ছবি এএফপি।
বিশ্বকাপের সেরা ফর্ম্যাট ঠিক করতে কেন এত সময় লেগে গেল, বোঝা মুশকিল। ১৯৯২ বিশ্বকাপ খেলেছি বলে বলতে পারি, সব মিলিয়ে সেই বিশ্বকাপ অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল। যদিও ভারতীয় দল এবং আমার জন্য ওই বিশ্বকাপ খুব একটা ভাল যায়নি।
যে প্রতিযোগিতার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে সবাই সেখানে সেরা দলের সঙ্গে সেরার লড়াই হওয়া উচিত। এতে একপেশে ম্যাচের সম্ভাবনা এড়ানো যায়। গোটা প্রতিযোগিতা ঘিরে তীব্র আগ্রহটা ধরে রাখা যায়। এ রকম একটা প্রতিযোগিতায় কোন চারটে দল সেমিফাইনালে উঠতে পারে, সেটা বেছে নেওয়া সহজ নয়।
আমার ভবিষ্যদ্বাণী, এ বার বিশ্বকাপে প্রথম চার দল হতে পারে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত। সঙ্গে চমকে দিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ইংল্যান্ড দলটা এখন দুরন্ত ছন্দে রয়েছে পাশাপাশি ঘরের মাঠে খেলার সুবিধে রয়েছে বলে, প্রথম চার দলে রাখতেই হচ্ছে ওদের। অন্য যে কোনও দলের চেয়ে বড় মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার জ্বলে ওঠার ক্ষমতা কতটা সেটা আগেই দেখেছি আমরা। সঙ্গে ভারতও যদি শেষ চারে উঠতে না পারে, তা হলে সেটা খুব অবাক করার মতো ব্যাপার হবে। স্কুলে যাওয়ার সময় থেকেই অন্য সব দলের চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখতে আমি মুখিয়ে থাকি। হয়তো ওরা টেস্ট ক্রিকেটে আবার নিজেদের হারানো জায়গা ফিরে পাওয়ার জন্য লড়ছে কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ওদের হাল্কা করে নেওয়াটা বিপজ্জনক।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটাও মন্দ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি ওদের সেরাটা খেলতে পারে, তা হলে দুরন্ত লড়াই হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলটাও দারুণ। তবে গত কয়েকটা মরসুমে কিন্তু ওদের দলকে সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে।
এবি ডিভিলিয়ার্লস নেই। ডেল স্টেনকেও এখনও সেরা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। তাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেই একই দল মনে হচ্ছে না যেটা আগে মনে হত। তার সঙ্গে ওদের উপর বিশ্বকাপের চাপও থাকবে। যা দেখে অনেকের বিশ্বাস, ইংল্যান্ড সমর্থকদেরই হয়তো দিনের শেষে উল্লাস করতে দেখা যাবে।
ইংল্যান্ড দলটায় কোনও দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া ভীষণ কঠিন। সব বিভাগেই ওরা খুব শক্তিশালী। ব্যাট হাতে জস বাটলার এবং বোলিংয়ে জো আর্চার ওদের দুই প্রধান স্তম্ভ। ওদের মাঝে রেখে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স আবর্তিত হবে। সঙ্গে বেন স্টোকস এবং মইন আলির অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও ভুলে গেলে চলবে না। দলে অনেক বেশি ম্যাচ উইনার এবং দুরন্ত ছন্দের জন্য ইংল্যান্ডই প্রথম ম্যাচে এগিয়ে রয়েছে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম দিন কিন্তু অঘটনও ঘটেছে। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকাও করে দেখাতে পারে কি না সেটাই দেখার। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy