Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Diego Maradona

একই ম্যাচে নিন্দিত ও প্রশংসিত, ফুটবলার হিসাবে যতটা সফল কোচিংয়ে ততটাই ব্যর্থ রাজপুত্র

৩০ অক্টোবর, ১৯৬০। ৪ মেয়ের পর প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম হল মারাদোনা পরিবারে। নাম রাখা হল দিয়েগো। গরিব পরিবারে জন্ম হল ভবিষ্যতের ফুটবলের রাজপুত্রের। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। যে নাম সারা বিশ্বের কাছে হয়ে উঠল ভালবাসার আরেক নাম।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০০:৩৭
Share: Save:
০১ ১৬
৩০ অক্টোবর, ১৯৬০। ৪ মেয়ের পর প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম হল মারাদোনা পরিবারে। নাম রাখা হল দিয়েগো। গরিব পরিবারে জন্ম হল ভবিষ্যতের ফুটবলের রাজপুত্রের। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। যে নাম সারা বিশ্বের কাছে হয়ে উঠল ভালবাসার আরেক নাম।

৩০ অক্টোবর, ১৯৬০। ৪ মেয়ের পর প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম হল মারাদোনা পরিবারে। নাম রাখা হল দিয়েগো। গরিব পরিবারে জন্ম হল ভবিষ্যতের ফুটবলের রাজপুত্রের। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। যে নাম সারা বিশ্বের কাছে হয়ে উঠল ভালবাসার আরেক নাম।

০২ ১৬
বুয়েনাস আইরেসে বড় হয়ে ওঠা মারাদোনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে জায়গা করে নিলেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র দলে। টানা ৫ বছর সেই দলের হয়ে খেললেন ১৬৭টি ম্যাচ, করলেন ১১৬টি গোল।

বুয়েনাস আইরেসে বড় হয়ে ওঠা মারাদোনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে জায়গা করে নিলেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র দলে। টানা ৫ বছর সেই দলের হয়ে খেললেন ১৬৭টি ম্যাচ, করলেন ১১৬টি গোল।

০৩ ১৬
জাতীয় দলে জায়গা করে নিতেও বেশি সময় লাগেনি তাঁর। ১৭ বছর বয়সেই আর্জেন্টিনার জার্সি পরলেন ফুটবলের রাজপুত্র।

জাতীয় দলে জায়গা করে নিতেও বেশি সময় লাগেনি তাঁর। ১৭ বছর বয়সেই আর্জেন্টিনার জার্সি পরলেন ফুটবলের রাজপুত্র।

০৪ ১৬
বোকা জুনিয়ার্সে ১ বছর কাটিয়ে তিনি যোগ দিলেন স্পেনের বিখ্যাত ক্লাব বার্সেলোনাতে। ৪০ ম্যাচে ২৮ গোল করেন তিনি।

বোকা জুনিয়ার্সে ১ বছর কাটিয়ে তিনি যোগ দিলেন স্পেনের বিখ্যাত ক্লাব বার্সেলোনাতে। ৪০ ম্যাচে ২৮ গোল করেন তিনি।

০৫ ১৬
এর পরেই বার্সেলোনা ছেড়ে চলে আসেন নাপোলিতে। ফুটবল জীবনের সব থেকে বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন এই ক্লাবের হয়ে। ১৮৮ ম্যাচে করেছিলেন ৮১ গোল।

এর পরেই বার্সেলোনা ছেড়ে চলে আসেন নাপোলিতে। ফুটবল জীবনের সব থেকে বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন এই ক্লাবের হয়ে। ১৮৮ ম্যাচে করেছিলেন ৮১ গোল।

০৬ ১৬
আর্জেন্টিনার হয়ে ৪টি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে আবির্ভাব। বিশ্ব ফুটবলে তত দিনে সাড়া জাগিয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টিনার তারকা। সে বারের বিশ্বকাপে ৫টি ম্যাচে তাঁকে ম্যান মার্কিংয়েই আটকে রাখতে ব্যস্ত ছিল বিপক্ষ। একাধিক ফাউলে জর্জরিত করে দেওয়া হয় তাঁকে। মাত্র দু’টি গোল করেছিলেন তিনি।

আর্জেন্টিনার হয়ে ৪টি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে আবির্ভাব। বিশ্ব ফুটবলে তত দিনে সাড়া জাগিয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টিনার তারকা। সে বারের বিশ্বকাপে ৫টি ম্যাচে তাঁকে ম্যান মার্কিংয়েই আটকে রাখতে ব্যস্ত ছিল বিপক্ষ। একাধিক ফাউলে জর্জরিত করে দেওয়া হয় তাঁকে। মাত্র দু’টি গোল করেছিলেন তিনি।

০৭ ১৬
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি ফিরে এলেন ফুটবলের মহাতারকা হয়ে, আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে। এই বিশ্বকাপ যেন মারাদোনারই হওয়ার ছিল, হলও তাই। পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি তোলেন অধিনায়ক মারাদোনা।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি ফিরে এলেন ফুটবলের মহাতারকা হয়ে, আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে। এই বিশ্বকাপ যেন মারাদোনারই হওয়ার ছিল, হলও তাই। পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি তোলেন অধিনায়ক মারাদোনা।

০৮ ১৬
এই বিশ্বকাপের দুটো ঘটনা আজও ভুলতে পারে না ফুটবলভক্তরা। প্রথমটা যদি হয় ‘হ্যান্ড অব গড’ তবে পরেরটা অবশ্যই ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালেই হয় দুটো ঘটনা। প্রথমটার জন্য যতটা নিন্দিত হতে হয়েছিল ফুটবল রাজপুত্রকে, পরের গোলেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কেন তিনি ফুটবলের রাজপুত্র।

এই বিশ্বকাপের দুটো ঘটনা আজও ভুলতে পারে না ফুটবলভক্তরা। প্রথমটা যদি হয় ‘হ্যান্ড অব গড’ তবে পরেরটা অবশ্যই ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালেই হয় দুটো ঘটনা। প্রথমটার জন্য যতটা নিন্দিত হতে হয়েছিল ফুটবল রাজপুত্রকে, পরের গোলেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কেন তিনি ফুটবলের রাজপুত্র।

০৯ ১৬
ইংরেজ গোলকিপার পিটার শিল্টন-সহ ৫ জনকে কাটিয়ে গোল করলেন মারাদোনা। ফুটবল বিশ্ব অবাক চোখে দেখল সেই দৃশ্য। আজও সেই গোলকেই ফুটবলের ইতিহাসে সেরা বলে ধরা হয়।

ইংরেজ গোলকিপার পিটার শিল্টন-সহ ৫ জনকে কাটিয়ে গোল করলেন মারাদোনা। ফুটবল বিশ্ব অবাক চোখে দেখল সেই দৃশ্য। আজও সেই গোলকেই ফুটবলের ইতিহাসে সেরা বলে ধরা হয়।

১০ ১৬
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানি যেন বদলা নিল। ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে তাদের হাতে উঠল বিশ্বকাপ। অধিনায়ক মারাদোনা ফাইনাল অবধি দলকে নিয়ে গেলেও শেষ কাজটি করতে পারলেন না।

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানি যেন বদলা নিল। ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে তাদের হাতে উঠল বিশ্বকাপ। অধিনায়ক মারাদোনা ফাইনাল অবধি দলকে নিয়ে গেলেও শেষ কাজটি করতে পারলেন না।

১১ ১৬
ফুটবল রাজপুত্র শেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন ১৯৯৪ সালে। তবে এই বিশ্বকাপ এনে দিল কলঙ্ক। মাদক পরীক্ষায় ধরা পড়ে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে যেতে হল তাঁকে।

ফুটবল রাজপুত্র শেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন ১৯৯৪ সালে। তবে এই বিশ্বকাপ এনে দিল কলঙ্ক। মাদক পরীক্ষায় ধরা পড়ে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে যেতে হল তাঁকে।

১২ ১৬
দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন ফুটবলের রাজপুত্র। ক্লাব ফুটবলে তিনি খেলেছেন ৪৯১টি ম্যাচ, গোল করেছেন ২৫৯টি। বোকা জুনিয়ার্সই তাঁর শেষ ক্লাব।

দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন ফুটবলের রাজপুত্র। ক্লাব ফুটবলে তিনি খেলেছেন ৪৯১টি ম্যাচ, গোল করেছেন ২৫৯টি। বোকা জুনিয়ার্সই তাঁর শেষ ক্লাব।

১৩ ১৬
১৯৯৪ সালেই কোচ হিসেবে আবির্ভাব মারাদোনার। আর্জেন্টিনার টেক্সটিল ম্যানডিউতে শুরু কোচিং জীবন। যদিও ফুটবল জীবনে যে উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন তিনি, কোচিংয়ে এসে তা কিন্তু হল না।

১৯৯৪ সালেই কোচ হিসেবে আবির্ভাব মারাদোনার। আর্জেন্টিনার টেক্সটিল ম্যানডিউতে শুরু কোচিং জীবন। যদিও ফুটবল জীবনে যে উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন তিনি, কোচিংয়ে এসে তা কিন্তু হল না।

১৪ ১৬
২০০৮ সালে জাতীয় দলের কোচ হিসেবেও আবির্ভাব ঘটে তাঁর। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে তারা কোনও মতে। দলে ফুটবলার মেসি, কোচের দায়িত্বে মারাদোনা। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ছিল সবার নজরে।

২০০৮ সালে জাতীয় দলের কোচ হিসেবেও আবির্ভাব ঘটে তাঁর। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করে তারা কোনও মতে। দলে ফুটবলার মেসি, কোচের দায়িত্বে মারাদোনা। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ছিল সবার নজরে।

১৫ ১৬
কিন্তু কোয়াটার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের। জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের মঞ্চ ছাড়েন মারাদোনা। ছেড়ে দেন জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও।

কিন্তু কোয়াটার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের। জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের মঞ্চ ছাড়েন মারাদোনা। ছেড়ে দেন জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও।

১৬ ১৬
২৫ নভেম্বর, ২০২০। নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ফুটবল রাজপুত্র। ৬০ বছর বয়সেই শেষ হয়ে গেল রূপকথা। শেষ দিন অবধি ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। জিমনাসিয়া ডি লা প্লাটার হয়ে কোচিং করাচ্ছিলেন তিনি।

২৫ নভেম্বর, ২০২০। নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ফুটবল রাজপুত্র। ৬০ বছর বয়সেই শেষ হয়ে গেল রূপকথা। শেষ দিন অবধি ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। জিমনাসিয়া ডি লা প্লাটার হয়ে কোচিং করাচ্ছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE