আইপিএলে মসৃণ ভাবে এগোতে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে জোড়া সমস্যা। এক, পুণের পিচ এবং পরিবেশ। দুই, দীপক চাহারের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। যা এই পেসারকে অন্তত দু’সপ্তাহের জন্য আইপিএল থেকে ছিটকে দিল।
ঘরের মাঠের সুবিধা পেতে পুণের পরিবেশ এবং পিচের সঙ্গে যে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, তা বলেছেন সিএসকে কোচ স্টিভন ফ্লেমিং। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আট উইকেটে হারার পরে ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘ঘরের মাঠের সুবিধা পেতে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। বুঝতে হবে এটা চেন্নাই নয়। সে ক্ষেত্রে পরিবেশ, পিচের কথা মাথায় রেখেই আমাদের প্রথম একাদশ বেছে নিতে হবে।’’ শনিবার প্রথমে ব্যাট করে সিএসকে ১৬৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি। অধিনায়ক রোহিত শর্মার অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে যে রান তুলতে সমস্যা হয়নি মুম্বইয়ের।
কাবেরী জলবণ্টনের প্রতিবাদে চেন্নাইয়ে আর আইপিএল হচ্ছে না। পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামকে ঘরের মাঠ হিসেবে বেছে নিয়েছে সিএসকে। যেখানে দু’টি ম্যাচের মধ্যে একটিতে হারতে হয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলকে। আজ, সোমবার দিল্লির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামার আগে তাই ফ্লেমিং বাড়তি সতর্ক। বলেছেন, ‘‘আমরা যখন দল বেছেছিলাম, তখন স্বাভাবিক ভাবে চেন্নাইয়ের কথাই মাথায় ছিল। এখন আমাদের এই পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’’
দক্ষিণ ভারতের পিচের সঙ্গে পূণের এই পিচের চরিত্রে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে দক্ষিণ ভারতের পিচ কিছুটা শুষ্ক এবং মন্থর। তাই স্পিনাররা বেশি সুবিধা পান। অন্য দিকে পশ্চিম ভারতের পিচ গতিময়। তাই এ ধরনের পিচে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতে পারে পেসারদের। এই পরিস্থিতিতে চাহারের চোট উদ্বেগ বাড়িয়েছে সিএসকের। চলতি আইপিএলে নতুন বলে বিপক্ষকে চাপে ফেলার কাজটা করেছেন চাহার। গতির সঙ্গে দু’দিকেই বল সুইং করানোর ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ফ্লেমিং বলেছেন, ‘‘চাহারের চোট বেশ গুরুতর। ওকে দু’সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। আমাদের জন্য এটা বড় ধাক্কা। আশা করছি দু’সপ্তাহের মধ্যে ও সেরে উঠবে।’’
সিএসকের জার্সিতে সাতটি ম্যাচেই খেলেছেন চাহার। পেয়েছেন ছ’টি উইকেট। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে রাজস্থানের জার্সিতে নজর কেড়েছিলেন তিনি। তার পর নিলামে ৮০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় সিএসকে। ফর্মে থাকা পেসারের জায়গায় কাকে খেলান অধিনায়ক ধোনি, সেটাই বড় প্রশ্ন।
অন্য দিকে আগের ম্যাচেই কেকেআরকে হারিয়ে ছন্দে ফিরেছে শ্রেয়স আইয়ারের দিল্লি। দিল্লির নতুন অধিনায়ক ৪০ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি দলের হারানো মনোবলও ফিরিয়ে এনেছেন। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে শেষ সাতটির মধ্যে ছ’টি ম্যাচেই জিততে হবে দিল্লিকে। কেকেআরকে হারিয়ে শ্রেয়স বলেছিলেন, ‘‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই। প্রত্যেকটি ম্যাচই আমাদের কাছে সেমিফাইনালের মতো।’’ চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আরও একবার শ্রেয়স জ্বলে উঠতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।