শ্রদ্ধার্ঘ্য: প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক অজিত ওয়াড়েকরের মৃত্যুতে নীরবতা পালন ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামশায়ারে। এপি
শুধু কিংবদন্তি ক্রিকেটার না, অনেকের কাছে তিনি ছিলেন ক্রিকেট অভিভাবকও। যাঁদের ক্রিকেট জীবন পাল্টে দিয়েছিলেন অজিত ওয়া়ড়েকর। বুধবার ৭২তম স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। রেখে গেলেন এক ঝাঁক গুণমুগ্ধ, যাঁরা এখন স্মৃতিতর্পণে ডুবে রয়েছেন।
ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যাঁর নেতৃত্বে ভারত প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতেছিল, তিনি পরবর্তীকালে ভারতের কোচ ও ম্যানেজার এবং নির্বাচক প্রধানও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুকে দেশের ক্রিকেটের ‘বড় ক্ষতি’ বলছেন অনিল কুম্বলেরা। ম্যানেজার ওয়াড়েকরকে যাঁরা ভারতীয় দলে দেখেছেন দীর্ঘদিন। সচিন তেন্ডুলকর মনে করেন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে বড় প্রভাব ফেলেছিলেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘’৯০-এর দশকে আমাদের ভাল পারফরম্যান্সের পিছনে ওয়াড়েকর স্যারের অবদান ছিল অনেকটাই। ওঁর পরামর্শ ও পথনির্দেশের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব তাঁর কাছে।’’
সচিনের ওপেনার হিসেবে ব্যাট করার পিছনে ওয়াড়েকরের বড় ভূমিকা ছিল। আর এই জায়গায় ব্যাট করেই পরবর্তীকালে সচিন ক্রিকেট বিশ্বে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। ওয়া়ড়েকরের আমলেই অধিনায়ক আজহার নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থতার পরে সাফল্যে ফিরে আসেন এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ ছিলেন সেই সাফল্যের মধ্যেই। অনিল কুম্বলের কাছে ওয়াড়েকর অনেকটা দেবদূতের মতো আসেন। ১৯৯০-এ ইংল্যান্ড সফরের পরে দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন কুম্বলে। ’৯২-’৯৩-য়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁর দলে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াড়েকরও ভারতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন। তার পরে ১৬ বছর আর দল থেকে কখনও বাদ পড়েননি কিংবদন্তি স্পিনার। সেই কুম্বলে ওয়াড়েকরের মৃত্যুর খবর শুনে টুইট করেন, ‘‘পুরো দলের কাছে তিনি কোচের চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন। যেন বাবার মতো। অসাধারণ কৌশলী মানুষ ছিলেন। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ স্যার।’’
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এক প্রদর্শনী ম্যাচে ওয়াড়েকরের ব্যাটিংয়ের ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ‘‘ওয়াড়েকরের সতীর্থরা ওঁকে পুজো করতেন, এমনই প্রভাব ছিল তাঁর। কোচ হিসেবেও খুব কড়া মানুষ ছিলেন। বিরল ভারতীয় ক্রিকেটার।’’ সতীর্থদেরই একজন বিষান সিংহ বেদী টুইটারে লেখেন, ‘‘সতীর্থ হিসেবে সব সময়ই ভাল ছিলেন। আমাদের মতপার্থক্য হত ঠিকই। কিন্তু সফলদের চিরকালই শ্রদ্ধা করতেন।’’ শোকাহত বিনোদ কাম্বলির বার্তা, ‘‘আমার বাবার মতো ছিলেন। আমি আর সচিন অনেক সময় কাটিয়েছি ওঁর সঙ্গে। প্রচুর পরামর্শ পেয়েছি ওঁর কাছ থেকে। উনি শান্তিতে ঘুমোন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy