অতিথি: নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে স্টিভ ওয়। পিটিআই
স্টিভ স্মিথের পাশে দাঁড়ালেন আর এক স্টিভ। তিনি, স্টিভ ওয়। তাঁর বক্তব্য, স্মিথ যখন বলছেন, ওই সময়ে তাঁর মাথা কাজ করছিল না, তখন সেটা সত্যি বলেই ধরে নিচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে কোনও মিথ্যাচার দেখতে পাচ্ছেন না প্রাক্তন অধিনায়ক। বরং তাঁর মনে হচ্ছে সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহালি স্মিথকে সরাসরি প্রতারক না বললেও তেমন আভাস দিয়েছেন। এই বিতর্ক থামাতে তিনি আইসিসি-র হস্তক্ষেপ চান।
সদ্য শেষ হওয়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে যে ভাবে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্রিকেট বিশ্ব, তা সিরিজের পক্ষে মোটেই ভাল না বলে মনে করেন স্টিভ। নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘একটা অসাধারণ টেস্ট ম্যাচ হল, অথচ আমরা একটা ঘটনা নিয়ে অনর্থক বেশি চর্চা করছি। এটা থামা দরকার। স্মিথ নিশ্চয়ই এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে।’’ বিরাট কোহালির প্রতিক্রিয়া নিয়ে স্টিভ ওয় বলেন, ‘‘কোহালি বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা বলেছে পড়লাম। ও স্মিথকে সরাসরি প্রতারক বলেনি ঠিকই, কিন্তু তার একটা আভাস কিন্তু দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে দুই ক্যাপ্টেনের এখনই এটা মিটিয়ে ফেলা উচিত। আইসিসি-রও উচিত এখনই বিষয়টা থামানো। না হলে সিরিজের আবহাওয়াটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’’
কোহালি একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন কি না, এই প্রশ্নে ওয়-র উত্তর, ‘‘কোহালি এ রকমই। আর আপনারাও ওকে এভাবেই দেখতে পছন্দ করেন। বোলার বল করতে যাওয়ার সময় দর্শকদের গলা ফাটানো আর দুটো বলের মাঝখানে গলা ফাটানোর মধ্যে তফাৎ আছে। এখানে প্রথম ঘটনাটাই ঘটছে। আমি নিশ্চিত অস্ট্রেলীয়রা এ সবে মোটেই খুশি হবে না।’’ ক্রিকেট জীবনে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের উত্তাপ তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে বহুবার। এর প্রভাব সিরিজে কী ভাবে পড়তে পারে, স্টিভ ওয় তা ভাল ভাবেই আন্দাজ করতে পারছেন। ২০০১ সালের সেই ঐতিহাসিক সিরিজে তিনিই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। সৌরভের ভারত তাঁদের হারিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয় উপহার দিয়েছিল ভক্তদের।
স্টিভ এখন শান্তির পক্ষে। বলছেন, ‘‘আমি যা বলছি, তা কাগজে বেরবে। এর উপর আরও কেউ বলবে। আগামী ছ’দিনে এই নিয়ে বলাবলি চলতেই থাকবে। আর পরের ম্যাচে মাঠেও তার প্রভাব পড়বে। তাই এটা থামা দরকার। সিরিজে ভাল ক্রিকেটও হচ্ছে। সেটা উপভোগ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy