Advertisement
E-Paper

ভারত এগিয়ে, তবে চমক দিতেই পারে পাকিস্তান

এমনিতেই দু’দেশে টেনশনের আবহ। কী বলবেন আর কী লিখে দেওয়া হবে আর তা থেকে জড়িয়ে যাবেন বিতর্কে— এই ভয়ে অনেকে মুখ বন্ধ রেখেছেন। ওয়াঘার ও-পারের প্রাক্তনরা ভারতীয় মিডিয়ায় খুব একটা মুখ খুলছেন না। তার ওপর তিনি আবার সদ্য অবসর নেওয়া এমন এক পাকিস্তান অধিনায়ক, যিনি কখনও আলাদা ইন্টারভিউ দেন না। ভারতীয় মিডিয়া তো দূর অস্ত্‌, নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমের সামনেই খুব একটা আসেন না। সংবাদমাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা তিনি অবশ্য আনন্দবাজার-কে চল্লিশ মিনিটের কাছাকাছি সময় দিতে রাজি হলেন। অবসর নেওয়ার পরে এই প্রথম একান্ত সাক্ষাৎকার। বার্মিংহামে ৪ জুন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ থেকে শুরু করে নিজের অবসর, পাক ক্রিকেটকে ম্যাচ গড়াপেটার কলঙ্ক থেকে বের করে আনার কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং বিরাট কোহালি। সদ্য অবসৃত পাক অধিনায়ক মিসবা-উল-হক মোবাইল ফোনে ধরা দিলেন একেবারে খোলামেলা, অন্তরঙ্গ মেজাজে। বার্মিংহামে ৪ জুন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ থেকে শুরু করে নিজের অবসর, পাক ক্রিকেটকে ম্যাচ গড়াপেটার কলঙ্ক থেকে বের করে আনার কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং বিরাট কোহালি। সদ্য অবসৃত পাক অধিনায়ক মিসবা-উল-হক মোবাইল ফোনে ধরা দিলেন একেবারে খোলামেলা, অন্তরঙ্গ মেজাজে।

সুমিত ঘোষ

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ০৫:১০
অবসরে: ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি সরছেন না মিসবা (ইনসেটে)। পাক তারকা বলছেন, আগ্রাসনই বিরাটের সম্পদ। —ফাইল চিত্র।

অবসরে: ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি সরছেন না মিসবা (ইনসেটে)। পাক তারকা বলছেন, আগ্রাসনই বিরাটের সম্পদ। —ফাইল চিত্র।

প্রশ্ন: অবসরোত্তর জীবন কেমন কাটছে?

মিসবা-উল-হক: এখন পরিবারের সঙ্গে কাটছে। বেশ উপভোগই করছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি ষোলো বছরের ওপর। শুধু তো পরিবার ছেড়ে বাইরে বাইরেই ঘুরেছি। এ রকম রিল্যাক্সড সময় পরিবারের সঙ্গে কখনও কাটাইনি। তাই ভাল লাগছে।

প্র: ক্রিকেটকে মিস করছেন না? একেবারে সত্যি কথাটা বলুন।

মিসবা: একদম মনের কথা বলছি আপনাকে। এক্ষুনি আমি ক্রিকেটকে মিস করছি না। এই সময়টা আমি উপভোগ করছি। পরিবারের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে। আর একটা কথা বলি শুনুন। আমার ক্রিকেট খেলা তো পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। আমি তো এখনও খেলা চলিয়ে যাব।

প্র: কোথায় খেলবেন আপনি?

মিসবা: কেন, পাকিস্তান সুপার লিগ টি-টোয়েন্টিতে আমি খেলা চালিয়ে যাব। অন্যান্য দেশের লিগেও খেলতে পারি। সেটা এখনও ঠিক করিনি। তবে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি আরও খেলবই, সেটা বলে দিতে পারি। আমার ক্রিকেট কেরিয়ার তাই পুরোপুরি শেষ হয়নি।

প্র: এজবাস্টনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আপনার পূর্বাভাস কী?

মিসবা: আমি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে পূর্বাভাস করতে চাই না। এই ম্যাচটা নিয়ে কোনও পূর্বাভাস করতে যাওয়াটাই বোকামি। যে টিমের যে রকমই ফর্ম থাকুক, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এই ম্যাচটা সম্পূর্ণ অন্য মেজাজে খেলা হয়।

প্র: এই যে ভারত-পাকিস্তানের অধিনায়কেরা এই দ্বৈরথের আগে বলেন, এটা আর একটা ম্যাচ, সেটা তা হলে মনের কথা নয়?

মিসবা: ও সব একটু-আধটু বলতে হয়। ক্রিকেট খেলাটা তো শুধু ব্যাট, বল আর মাঠের লড়াই নয়। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বলেও একটা ব্যাপার আছে। ভারত-পাকিস্তানের মতো ম্যাচে মনস্তাত্ত্বিক দিকটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্র: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কি তা হলে যারা স্নায়ুর চাপ ভাল সামলাবে তাদের জেতার সম্ভাবনাই বেশি?

মিসবা: স্নায়ুর চাপ সামলানোটা একটা বড় ফ্যাক্টর। এ নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। দু’দেশের প্রত্যেকে এই ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকে। ক্রিকেটারদের ওপর প্রচুর চাপ থাকে। কিন্তু আমার মনে হয়, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধটা একটা দিক। তার সঙ্গে ক্রিকেটীয় দক্ষতারও একটা ব্যাপার থাকে। যারা ভাল দল, যারা ওই বিশেষ দিনটায় ভাল ক্রিকেট খেলবে, তাদের জেতার সম্ভাবনাই বেশি। আমার মতে, দু’টো দিকই সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্নায়ুর চাপ সামলানো এবং ক্রিকেটীয় দক্ষতা।

প্র: প্রেডিকশন করবেন না বললেন। তবু যদি আর একটু জোরাজুরি করি, বার্মিংহামের এই ম্যাচ নিয়ে আপনার রিপোর্ট কী রকম হতে পারে, কী বলবেন?

মিসবা: লিখব যে, র‌্যাঙ্কিং আর ফর্মের দিক থেকে ভারত এগিয়ে। কিন্তু পাকিস্তান চমক দেখানোর ক্ষমতা ধরে। ভারতীয় দলে গুণগত মান ও অভিজ্ঞতা দারুণ রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের দলটায় কয়েক জন তরুণ প্রতিভা রয়েছে। যারা এ রকম একটা ব়ড় মঞ্চে নিজেদের উজাড় করে দিতে চাইবে। ওরা জানে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যদি ভাল কিছু করে দিতে পারে, তা হলে রাতারাতি নায়ক হয়ে যাবে। আমার মনে হয় পাকিস্তানের তরুণ ব্রিগেড এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে। আমি তাই বলব, কাগজে-কলমে ভারত এগিয়ে কিন্তু পাকিস্তান চমক দিতে পারে।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এ বার কোহালিদের সমর্থন করবেন পাকিস্তানের চাচা শিকাগো

প্র: পাকিস্তানের কাদের ওপর বেশি ভরসা করছেন?

মিসবা: তরুণ ব্রিগেডের কথা বললাম। বাবর আজমের ওপর আমার অনেক আস্থা আছে। টিমটার ক্যাপ্টেনও তরুণ এবং ভাল ক্রিকেটার— সরফরাজ আমেদ। আজহার আলি আছে। তা ছাড়া শোয়েব মালিক, মহম্মদ হাফিজের মতো সিনিয়র আছে। আমাদের বোলিং আক্রমণটা তারুণ্যে ভর করে তৈরি করা হয়েছে। ইংল্যান্ডে ওরা ভাল করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

প্র: আপনি অধিনায়ক থাকলে তরুণ ব্রিগেডকে কী বলতেন?

মিসবা: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে আলাদা একটা চাপ থাকেই। সেটা শুধু ক্রিকেট বলে নয়, হকি, কবাডি সব খেলাতেই থাকে। এই ম্যাচটার সঙ্গে অন্য রকম একটা আবেগ জড়িয়ে থাকে। তাই আমি তরুণদের ওপর থেকে চাপটা হাল্কা করার চেষ্টা করতাম। বোঝানোর চেষ্টা করতাম যে, পজিটিভ দিকটা দেখো। একটা ম্যাচে ভাল খেললেই তুমি হিরো। এমন সুযোগ রোজ রোজ আসবে না!

প্র: বিরাট কোহালিকে আপনার কেমন লাগে?

মিসবা: অসাধারণ! আমি মনে করি, শুধু ক্রিকেট বলে নয়। যে কোনও খেলার হিসেবেই যদি বিচার করি তা হলে বিরাট হচ্ছে অসামান্য এক ক্রীড়া প্রতিভা। কী দুর্দান্ত স্পোর্টসম্যান! কী অসাধারণ অ্যাথলিট! জেতার উদগ্র বাসনা। হার বলে কোনও শব্দ নেই-ই ওর ডিকশনারিতে। যেমন তার ব্যাটের দাপট, তেমনই আগ্রাসী অধিনায়ক। আমার মতে, বিরাট হল যে কোনও টিমের কাছে স্বপ্নের সেই ক্রিকেটার, যাকে দেখে গোটা দল উদ্বুদ্ধ হয়।

প্র: কিন্তু বিরাটের আগ্রাসন নিয়ে খুব বিতর্কও লেগে থাকে সব সময়।

মিসবা: ধুস, ওটাতে যেন বিরাট একদম মাথাই না ঘামায়। যারা এ সব বিতর্ক তোলে, তাদের তো আমার বলতে ইচ্ছে করে, ভাই বিরাট কোহালির স্কোরবোর্ডটা দেখে নাও না? গত দু’বছর ধরে ছেলেটা কী রকম একচ্ছত্র শাসন করে গিয়েছে, সেটা কি তোমাদের চোখে পড়ে না? শুনুন, বিরাটকে নিয়ে এই যে বলা হয়, ও নাকি আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অতিরিক্ত আগ্রাসী হয়ে পড়ে, এটা একদম বাজে কথা। আমি মনে করি, আবেগকে যদি ও নিয়ন্ত্রণ না করতে পারত তা হলে বিরাট এত ভাল ব্যাটসম্যানই হতে পারত না। যেখানে আগ্রাসী হওয়ার সেখানেই ও আগ্রাসন দেখায়। আমার কখনও মনে হয়নি বিরাট কোহালি মানে একটা বল্গাহীন আগ্রাসন। যেটা দেখানো হয় ওর সম্পর্কে বা প্রচার পেয়ে এসেছে, আমার মতে সেটা মোটেও ঠিক নয়।

প্র: এটা কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য একটা মত পাওয়া গেল বিরাটকে নিয়ে।

মিসবা: ইয়েস। আমি নিজে ব্যাটসম্যান। তাই জানি, বড় ইনিংস, ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে হলে আবেগকে সবার আগে বশে রাখতে হয়। বিরাট দিনের পর দিন ধরে সেটা করে চলেছে। এ রকম দুর্ধর্ষ ধারাবাহিকতা ও দেখাতেই পারত না যদি ও নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারত। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এই সাফল্য পাওয়া বিরাটের পক্ষে সম্ভব হতো না।

প্র: কিন্তু খুব আগ্রাসী ভাবভঙ্গি তো বিরাটকে করতে দেখাই যায়।

মিসবা: সেটা বিরাটের ধরন। ও ভাবেই ক্রিকেট খেলে এসেছে। শুধু শুধু কয়েকটা লোকের কথায় পাল্টাতে যাবে কেন? ও তো কোনও অভব্যতা করছে না। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ক্রিকেট খেলতে চাইছে। সব ম্যাচে জিততে চায়। এটা তো দারুণ উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো ব্যাপার। এতে সমালোচনার আবার কী আছে? আমার মনে হয় সমালোচকরা বিরাটের উত্থানের দিকটাও দেখুক। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে প্রতিশ্রুতিমান তরুণ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু শুরুর দিকে ঝড়-ঝাপ্টা গিয়েছে। তাতে রাস্তা না হারিয়ে ফেলে নিজেকে তৈরি করেছে। কঠোর পরিশ্রম করেছে। লড়াই করে আজকের এই জায়গায় পৌঁছেছে। ক্রিকেটীয় যাত্রাপথে কঠিন এই লড়াইটা জেতার জন্য বিরাটের কিন্তু সম্মান প্রাপ্য, সমালোচনা নয়।

প্র: আপনার নিজের কথায় আসি। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে আপনার সেরা প্রাপ্তি কী?

মিসবা: পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল যখন আমি দায়িত্ব নিই। সকলের নিশ্চয়ই মনে থাকবে, ঠিক তার আগেই গড়াপেটা নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছিল পাক ক্রিকেট। ক্যাপ্টেন হিসেবে আমাকে শুধু ম্যাচ জিতলেই হতো না। আমার দায়িত্ব ছিল, ভাবমূর্তি ফেরানো। আমার নেতৃত্বে পাকিস্তান টেস্টে এক নম্বর হয়েছে। বিশ্বসেরার র‌্যাঙ্কিংটা বড় প্রাপ্তি নিশ্চয়ই। কিন্তু আরও বড় তৃপ্তি হচ্ছে, ছাড়ার সময় এটা দেখে যেতে পারছি যে, পাকিস্তানের জাতীয় দলকে নিয়ে সেই সন্দেহের বাতাবরণটা আর নেই। ভাবমূর্তিটা মেরামত করা গিয়েছে।

প্র: পাক ক্রিকেটের এ রকম একটা কঠিন সময়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে ছেলেদের প্রতি আপনার বার্তা কী ছিল? কী বলেছিলেন ওঁদের?

মিসবা: বলেছিলাম, বাকি সব কিছু ভুলে গিয়ে শুধু ক্রিকেটের ওপর মনঃসংযোগ করো। দলের মধ্যে একটা ক্রিকেটীয় বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা শুরু করেছিলাম। যখন ম্যাচ বা প্র্যাকটিস থাকত না, তখনও সকলে মিলে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতাম বা নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে আড্ডার ঢংয়ে কথা বলতাম।

প্র: এতে কাজ হয়েছিল?

মিসবা: জি বিলকুল, বিলকুল। খুবই কাজ হয়েছিল। একটা কথা বলব, ছেলেরা খুব স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমার সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল। বিতর্ক থেকে ক্রিকেটের দিকে মনটা ঘোরাতে চেয়েছিলাম অধিনায়ক হয়ে। সেটা করতে পেরেছি কারণ ছেলেরা দারুণ ভাবে এগিয়ে এসেছিল।

প্র: একটা খবর শোনা যাচ্ছিল যে, আপনাকে নাকি অবসর নিতে বাধ্য করা হল? সেটা কি ঠিক? আপনি কি খুশি মনেই ক্রিকেট ছাড়লেন?

মিসবা: একেবারেই ভুল খবর। আমি খুশি মনেই ক্রিকেট ছেড়েছি এবং কোথাও কোনও আক্ষেপ আমার নেই। বরং, যে ভাবে বিদায়ী টেস্টে গোটা দল আমাকে সম্মানিত করেছে, যে রকম আবেগপূর্ণ ভাবে আমাকে বিদায় জানিয়েছে ওরা, তা অভাবনীয়! দেশের হয়ে খেলার শেষ মোড়ে যে এ রকম ভালবাসা আর শ্রদ্ধা আমার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে আমি ভাবিনি। অবসরের দিনটায় দাঁড়িয়ে তাই ক্রিকেট ছাড়ার আক্ষেপ বা অনুতাপ নয়, গর্বিত লাগছিল নিজেকে নিয়ে। ক্রিকেট সারা জীবন কেউ খেলবে না, থেকে যাবে এই ভালবাসাটাই।

প্র: মিসবা, আপনাকে শেষ প্রশ্ন। সচিন তেন্ডুলকরের নতুন ফিল্ম দেখেছেন কি? বা দেখবেন কি?

মিসবা: জি জি বিলকুল দেখনা হ্যায়। সচিন তেন্ডুলকরের জীবন কাহিনি নিয়ে ফিল্ম হয়েছে, সেটা শুনেছি। এখনও দেখা হয়নি। তবে আমি দেখবই। সচিন তেন্ডুলকর অসাধারণ এক ক্রিকেটার। তাঁর ক্রিকেটজীবনের যাত্রাটাও নিশ্চয়ই রোমহর্ষক, অভাবনীয় হবে! সেটা দেখবে না এমন কেউ আছে!

Cricket Misbah-ul-Haq Virat Kohli মিসবা-উল-হক বিরাট কোহালি Champions Trophy চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy