দুই ওপেনারই বড় রান করলেন ম্যাচে।
ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি সিরিজ হিসেবেই দেখা হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজকে। তা শুরুটা দাপটেই হল। কিন্তু দুর্বল আইরিশরা কতটা ঠিকঠাক প্রস্তুতি দিতে পারল, সেই প্রশ্ন থেকেই গেল। এত অনায়াস জয়ে দলের কোনও পরীক্ষাই তো হল না!
রোহিত শর্মা ও শিখর ধবনের ওপেনিংয়ে উঠেছিল ১৬০ রান। যা এই ফরম্যাটে ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক জুটি। আয়ারল্যান্ড সেই রানই তুলতে পারল না। ‘রিস্ট স্পিন’ খেলতে না পেরে নয় উইকেটে ১৩২ রানে থামল তারা। শততম টি-টোয়েন্টিতে ৭৬ রানে জিতল ভারত। ‘চায়নাম্যান’ কুলদীপ যাদব নিলেন চার উইকেট। লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল নিলেন তিন উইকেট। দুই স্পিনার মিলে ৫৯ রানে নিলেন সাত উইকেট। দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতেই দিশেহারা দেখাল আয়ারল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের।
ছবির মতো সাজানো ডাবলিনে এই ম্যাচ নিয়ে প্রবল উন্মাদনা। ভারতীয় সমর্থকরা যথারীতি হাজির তেরঙা পতাকা নিয়ে। গাছ দিয়ে ঘেরা মাঠে শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার। পাঁচ ওভারে উঠল পঞ্চাশ। একশো এল ১০.১ ওভারে। দেড়শো এল ১৫.১ ওভারে। যেভাবে রান উঠছিল, তাতে ২২০-২৩০ আসতেই পারত। কিন্তু, শেষের দিকে তেমন রান আসেনি। পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানে থেমেছিল ইনিংস।
আরও পড়ুন: নতুন রেকর্ডের সামনে বিরাট কোহালি
টস জিতে আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারতকে। দুই ওপেনারই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। শুরুতে শিখর ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ২৭ বলে পঞ্চাশ এল তাঁর। রোহিতের লাগল ৩৯ বল। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গব্বর’ ৪৫ বলে ৭৪ করে থামলেন। যাতে থাকল পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছয়। তবে মুম্বইকর পরে গিয়ার বদলালেন। ৬১ বলে ৯৭ করে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করে ফিরলেন শেষ ওভারে। ম্যাচের নায়ক রোহিতের ইনিংসে থাকল পাঁচটি ছয় ও আটটি চার। সুরেশ রায়না (১০), মহেন্দ্র সিং ধোনি (১১), হার্দিক পান্ডিয়া (অপরাজিত ৬), বিরাট কোহালি (০),মণীশ পাণ্ডে (অপরাজিত ০), পরে কেউই বিশেষ সুযোগ পাননি। আয়ারল্যান্ডের পিটার চেজ ৩৫ রানে নেন চার উইকেট।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন রমনদীপ
২০৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জেমস শ্যানন ছাড়া আয়ারল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যান কুড়িও পার করতে পারেননি। তিনি পঞ্চাশ না পার করতে পারলে আয়োজক দেশের স্কোরবোর্ড আরও লজ্জাজনক দেখাত। কুলদীপ-চহাল ছাড়া বাকি দুই উইকেট নিলেন যশপ্রীত বুমরা।
তবে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলও কোহালিকে ভাবাবে ফিল্ডিং। সহজ ক্যাচ পড়ল একগাদা। যা মোটেই ভালো লক্ষণ নন। প্রশ্ন থাকবেই, এই দলের ‘ইয়ো-ইয়ো’ ফিটনেস টেস্টে জোর দেওয়ার আগে ক্রিকেটীয় স্কিলে জোর দেওয়া বেশি জরুরি নয় তো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy