Advertisement
০৩ মে ২০২৪

উইং প্লে আটকে চাই পায়েতকে কড়া মার্কিং

ডেভিড বনাম গোলিয়াথ ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তিনি যদি আইসল্যান্ড কোচ হতেন, কী হত তাঁর স্ট্র্যাটেজি? জানাচ্ছেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যআয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেখেছি উইং প্লে থেকে অর্ধেক সুযোগ তৈরি হচ্ছিল ফ্রান্সের। গ্রিজম্যানের প্রথম গোলটা তো এলো উইং প্লে থেকেই। আমি তাই ফুলব্যাকদের সঙ্গে একটা একস্ট্রা ম্যান রেখে দিতাম।

আইসল্যান্ডের কোচ আজ কী ছক বানাবেন? ছবি: এএফসি

আইসল্যান্ডের কোচ আজ কী ছক বানাবেন? ছবি: এএফসি

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০৪:২৮
Share: Save:

ক্রস আটকাও

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেখেছি উইং প্লে থেকে অর্ধেক সুযোগ তৈরি হচ্ছিল ফ্রান্সের। গ্রিজম্যানের প্রথম গোলটা তো এলো উইং প্লে থেকেই। আমি তাই ফুলব্যাকদের সঙ্গে একটা একস্ট্রা ম্যান রেখে দিতাম। যাতে ফ্রান্সের সায়না, কোমানের মতো ফুটবলাররা একজনকে ড্রিবল করলেও সাপোর্টিং ট্যাকলারের সামনে পড়ে যায়। আর ক্রস দেওয়ার আগেই জিরুঁকে মার্ক করো। যাতে ক্রস ওর কাছে না পৌঁছায়। হোল্ডিং মিডিওদের আরও ডিপ থেকে খেলাতে হবে। যাতে উইংয়ের সাপ্লাইলাইন আগেই কেটে দেওয়া যায়।

কড়া মার্কিং

ফ্রান্সের অর্ধেক মুভ তৈরি করছে পায়েত। আর গ্রিজম্যান হচ্ছে সেই টার্গেট জোন যেখানে বল গেলে বিপদ। তাই দুটো সলিড মার্কার রাখতে হবে। পায়েতের জন্য অ্যারন গুনারসন। আর গ্রিজম্যানের ছায়া আর্নাসন। মার্কারদের বলতাম, দু’জনকে মানসিক ভাবে নড়িয়ে দিতে। বল পেলেই গায়ে গায়ে লেগে থাকো। সময় না দিয়ে স্ন্যাচ করো। ফাউল হলে হবে কিন্তু ওরা যাতে বোঝে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না। হাইপ্রেসিং করতে হবে। যত কম বল পাবে তত কম ম্যাচে প্রভাব ফেলবে। পোগবার মতো সাপোর্টিং অপশানের পিছনেও মার্কার লাগাতাম। যাতে পাশে কাউকে না ওরা।

সেট পিসে জোনাল

ফ্রান্সে পায়েতের মতো দুর্দান্ত ফ্রি-কিক এক্সপার্ট আছে। যে আবার ইনডাইরেক্ট ফ্রি-কিকের সময় দারুণ জায়গায় বলটা পাঠায়। তাই রক্ষণকে পুরোপুরি জোনাল করে দিতে হবে। একজনকে নয়, জোনটা মার্ক করে দাও। গোললাইনের পাশে লোক রাখো। যাতে গোলকিপার মিস করলেও বলটা ক্লিয়ার করা যায়। ডিরেক্ট ফ্রি-কিকে ওয়ালের পজিশনিংয়ের উপর জোর দাও। যাতে পায়েতের ভিশনটা আটকে যায়। অ্যাঙ্গলটা ঠিকঠাক না পায়। কিন্তু প্রথম জিনিসটা হচ্ছে পেনাল্টি বক্সের আশেপাশে অযথা ফাউল করা চলবে না।

মাঝমাঠ ও উইং

৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজালেও ম্যাচের মধ্যে পাঁচ জন মিডফিল্ডে থাকত। উইঙ্গারদের সমানাতালে ওঠা নামা করতে বলতাম। মাঝমাঠকে বক্স টু বক্স খেলাতাম। উইঙ্গারদের বলতাম তোমরা খুব বেশি ভিতরে ঢুকে এসো না। মাঝমাঠ তোমার সাপোর্টে যাওয়া পর্যন্ত বল হোল্ড করো। স্ট্রাইকারদের যত পারো পাস দাও। গিলফি সিগার্ডসন ও গানারসনকে বলতাম খেলাটা ছড়াও উইংয়ে। ওরা উইং থেকে ক্রসগুলো দেবে।

কাউন্টারে যাও

ফ্রান্সের মতো নামী তারকা নেই আইসল্যান্ডে। ফ্রান্সের মতো কোয়ালিটিও নেই। তাই ওদেরকে বল হোল্ড করতে দাও। পাস বাড়াতে দাও। শটের পর শট নিতে দাও। কিন্তু মনে রাখতে হবে, নব্বই মিনিটে সুযোগ আইসল্যান্ডও পাবে। তখন প্রতিআক্রমণে ফ্রান্সকে বিপদে ফেলো। মোরিনহো বা দিয়েগো সিমিওনের সেই কপিবুক ট্যাকটিক্স। পজেশন কম রেখেও গোল করা। তবে প্রতিআক্রমণের সময়ে পাস ঠিকঠাক দিতে হবে আর অফ দ্য বল পজিশনটাও ঠিকমতো নিতে হবে। সঙ্গে এক জন স্ট্রাইকারকে পেনাল্টি বক্সের সামনে রেখে দিতাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE