শিখর ধবন— আউট।
গৌতম গম্ভীর— ইন।
মুম্বইয়ে বুধবার ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের দল নির্বাচনী বৈঠকে যদি আমি থাকতাম, সবার আগে এটা করতে বলতাম। জানি, গম্ভীর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ দু’টো টেস্টে স্কোয়াডে ছিল। ইনদওরে খেলেওছে। কিন্তু সেটা হয়েছে, কেএল (রাহুল) আর শিখর চোট পাওয়ায়।
যা এ বার ঘটুক আমি চাই না। চাই না, গৌতমকে আবার কারও পরিবর্ত হিসেবে টিমে ঢুকতে হোক।
তিনটে কারণ দিচ্ছি।
প্রথমত, গৌতমের ফর্ম। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনদওর টেস্টে হাফসেঞ্চুরি ছেড়ে দিলাম। ওড়িশার বিরুদ্ধে শেষ রঞ্জিতেও প্রায় দেড়শো করেছে গৌতম। ওর মতো একজন সিনিয়রকে স্রেফ একটা টেস্ট খেলিয়ে আবার বসিয়ে দেওয়া, ঘোরতর অন্যায় হবে।
তা ছাড়া গৌতম প্রকৃত টিমম্যান। ইনদওরে ও কিন্তু চাইলে নিজের জন্য খেলতে পারত। পারত, হাফসেঞ্চুরিটাকে টেনে সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যেতে। আর দু’বছর পর টেস্ট টিমে ফিরে যদি ও সেটা করত, কেউ ওকে দোষও দিতে পারত না। কিন্তু গৌতম তেমন ধাতের ছেলে নয়। মনে করে দেখুন, সেই ইনিংসে ওর আউট হওয়ার শটটা। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হয়েছিল।
তা ছাড়া ফর্ম, টিমম্যানের বাইরেও গৌতমের আরও একটা বড় জিনিস আছে। অভিজ্ঞতা। এত টেস্ট খেলেছে দেশের হয়ে, ইংল্যান্ডের মতো টিম সামনে, খেলুক না খেলুক, ওকে তো স্কোয়াডে রেখে দিলেও লাভ। প্রয়োজনে এমন কিছু টিপস দিতে পারবে, যা আর কেউ পারবে না।
খেলবে না, সেটাও বলা যায় না। কেএল নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এখনও রঞ্জি খেলেনি। ম্যাচ ফিট কি না, জানি না। সেক্ষেত্রে মুরলী বিজয়ের সঙ্গে গৌতম রাজকোটে ওপেনিংয়ে গেলে সব দিক থেকে ভাল। শেষ পর্যন্ত যা-ই হোক, একটা ব্যাপার হোক আমি চাই না। শিখর ফিট হয়ে উঠলেও চাই না ওকে টিমে রেখে ফের গৌতমকে বসানো হোক। কারণ সেটা একেবারে যুক্তিহীন হয়ে যাবে। শিখর বহু দিন ফর্মে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরুক আগে। ম্যাচ খেলুক, রান করুক। তার পর না হয় ফিরবে।
গৌতমের ব্যাপারটা ছাড়া চোদ্দো জনের টিমে বিশেষ বদল দেখতে পাচ্ছি না। টিম যা বুঝছি, মোটামুটি একই থাকবে। ইশান্ত শর্মা নিয়ে কী হয়, দেখতে চাই। চিকুনগুনিয়া সারিয়ে ক্রিকেটে ফিরে দু’টো রঞ্জি ম্যাচ খেলেছে ও। জানি না, উমেশ-শামি-ভুবির পরেও ইশান্তকে রাখা হবে কি না। দেশের মাঠে চোদ্দো জনের টিমে চার জন পেসার রাখা একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যাবে। তবে ভুবিরও (ভুবনেশ্বর কুমার) চোট লেগেছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। ভুবি যদি ফিট না হয়ে থাকে, তা হলে ইশান্ত অটোমেটিক চয়েস। কিন্তু ভুবি ফিট থাকলে ইশান্তের কী হবে, সন্দেহ আছে।
সবশেষে একটা ব্যাপার— অমিত মিশ্র। জানি, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ হওয়ার পর ওকে টেস্টেও নিয়মিত করার দাবি জোরালো হয়েছে। কিন্তু আমার মতে, রাজকোট টেস্টটা ছেড়ে দেওয়া ভাল। সিরিজের প্রথম টেস্ট ওটা। চার বোলারে গেলে ক্ষতি হবে না। বরং চার বোলারে খেলেও বিরাটরা টেস্ট জিতেছে। আসলে প্রথম টেস্ট বলে ঝুঁকিটা কম নেওয়া ভাল। পরে তো আরও চারটে টেস্ট থাকবে। অমিত একটা না একটা খেলবেই।
দীপের বাছাই:
(সবাইকে ফিট ধরে নিয়ে) মুরলী বিজয়, কেএল রাহুল, গৌতম গম্ভীর, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহালি, অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, অমিত মিশ্র, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার/ইশান্ত শর্মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy