আইএসএল এবং আই লিগ। দুই লিগের দু’রকম ছবি দেখা গেল সোমবার!
ভারতের দুই নামী কর্পোরেট সংস্থার টিম ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলতে দল নামানোর সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেল সোমবার। আট দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়ে গেল দশ দলের। আইএমজি-আরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হল, তিন মাস থেকে বেড়ে আইএসএল হবে পাঁচ মাসের এবং হবে আরও আকর্ষণীয়।
কিন্তু ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে যেখানে খেলতে হবে সেই আই লিগ হবে ক’টি দলের? এখনও জানেন না ফেডারেশন কর্তারাই। বেঙ্গালুরু এফসি ইতিমধ্যেই খেলার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে আইএসএলে। আর্থিক সঙ্কটে থাকা পুণের শিবাজিয়ান্স খেলবে কী না কেউ জানে না। এই অবস্থায় আই লিগের জন্য নতুন টিম চেয়ে সামনের সপ্তাহেই বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ফেডারেশন। যা অবস্থা তাতে তিন বা চারটি টিম নিতে হবে দশ দলের আই লিগ করতে হলে। তিরুঅনন্তপুরম-সহ কেরলের দুটি অনামী ক্লাব আগ্রহ দেখিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়।
মুম্বইতে নীতা অম্বানীর কোম্পানির কর্তারা দরপত্র খুলে বেঙ্গালুরু ও টাটা— নতুন দু’টো টিমের নাম ঘোষণা করলেন এ দিন সন্ধ্যায়। আর ঠিক সেই সময়ই দেশের দুই প্রাচীন ও ঐতিহ্যের ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান কর্তারা মধ্য কলকাতার এক অভিজাত ক্লাবে বসে নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কট থেকে কী ভাবে বাঁচা যায় তার রাস্তা খুঁজতে ঘণ্টা দু’য়েক ব্যস্ত রইলেন। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল গত শনিবার মুম্বইতে ডেকে নিয়ে গিয়ে এমন একটা চাল দিয়েছেন যা দেখে কলকাতার দুই প্রধানের কর্তারাই বিভ্রান্ত। ভেবে পাচ্ছেন না কী করবেন! বাধ্য হয়েই, আই লিগে খেলার দিকে ঝুঁকছে দুই প্রধান। কিন্তু কিছুতেই তাঁরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রফুল্ল-কুশল দাসদের। অদ্ভুত এক পরিস্থিতি!
আরও পড়ুন: নতুন দুই দলের নাম ঘোষণা করল আইএসএল কর্তৃপক্ষ
দুই প্রধানের কর্তারাই সংশয়ে রয়েছেন, দু’টো লিগ শেষ হওয়ার পর আট বা দশ দলের যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ করার কথা ফেডারেশন বলছে, তা আদৌ হবে কী না? আইএসএল সংগঠকরা তা মানবেন তো? লিগ হলেও কখন হবে। কারণ ২০১৮-র মার্চ মাস থেকেই তো শুরু হয়ে যাবে জাতীয় দলের শিবির ও ম্যাচ। স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের দল তখন খেলবে ১৪টি-র মতো ম্যাচ। ফুটবলাররা তো সব আটকে যাবেন সেখানে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তা হলে হবে কখন?
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সংশয় ও বিভ্রান্তি বেড়েছে সোমবার রাত পর্যন্ত ফেডারেশন তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো লিখিত প্রস্তাব না পাঠানোয়।
কথা ছিল, সোমবার তা পাঠানো হবে ক্লাবদের। বুধবারের মধ্যে তাদের মতামত জানাবে ক্লাবগুলো। মজার ব্যাপার হল, সেই চিঠি আসেনি। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস আইএসএলের নিলাম সংগঠন করতে মুম্বইতে ব্যস্ত। আই লিগের চিঠি পাঠানোর সময় হয়তো পাননি। বাধ্য হয়েই ফের আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় এসএমএস পাঠালেন প্রফুল্ল পটেলকে। উৎপলবাবু বললেন, ‘‘দুই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু চিঠি হাতে না পেলে তো কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন আছে। সেজন্য চিঠি পাঠাতে বললাম।’’
বোঝাই যাচ্ছে, ক্লাব কর্তাদের মতো উৎপলবাবুও সংশয়ে আই লিগ খেলার পর ফেডারেশন যদি বলে দেয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ করা যাবে না, তখন কী হবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy