জেরার্ড নুস। ছবি: সংগৃহীত।
জেরার্ড নুস, লিভারপুলের প্রাক্তন কোচ। সহকারি কোচের দায়িত্ব নিয়ে গিয়েছিলেন ঘানায়। কিন্তু সেখানে গিয়েই পড়ে গেলেন ঘোর বিপদে। কোনওভাবেই ফিরতে পারছেন না দেশে। টাকা নেই। প্রাপ্য টাকা দেয়নি ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। যখন দিল তখন হোটেলের বিল এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে চেক-আউট করতে দিল না হোটেল কর্তৃপক্ষ। একটা রাত পুরো কাটাতে হল হোটেলের লবিতে। পর দিন অবশ্য সম্মান দিয়ে তাঁকে আবার ঘরে যেতে দেয় হোটেলের লোকেরা। একটা হালকা আশা দেখা গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু এখনও ঘানা ছাড়তে পারেননি নুস।
ঠিক কী ঘটেছিল?
আরও খবর: যুব বিশ্বকাপ ফাইনালের দায়িত্ব দেওয়া হল যুবভারতীকেই
লিভারপুলের অনূর্ধ্ব-২১ কোচ নুস আভ্রাম গ্রান্টের অধিনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ঘানায় গিয়েছিলেন। একটি টুর্নামেন্টের জন্যই তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল ঘানার ফুটবল ফেডারেশন। ২০১৭ আফ্রিকান নেশনস কাপের সেমিফাইনালেও পৌঁছেছিল ঘানা। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি। একই অবস্থা সাদারল্যান্ড ও লেস্টার সিটির তারকা প্লেয়ার জ্যামি লরেন্স। সেও জিফএ থেকে তাঁর প্রাপ্য টাকা পাননি। টুর্নামেন্ট শেষে ইউকেতে ফিরে গিয়েছেন তিনি নিজের মত করেই। কিন্তু নুস সিদ্ধান্ত নেন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার। ফেব্রুয়ারি থেকে আক্রার হোটেলে বেকার বসে রয়েছেন তিনি। জিএফএ অথবা ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে তাঁর প্রাপ্য টাকা না পেলে তিনি সে দেশ ছাড়বেন না এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিলেন। পুরো টাকা না দিলে যে তিনি ইউরোপে ফিরবেন না তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। গত দু’সপ্তাহ ধরে তাঁর প্রাপ্য ১০ হাজার ডলার তিনি পেয়ে গিয়েছেন। শনিবার পুরো ব্যাপারটি মিটেও যায়। নুস জানান, ওরা তাঁকে প্রাপ্য সব টাকা দিয়ে দিয়েছিল। ফ্লাইটের টিকিটও দিয়ে দিয়েছিল। নুস দারুণ খুশি ছিল এই ভেবে যে এতদিন পর বাড়ি ফিরতে পারবেন। কিন্তু হোটেল ছা়ড়ার সময়ই ঘটল বিভ্রাট। হোটেলের বিল যে পাহাড়ের আকাড় নিয়েছে সেটা নুস জানবেন কী করে?
চেক-আউটের সময় হোটেলের তরফে বলা হয় তাঁর থাকা, খাওয়ার বিল মেটানো হয়নি। যে স্বপ্নও ভাবেননি নুস। হোটেলর পক্ষ থেকে বলা হয় সেই বিল তাঁকে দিতে হবে না হলে হোটেল ছাড়তে দেওয়া হবে না। গত দু’বছর এখানে কাজ করছেন নুস। কখনও এই সব বিল তাঁকে দিতে হয়নি। ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শুক্রবার নুসকে জানানো হয়, এই সমস্ত বিল তাঁকেই মেটাতে হবে। গত সাত সপ্তাহের সব বিল জমে রয়েছে। লন্ড্রি, কফি, স্ন্যাকস। যার বিল এক হাজার ডলারের কাছাকাছি। জিএফএ শুধু হোটেলের ঘর ও মিলের দাম দেবেন। এই মুহূর্তে যা অবস্থা যা পেয়েছেন তা নিয়েই পরিবারের কাছে ফিরতে চাইছেন তিনি। কিন্তু এ বার আবার নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। নতুন করে ফ্লাইটের টিকিট দিতে নারাজ অ্যাসোসিয়েশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy