রাজেন্দ্র মাল লোঢা
গত তিন দিন ধরে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। বহু কষ্টে যখন নয়াদিল্লির বাড়িতে রাতে ল্যান্ডলাইনে ধরা গেল তখনও ক্রিকেটমহলে সবচেয়ে আলোচিত রাজেন্দ্র মাল লোঢা কোথাও একটা বেরিয়ে যাচ্ছিলেন।
প্রশ্ন: এত ব্যস্ততা কি ক্রিকেট আইন কার্যকর করা নিয়ে?
লোঢা: একটুও না। দিল্লির কাছে নতুন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজের সংস্কার নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। অন্য কিছুর সময় পাচ্ছি না।
প্র: দিনের বিভিন্ন সময় ফোন করে আপনাকে ধরা যাচ্ছে না। সব সময় আপনি বাইরে। বলতে চান ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজও দেখছেন না?
লোঢা: এতটুকু দেখার সুযোগ পাচ্ছি না।
প্র: অলিম্পিক্স?
লোঢা: এ ভাবে চললে কী হবে জানি না।
প্র: এরই মধ্যে তো মঙ্গলবার আপনার সঙ্গে বোর্ড কর্তারা দেখা করতে আসছেন?
লোঢা: হুঁ।
প্র: তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে যে ওঁরা একা আসবেন নাকি আইনজীবী সঙ্গে নিয়ে?
লোঢা: আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টকে দেখা করতে বলেছি। সেক্রেটারিকে সঙ্গে আসতে বলেছি। এর বাইরে কোনও জল্পনা আমার মনে হয় প্রিম্যাচিওর।
প্র: প্রিম্যাচিওর কেন? সত্যিই তো আলোচনা হচ্ছে যে সঙ্গে আরও কেউ থাকবেন।
লোঢা: এ জন্যই প্রিম্যাচিওর যে যেটা ঘটেইনি সেটা নিয়ে আগাম ভাবতে যাব কেন?
প্র: এই বৈঠক থেকে কী আশা করা যেতে পারে?
লোঢা: কী আর আশা করা যেতে পারে? যে আইনগুলো প্রণয়ন করতে হবে তা নিয়ে কথাবার্তা।
প্র: ক্রিকেটমহল তীব্র উত্তেজনার সঙ্গে তাকিয়ে আছে মঙ্গলবারের নয়াদিল্লির দিকে। আর আপনি এমন ভাবে বলছেন যেন চা-বিস্কুটের বৈঠক।
লোঢা: না, না টি-বিস্কিটের মিটিং হতে যাবে কেন? আমরা পরিষ্কার বলে দেব, দ্রুত কী ভাবে রিপোর্ট কার্যকর করতে হবে।
প্র: বোর্ড কর্তারা মন থেকে কিছুতেই এমন চরমপন্থী রায় মানতে পারছেন না। আপনার নিশ্চয়ই তাঁদের অসন্তোষের কথা কানে এসেছে?
লোঢা: আলোচনাটাই আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক। দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। আমার সুপারিশের প্রায় গোটাটাই রেখেছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়, এর উপরে আবার কথা হয় নাকি? দেশের আইনকে অবজ্ঞা করা সম্ভব?
প্র: তা হলে আপনি বৈঠকে এঁদের কী বলবেন?
লোঢা: এটাই বলব যে কত দ্রুত এবং কী ভাবে ওরা রায়গুলো কার্যকর করতে পারে।
প্র: কোনও কিছু নিয়ে সংশয় থাকলে সেটাও কি আপনি দূর করে দেবেন?
লোঢা: আমার রায় তো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট— অ্যাভেলেবল সবার সামনে। সংশয় থাকার কথা নয়। তবে যদি থাকে কথা বলা যেতেই পারে।
প্র: বোর্ড কর্তারা সে দিন নিশ্চয়ই আপনাকে বলবেন যে ওঁরা রায়ে কেমন বিড়ম্বনার মধ্যে। কতটা অসুখী হয়ে পড়েছেন।
লোঢা: আমি জানি না সুখ বা অসুখের প্রশ্নটা উঠছে কেন?
প্র: এ জন্যই উঠছে যে গোটা সিস্টেমটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে।
লোঢা: আবার বলছি এই আলোচনাটাই হয়তো প্রিম্যাচিওর। যা ঘটেনি, যা এখনও শুনিনি সেটা ধরে নেব কেন?
প্র: কী বলছেন ধরে নেবেন? বোর্ড তো প্রকাশ্যে আলোচনা করছে যে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। রিভিউ পিটিশন করছে। বোঝার বাকি কী আছে?
লোঢা: আমি আবার বলি, একটা রিপোর্টের বেশির ভাগ অংশ অনুমোদিত হয়ে রায় হয়ে গিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় বেরিয়ে গিয়েছে। এর পর সেটা মানতেই হবে। পালানোর কোনও রাস্তা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy