সেরসা স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
নতুন কোচের নেতৃত্বে আবাসিক শিবিরের আয়োজনে পরিকাঠামো দেখতে রেলশহরে এলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। রবিবার খড়্গপুর শহরে এসে রেলের সেরসা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন ক্লাবের এক প্রতিনিধিদল।
ওই দলে ছিলেন রানা দাশগুপ্ত, অরুণাভ ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ মজুমদার। আগামী ১৫ জুলাই থেকে কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আবাসিক শিবিরের আয়োজন হতে চলেছে। ক্লাবের ফুটবলারদের কলকাতার বাইরে অন্য মাঠে অনুশীলনের উদ্দেশ্যেই এই শিবির।
তবে শুধু খড়্গপুর নয়। এ জন্য রাজ্যের তিনটি মাঠ পরিদর্শন করছেন ক্লাব কর্তারা। খড়্গপুরের সঙ্গেই রয়েছে কল্যাণী ও দুর্গাপুরের নামও।
তবে আশাবাদী রেলশহর। খড়্গপুর পুরসভার সহযোগিতায় ওই আবাসিক শিবির হতে পারে সেরসা স্টেডিয়ামে।
এ দিন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনে হাজির ছিলেন পুরপ্রধান তথা ক্লাব সদস্য প্রদীপ সরকারও। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, পনেরো দিনের এই আবাসিক শিবিরে ক্লাবের অন্তত ৪৫জন খেলোয়াড় উপস্থিত থাকবেন।
দুর্গাপুর ও কল্যাণীতে মাঠ পরিদর্শন করা হচ্ছে। যেখানেই শিবির হোক না কেন, ফুটবলাররা পৌঁছে যাবেন ১৫ জুলাইয়ে। ১৬ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পুরোদমে অনুশীলন চলবে।
এই সময়ের মধ্যেই শহরের ফুটবলারদের সঙ্গে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ নিয়ে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব জানিয়েছেন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। ২৯ জুলাই ওই প্রদর্শনী ম্যাচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রদীপবাবু বলেন, “প্রতিবছর আবাসিক এই শিবির কল্যাণী পুরসভার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এ বার ক্লাব চাইছে খড়্গপুর পুরসভার সহযোগিতা। আমি নিজেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একজন সদস্য। শহরের ফুটবল প্রেমীদের উৎসাহ দিতে শিবিরের সঙ্গে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ এখানে করাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি।”
তবে পুরপ্রধানের আক্ষেপ, পুরসভার নিজস্ব মাঠ নেই। এ ক্ষেত্রে ভরসা রেলের ময়দান। এ দিন পুরপ্রধানের আশা, “খেলাধুলোর স্বার্থে রেলের ডিআরএম নিশ্চয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।”
এ দিন মাঠ ঘুরে দেখার পরে সেরসার জিমখানাও ঘুরে দেখেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
সেরসা ঘুরে দেখে অরুণাভ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এখানে পরিকাঠামো ঘুরে দেখেছি। ভালই লেগেছে। তবে সর্বসম্মতিক্রমে মাঠ বাছাই হবে। তবে পুরপ্রধান চাইলে যে কোনও দিন প্রদর্শনী ম্যাচ হতেই পারে।”
২০১৩ সালেও খড়্গপুরে একটি ইষ্টবেঙ্গলের একটি প্রদর্শনী ম্যাচ হয়েছে। সে বার মাঠ শাসন করছিলেন চিডি, অ্যালভিটো, ডিকা, গুরবিন্দর সিংহ, বলজিৎ সিংহরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল খড়্গপুর একাদশের ফুটবলাররা।
গত বছরও মোহনবাগান ও প্রয়াগ জুনিয়রকে নিয়ে খেলার আয়োজন হয়েছিল। সেই স্মৃতি টাটকা খড়্গপুর ফুটবল ক্লাবের কোচ স্বপন দে-র। তিনিও এ দিন ক্লাব কর্তাদের সঙ্গেই ছিলেন। স্বপন দে বলছিলেন, “খড়্গপুরে আমরা কোনওভাবে ফুটবলটাকে টিকিয়ে রেখেছি। ছেলেরা মাঠে আসছে। কিন্তু এ ধরনের আবাসিক শিবির ও প্রদর্শনী ম্যাচ হলে আমাদের শহরের ছেলেরাও অনেক কিছু শিখতে পারবে। আমি চাই এই শিবির
এখানেই হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy