মহিলাদের আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
তিনি প্রথম কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রিসেপশনিস্ট হিসাবে। তার পরে ধীরে ধীরে প্রশাসনে গিয়েছেন। সেখানেও বিভিন্ন দফতরে ঘুরেছেন। অবশেষে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা তাঁকে দিয়েছে পিচ প্রস্তুতকারকের দায়িত্ব। দেশের প্রথম মহিলা পিচ প্রস্তুতকারক জসিন্থা কল্যাণ। এ বারের মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে পিচ তৈরির দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধেই।
বেঙ্গালুরু থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে হারোবেল নামের একটি গ্রামে জন্ম জসিন্থার। বাবা ছিলেন কৃষক। গমের ক্ষেতে বাবার সঙ্গে চাষের কাজে হাত মেলাতেন। ১৯ বছর বয়সে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থায় রিসেপশনিস্টের কাজ শুরু করেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁর কেরিয়ারে বদল হয়। তাঁকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মাঠকর্মীদের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই পিচ তৈরির খুঁটিনাটি শেখেন তিনি। কয়েক মাস পরে জসিন্থা কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার সচিব ব্রিজেশ পটেলকে জানান, তিনি পিচ তৈরি করতে চান।
৪৯ বছরের জসিন্থা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমি কিছুই জানতাম না। প্রথমে মনে হত, কলেডের ছাত্রদের মধ্যে আমি একাই কেজিতে পড়ি। কিন্তু আমার শেখার ইচ্ছা ছিল। ব্রিজেশ স্যরের কথার পরে চিন্নাস্বামীর দুই পিচ প্রস্তুতকারক পিএস বিশ্বনাথ ও কে শ্রীরাম স্যর আমাকে হাতে ধরে আরও শেখান। ২০১৮ সালে আমি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরীক্ষা দিই। আমি পাশ করি।”
বাবা কৃষক হওয়ায় জন্মের পর থেকেই মাটির সঙ্গে যোগ ছিল জসিন্থার। বাবা মারা যাওয়ার পরেও পারিবারিক জমির রক্ষণাবেক্ষণ করেন তিনি। এখনও সেখানে গম ফলানো হয়। কিন্তু কৃষিজমিতে কাজ করা আর পিচ তৈরি করা আলাদা বলেই জানিয়েছেন জসিন্থা। তিনি বলেন, “কৃষিকাজ ও পিচ দুটোই মাটিতে হলেও আলাদা। পিচ প্রতিটা মরসুমে বদলে যায়। আবহাওয়া ও পরিস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পিচ সন্তানের মতো। দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। তবেই তাতে ভাল ম্যাচ হয়।”
২০১৮ সাল থেকে চিন্নাস্বামীতে পিচ তৈরি করছেন জসিন্থা। ২০২৩-২৪ মরসুমে রঞ্জিতে পিচ তৈরি করেছেন তিনি। গোয়া, পুদুচ্চেরী ও কেরলের মাঠে তিনিই উইকেট তৈরি করেছেন। ফলে মহিলাদের আইপিএলে পিচ তৈরির দায়িত্ব পেয়েছেন জসিন্থা। তাঁর তৈরি পিচেই খেলতে নামবেন হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালি বর্মারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy