Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ইংল্যান্ডে রান পেতে গেলে ধৈর্য চাই, মত গাওস্করের

মুম্বইয়ে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যাও করেন গাওস্কর। বলেন, ‘‘ব্যাট স্পিডে দারুণ বদল এনেছে কোহালি। চার বছর আগে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ও ব্যাটটা বাড়িয়ে দিচ্ছিল। এখন ও বলের জন্য অপেক্ষা করছে। বলকে আসতে দিচ্ছে ব্যাটের কাছে। শুরুতে হয়তো একটু-আধটু ব্যাটটাকে এগিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু সেটা সবাই করে।’’ কোহালির ব্যাটিংয়ের এই পরিবর্তন মুগ্ধ করেছে গাওস্করকে।

প্রশংসা: বিরাট কোহালির ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ গাওস্কর। ফাইল চিত্র

প্রশংসা: বিরাট কোহালির ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ গাওস্কর। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

চার বছর আগের ইংল্যান্ড সফরে বিরাট কোহালিকে তিনি দেখেছিলেন। চার বছর পরে এ বারের কোহালিকেও তিনি দেখেছেন। দেখেছেন, এজবাস্টন টেস্টের সেঞ্চুরি। সেই কোহালি আর এই কোহালির মধ্যে তফাতটা কোথায়? ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাওস্কর মনে করেন, ব্যাট চালানোর গতিতে হেরফের করেই ইংল্যান্ডে সাফল্য পেলেন ভারত অধিনায়ক।

মুম্বইয়ে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যাও করেন গাওস্কর। বলেন, ‘‘ব্যাট স্পিডে দারুণ বদল এনেছে কোহালি। চার বছর আগে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ও ব্যাটটা বাড়িয়ে দিচ্ছিল। এখন ও বলের জন্য অপেক্ষা করছে। বলকে আসতে দিচ্ছে ব্যাটের কাছে। শুরুতে হয়তো একটু-আধটু ব্যাটটাকে এগিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু সেটা সবাই করে।’’ কোহালির ব্যাটিংয়ের এই পরিবর্তন মুগ্ধ করেছে গাওস্করকে। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বলেন, ‘‘এই পরিবর্তনগুলো দারুণ। টেকনিক্যাল, মানসিক। এর জন্যই ও বড় রান করতে পারে। এই ধরুন, ব্যাটটাকে বলের কাছে না নিয়ে যাওয়া, শরীরের কাছে খেলা— এ সব ছোট ছোট বদলই সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে যায় একজন ব্যাটসম্যানকে।’’ গাওস্কর যখন এ সব কথা বলছেন, তখনও লর্ডসে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেনি।

গাওস্কর পরিষ্কার জানাচ্ছেন, ইংল্যান্ডের পরিবেশে সফল হতে গেলে ধৈর্য এবং ভাল ফুটওয়ার্কের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডের পরিবেশে বল মুভ করে। তাই ব্যাটসম্যানদের ভাল ফুটওয়ার্ক আর ধৈর্য চাই। বার্মিং‌হামের মতো পরিস্থিতি হলে বল বেশি মুভ করবে। ব্যাটিং করার সময় অপেক্ষা করতে হবে, কখন স্কোর করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে চলবে না।’’ গাওস্কর মেনে নিচ্ছেন, উপ-মহাদেশের ক্রিকেটারদের পক্ষে ইংল্যান্ডের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটা সব সময় কঠিন। সানির পরামর্শ, ‘‘এই জন্য আমি সব সময় বলি, লাল-বলের ক্রিকেট যত বেশি সম্ভব খেলা উচিত। তা হলে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সব সময় হয়তো বিশ্বমানের বোলারদের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে না, কিন্তু প্রথম শ্রেণির বোলারদের বিরুদ্ধে তো ব্যাট করা যাবে।’’

এজবাস্টন টেস্টে হেরে ভারত ইতিমধ্যেই পাঁচ টেস্টের সিরিজে ০-১ পিছিয়ে আছে। তাও গাওস্কর আশাবাদী। বলছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে ভারত একটা সুযোগ হারিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডে ফিরে আসার একটা সুযোগ আছে। বিদেশে ভারত সব সময়ই ধীরে ধীরে ছন্দে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা তৃতীয় টেস্টে ফিরে এসেছিলাম। ওই সিরিজটা যদি পাঁচ টেস্টের হত, তা হলে হয়তো শেষ দু’টো টেস্ট জিততেও পারত। ইংল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। ফলে ফিরে আসার একটা সুযোগ ভারত পাবে। কোহালিরা এই সিরিজটা জিততেও পারে।’’

আরও পড়ুন: কালো আকাশের নীচে

কী ভাবে সম্ভব ভারতের প্রত্যাবর্তন? গাওস্করের ফর্মুলা খুব সহজ। ‘‘ব্যাটসম্যানদের রান করতেই হবে। বোলাররা কুড়িটা করে উইকেট নিতে সমস্যায় পড়ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই নিয়ে আসছে। এ বার ব্যাটসম্যানদের অবদান রাখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE