বায়োপিকের অনুষ্ঠানে কপিলের সঙ্গে রণবীর সিংহ। ছবি: টুইটার
লর্ডসের সেই ঐতিহাসিক ফাইনাল। আর তার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডসকে আউট করে দিলেন মদন লাল। পঁচিশ গজের বেশি পিছনে দৌড়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিলেন মদনের অধিনায়ক কপিল দেব।
কিন্তু কে জানত যে, ঠিক সেই ওভারেই কপিল বল দিতে চাননি মদনকে? সেই অজানা কাহিনি এ বার ফাঁস করছেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব স্বয়ং। এ বার তাঁকে নিয়ে বায়োপিক হচ্ছে। কপিলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন রণবীর সিংহ। ফিল্মের প্রথম প্রমোশনে মদন লালকে নিয়ে অজানা এই কাহিনি শোনালেন কপিল। যেটা থাকছে তাঁকে নিয়ে ফিল্মেও।
আউট হওয়ার ঠিক আগের ওভারেই মদনকে তাঁর নিজস্ব নির্মম ভঙ্গিতে পেটান ভিভ। তিনটি চার মারেন তাঁকে। কারও ভুলে যাওয়ার কথা নয় যে, প্রুডেনশিয়াল কাপ ফাইনালে ভারত তুলেছিল সাকুল্যে ১৮৩ রান। একই ওভারে মদনের তিনটি চার হজম করার পরে তাই স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন কপিল যে, ম্যাচটা না সেই ভিভ একাই নিয়ে চলে যায়। তিনি মদনকে গিয়ে বোঝালেন, এখন তুমি একটু রেস্ট নাও। পরে আবার বোলিংয়ে আসবে। কিন্তু কপিলের কথায় মদন পাল্টা তাঁকে বলেন, ‘ক্যাপসি’ (কপিলকে এ নামেই ডাকতেন সতীর্থরা) তুমি আমাকে বলটা দাও। আমি আগে ভিভ রিচার্ডসকে আউট করেছি, আরও একবার আমি সেটা করতে পারব।
এ দিনের অনুষ্ঠানে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে কপিল বলেন, ‘‘কোনও ক্রিকেটার যদি এতটা আত্মবিশ্বাসী হয়, তখন আর কী করা যেতে পারে? আমি খুব একটা না চাইলেও ওকে বলটা দিতেই হতো। বলে না, যা ঘটে ভাল-র জন্য ঘটে। এই ঘটনাটাও আমাদের ভাল-র জন্য ঘটেছিল।’’ বিশ্বজয়ে প্রত্যেকে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছিল বলেও জানান কপিল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিজেরা জানতাম, আমাদের টিম সেরা নয়। যখন আমাদের টিম হয়েছিল, খুব একটা হয়তো আত্মবিশ্বাস ছিল না। কিন্তু যত আমরা জিততে শুরু করলাম, তত সকলের মোটিভেশন বাড়তে থাকল।’’
রজার বিনি আবার তাঁদের অধিনায়কের সেই ঐতিহাসিক ইনিংসের স্মৃতিচারণা করলেন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কপিলের সেই ১৭৫ নট আউট, যা ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা ইনিংস হয়ে আছে। বিনি বললেন, ‘‘সকালের কফি শেষ করার আগেই দেখলাম, আমরা হয়ে গিয়েছি ১৭-৫। আমি ছিলাম ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান। তখনও আমাদের হাতে ৫৩ ওভার রয়েছে। স্কোর ৭৭ পর্যন্ত নিয়ে গেলাম আমরা দু’জনে। আমি আউট হওয়ার পরে সপ্তম উইকেটও পড়ে গেল।’’
সেই সময় পর্যন্তও কপিল কোনও বাউন্ডারি মারেননি। যা চার-ছক্কা মারেন, সব শেষে গিয়ে। মদন লালের সঙ্গে এরপর যোগ করেন ৭০ রান। তার পর কিরমানির সঙ্গে ১০০ রান। বিনি বলেন, ‘‘সেই ম্যাচের স্কোরকার্ড দেখুন। কপিলের ১৭৫ নট আউটের পরে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৪।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy