Advertisement
২১ মে ২০২৪

‘জানতাম ফকনারের ওই ওভারটায় মারতেই হবে’

বিরাট মায়ায় মুগ্ধ হননি, রবিবার ক্রিকেট বিশ্বের এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোহালির মায়াবী রাতে কত আবেগের ওঠাপড়া। টেনশন থেকে সেলিব্রেশন, অপ্রত্যাশিত আঘাত থেকে বিস্ময়। যাঁকে ঘিরে এত কিছু তাঁর মনের অবস্থাটা কেমন ছিল? বিসিসিআই ওয়েবসাইটকে তিনি— বিরাট কোহালি যা বললেন.....বিরাট মায়ায় মুগ্ধ হননি, রবিবার ক্রিকেট বিশ্বের এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোহালির মায়াবী রাতে কত আবেগের ওঠাপড়া। টেনশন থেকে সেলিব্রেশন, অপ্রত্যাশিত আঘাত থেকে বিস্ময়। যাঁকে ঘিরে এত কিছু তাঁর মনের অবস্থাটা কেমন ছিল? বিসিসিআই ওয়েবসাইটকে তিনি— বিরাট কোহালি যা বললেন.....

আইপিএল স্পট ফিক্সিং নিয়ে মাঠের বাইরে সংস্কার আনা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মুকুল মুদগলের অভিনন্দন কোহালিকে।পাশে ধোনি।

আইপিএল স্পট ফিক্সিং নিয়ে মাঠের বাইরে সংস্কার আনা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মুকুল মুদগলের অভিনন্দন কোহালিকে।পাশে ধোনি।

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০৪:২১
Share: Save:

• জেতার পর মাঠে তাঁর আবেগঘন প্রতিক্রিয়া
ধোনির উইনিং রান নেওয়া দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। ১০ ওভার পর মনে হচ্ছিল আমরা হয়তো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাব, সেখান থেকে ধোনির সঙ্গে ম্যাচ জেতা, জানি না কী ভাবে করে ফেললাম। মাঠেও বিশ্বাস হচ্ছিল না আমরা রানটা তুলে ফেলেছি। টিমের জন্য যা করতে পেরেছি দারুণ লাগছে। এই জন্যই তো খেলা। এই অনুভূতিটার জন্যই তো খেলোয়াড় জান লড়িয়ে দেয়। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত, সতীর্থরা সবাই সেলিব্রেট করছে, হাসছে, আনন্দ করছে, এটা দেখে দুর্দান্ত লাগছিল।

• রান তাড়ার পরিকল্পনা
বাউন্ডারি মারার প্রি-প্ল্যানিংটা বারবার মাথায় আসছিল তখন। জানতাম জেমস ফকনারকে ১৮ নম্বর ওভারটায় মারতেই হবে। তিন ওভারে ৩৯ রান করতে হত। তাই একটা ওভার অন্তত পনেরোর কাছাকাছি নিতে হবে ছকে নিয়েছিলাম। ওভারটা আরও বড় (১৯ রান) প্রাপ্তি হয়ে দাঁড়াল আমাদের কাছে। ১৬ ওভারের আগে বোধহয় মাথায় এসেছিল খুব একটা বাউন্ডারি আমরা মারতে পারছি না। ইনিংসের শেষ দিকে সমস্যা হতে পারে, পিচটা ফ্ল্যাট নয়। স্লোয়ারগুলো সামলানো কঠিন। তাই টিকে থেকে গ্যাপগুলো খুঁজে নেওয়াটা ওই সময় জরুরি ছিল। বিদু্ৎগতির আউটফিল্ড, তাই এক বার রিংয়ের মধ্যে ফিল্ডারদের হার মানাতে পারলেই বাউন্ডারি মিলবে এটা জানতাম।

• পার্টনার ধোনির সমর্থন

তিন ওভারে অত রান করতে হবে আর উল্টো দিকে ধোনিকে নিয়ে রানটা তুলে ফেলা। এ রকম পরিস্থিতিতে আগে হয়তো কখনও পড়িনি। সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারে সাহায্য পেলাম সেটা দ্রুত দু’রানগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে। ওরা কিন্তু এই রান নেওয়াতেই আরও চাপে পড়ে গিয়েছিল। কারণ অস্ট্রেলিয়া বুঝতে পেরেছিল আমরা খুচরো রানেও ওভারে ১২ নিতে পারব কোনও ঝুঁকি না নিয়েই। ওই সময়টাতেই মনে হয় বোলাররা আরও টেনশনে পড়ে যায়। ধোনিকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ঠান্ডা মাথায় আমায় তখন বলছিল, কোথায় বলটা পাঠিয়ে রানটা তুলবে সেটা ভেবে রাখ। আমি যাতে ওভার এক্সাইডেট না হয়ে পড়ি, ধোনি সেটা দেখছিল। মাঠের কোন কোন জায়গায় থেকে রান তুলতে পারি সেটা বলছিল। আমি কভার টার্গেট করলে আমায় আবার নিশ্চিত করছিল। তাতে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ছিল। এই কমিউনিকেশনটাই তো পার্টনারশিপে সাহায্য করে।

• এটাই তাঁর সেরা ইনিংস

জানি না কোথায় রাখব এই ইনিংসটাকে। এটা মানুষের উপর, তারা যেখানে রাখতে চায়। দেশের হয়ে খেলা প্রত্যেকটা ইনিংস আমি উপভোগ করি। হয়তো সমর্থকরা ভাবছেন ভারতীয় দলের রান তাড়া করার দিক থেকে এই ম্যাচটা অনেক এগিয়ে থাকবে। তবে শুধু আমার একার নয়, সবার অবদান রয়েছে এতে। আমি ৮২ রান করেছি। পুরো রানটা কিন্তু করিনি। অন্যদেরও অবদান রয়েছে। তাই ওদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE