কুলদীপ যাদব। —ফাইল চিত্র।
শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও দলকে সাহায্য করতে চান কুলদীপ যাদব। দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে মাঠে মরিয়া উত্তরপ্রদেশের বাঁহাতি স্পিনার। তাই নেটে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন। রপ্ত করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন শট।
বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচেই উইকেট নিচ্ছেন কুলদীপ। প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারদের উইকেট তুলছেন। তাঁর বল খেলতে সব দেশের ব্যাটারেরাই সমস্যায় পড়ছেন। নিজের বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। বাড়িয়েছেন বলের গতি। কুলদীপ এ টুকুতেই থামতে চান না। রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নবম উইকেটে জুটিতে যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ২১ রান যোগ করেছেন কুলদীপ। ১৩ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। নিজের ব্যাটিং নিয়ে কুলদীপ বলেছেন, ‘‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে পরিশ্রম করছি। ধীরে ধীরে ব্যাট হাতেও দলকে সাহায্য করতে চাই। শেষ দিকে ১০-১৫ রান করতে পারলেও দলের কাজে লাগে অনেক ক্ষেত্রে। যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা ছোট জুটি তৈরি করতে পেরেছি। তাতে ওদের ২৩০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়া গিয়েছিল।’’ কুলদীপ আরও বলেছেন, ‘‘এই অল্প রানও বোলারদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিতে পারে। প্রতিপক্ষকে নির্দিষ্ট রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে সাহায্য করে এই আত্মবিশ্বাস।’’
নেটে ব্যাটিংয়ের জন্য সময় দিলেও কুলদীপ ব্যাটার হতে চান না। নিজেকে অলরাউন্ডারও ভাবতে চাইছেন না। তাঁকে কেউ ব্যাটার হওয়ার জন্য চাপও দেয়নি। সাজঘরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উপস্থিতি কি চাপে রেখেছে? তেমন কিছুও নয়। নিজের ইচ্ছাতেই শেখার চেষ্টা করছেন। কুলদীপ বলেছেন, ‘‘ভাববেন না আমি মাঠে নেমেই দারুণ ব্যাট করে দেব। আমাকে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। নেটে মন দিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করছি। যতটা সম্ভব বেশি সময় দিচ্ছি। হয়তো কখনও কিছু রান করতে পারব। আবার কখনও রান আসবে না। দ্রুত আউট হয়ে যাব। তবু চেষ্টা করতে চাই। শেষ দিকে হয়তো তিন-চার ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাই আমরা। তাই ব্যাটারদের মতো করে ভাবতে চাইছি না। কয়েকটা বলে রান না হলেই আমাদের মধ্যে চাপ তৈরি হয়। সেটা কাটাতে চাইছি। আশা করছি, আগামী ম্যাচগুলোয় ১৫-২০ রান করে দলকে সাহায্য করতে পারব প্রয়োজন হলে। ৯-১০ রান করার থেকে তো একটু ভাল।’’
শিশিরের জন্য বিশ্বকাপে অনেক বোলারের সমস্যা হচ্ছে। কুলদীপের তেমন সমস্যা হয়নি এখনও। এই রহস্যের কথাও জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ম্যাচের পর। বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন, ‘‘শিশিরের কথা অজানা নয়। বোলার হিসাবে এই সমস্যার কথা মাথায় রাখতেই হয়। গত এক বছর ধরে সেটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছি। গত এক বছরে আমরা অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ড, শ্রীলঙ্কায় এক দিনের ম্যাচ খেলেছি। অনেক ম্যাচেই পরে বল করতে হয়েছে। তাই শিশিরের জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিয়ে হয়েছে। তাই রাতে বল করার ব্যাপারটা আমার কাছে নতুন নয়। এক জন বোলার কখনও শিশিরের মধ্যে বল করতে পছন্দ করে না। শিশির পড়লে ব্যাট করা সহজ হয়। আমার দিনে বা রাতে কখনও বল করতে সমস্যা হয় না। ব্যাটারেরা ভাল খেললে, বোর্ডে ৩০০ রান থাকলে বোলারদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy