাকলে আরও উন্নতি করতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy