Advertisement
E-Paper

বিরাটের আগ্রাসনও কাজে লাগাবেন কুম্বলে

অনিল কুম্বলে কোচ হয়ে আসায় ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে নতুন কী কী দেখার আশায় বাংলার ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি? জানালেন আনন্দবাজার-কে। অনিল কুম্বলে কোচ হয়ে আসায় ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে নতুন কী কী দেখার আশায় বাংলার ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি? জানালেন আনন্দবাজার-কে।

রাজীব ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৬ ০৯:৫২

কুম্বলে-কোহালি কম্বো হিট হবে

ক্যাপ্টেন-কোচের কম্বিনেশন ঠিক হওয়া খুব দরকার। এটা পজিটিভ হলে টিমে তার ভাল প্রভাব পড়ে। দু’জনের আইডিয়া এক রকম না হলে টিমের অন্যদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। জানি বিরাট খুব আগ্রাসী। সেটা ও মাঠে প্রকাশও করে। কিন্তু অনিল ভাই আগ্রাসী নন, কে বলল? উনি আগ্রাসনটা কাউকে বুঝতে দেন না বলেই হয়তো অনেকে সেটা মনে করেন। ভাঙা চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধে যিনি সমানে বল করে যেতে পারেন, তিনিও কম আগ্রাসী নন। কিন্তু তাঁর শরীরী ভাষায় সেটা বোঝা যায় না। মনে হয় না বিরাটের আগ্রাসনে তাঁর আপত্তি থাকবে। বরং তাকে ব্যালান্স করে বা নিয়ন্ত্রণ করে ঠিক ভাবে কাজে লাগানোর ব্যাপারে উনি সেরা গাইড হতে পারেন। উনি বরাবর বুদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে ভেবেছেন, আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে নয়।

ম্যান ম্যানেজমেন্ট পারবেন

ইন্ডিয়া টিমের কোচকে মূলত ম্যান ম্যানেজমেন্ট করতে হয়, গেমপ্ল্যান তৈরি করতে হয়। এখানে কাউকে হাতে ধরিয়ে ক্রিকেট শেখাতে হয় না। অনিল ভাই যথেষ্ট শিক্ষিত, ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা। উনি এই কাজটা ভাল করতে পারবেন। যখন ভারতের অধিনায়ক ছিলেন, তখনও তো এটাই করে এসেছেন। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগবে।

অশ্বিন-অস্ত্রের ধার বাড়বে

এক দিকে অনিল কুম্বলে, অন্য দিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই জুটিই তো বিপক্ষের কাছে ত্রাস হয়ে উঠবে! ভারতীয় দলে অশ্বিন-সহ স্পিনারদের এক জন সব সময়ের অভিভাবক দরকার ছিল। সেই অভাবটা পূরণ হবে। স্পিনই যেখানে ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় শক্তি, সেখানে অনিল কুম্বলের মতো একজন ইনস্ট্যান্ট ব্যাক-আপ সব সময় থাকলে দল বাড়তি সুবিধা পাবেই। রবি শাস্ত্রী স্পিনারদের সব সময় ব্যাক-আপ দিতেন বলে শুনিনি।

চাপ সামলানোয় বিশেষজ্ঞ

জানি ইন্ডিয়া কোচকে অন্য দলের কোচের চেয়ে সব সময় বাড়তি চাপে থাকতে হয়। প্রত্যাশার চাপ থাকে সব সময়। কিন্তু কোচ কেন, সেই চাপ তো ক্রিকেটারদের উপর আরও বেশি থাকে। আর অনিল কুম্বলে ভারতীয় ক্রিকেটের যে যুগের তারকা, সেই যুগে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের চাপ বোধহয় আরও বেশি ছিল। সেই চাপ সামলে যখন তিনি সফল হয়েছেন, তখন কোচ হিসেবে চাপ সামলানোটা তেমন কঠিন হবে বলে মনে হয় না। এই ব্যাপারে উনি বরং বিশেষজ্ঞ। যে বিদ্যেটা উনি দলের তরুণদের সঙ্গে শেয়ারও করবেন নিশ্চয়ই।

মেয়াদ আরও বাড়ুক

অনিল ভাইকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাত্র এক বছরের জন্য। মনে হয় এই সময়টা যথেষ্ট নয়। শুনছিলাম তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছর করা হতে পারে। সেটা হলেই ভাল। এক জন ক্রিকেটারকে যেমন সময় দেওয়া দরকার, তেমন এক জন কোচকেও সাফল্য আনার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই সময়টা পেলে অনিল ভাই দলকে যেমন নতুন নতুন রাস্তা দেখাতে পারবেন, তেমনই নতুন ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরিও করে নিতে পারবেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা ভেবে ওঁকে অবশ্যই দায়িত্বে রাখা দরকার। প্রথম বছর তেমন ভাল ফল না দিতে পারলেও।

Kumble Manoj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy