Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অবিশ্বাস্য হেডে মন ভরালেন দশ কোটির

ফেসবুক ভক্তের সংখ্যা একশো মিলিয়ন ছুঁয়ে ফেলার দিনই পর্তুগালের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইউরো কোয়ালিফায়ারে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দুরন্ত হেডে পর্তুগালকে ১-০ জিতিয়ে। মঙ্গলবারই প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ১০ কোটি ভক্তের মাইলস্টোন টপকে রিয়াল মাদ্রিদ মহাতারকার বার্তা ছিল, “অসাধারণ মাইলস্টোন। বিশ্ব জুড়ে এত সমর্থকের সঙ্গে জুড়ে থাকার ব্যাপারটা দারুণ লাগছে।

সেই গোলের হেড। রোনাল্ডোই যা পারেন। ছবি: এএফপি

সেই গোলের হেড। রোনাল্ডোই যা পারেন। ছবি: এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৩১
Share: Save:

ফেসবুক ভক্তের সংখ্যা একশো মিলিয়ন ছুঁয়ে ফেলার দিনই পর্তুগালের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইউরো কোয়ালিফায়ারে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দুরন্ত হেডে পর্তুগালকে ১-০ জিতিয়ে।

মঙ্গলবারই প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ১০ কোটি ভক্তের মাইলস্টোন টপকে রিয়াল মাদ্রিদ মহাতারকার বার্তা ছিল, “অসাধারণ মাইলস্টোন। বিশ্ব জুড়ে এত সমর্থকের সঙ্গে জুড়ে থাকার ব্যাপারটা দারুণ লাগছে। এই সমর্থনটাই আমায় প্রেরণা জোগায়।” তার পরই ইউরো কোয়ালিফায়ারের কঠিন ম্যাচে প্রিয় তারকার কাছে বিশেষ ‘উপহার’ পাওয়ার আশায় ছিলেন তাঁর সমর্থকরা। কিন্তু সেটা যে এ ভাবে আসবে কে জানত!

প্রথম ম্যাচে আলবেনিয়ার কাছে ০-১ হারের পাশাপাশি পর্তুগাল ক্যাপ্টেনের চোট নিয়ে আশঙ্কাতেই ছিলেন তাঁর সমর্থকরা। পুরো ম্যাচে মাঠে থাকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত উঠে যেতে হয়েছিল রোনাল্ডোকে। রিজার্ভ বেঞ্চে তাঁকে বাঁ-হাঁটুতে আইসপ্যাক চেপেও বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। বিশ্বকাপেও সিআর সেভেনের বাঁ-হাঁটুতে চোটের থাবাই ভুগিয়েছিল গোটা দলকে। তাই ফের একই আশঙ্কা দেখা দেওয়ায়, এ বারে ইউরো কোয়ালিফায়ার অভিযানই না ভেস্তে যায় সেই দুশ্চিন্তাও ছিল পর্তুগাল সমর্থকদের। কিন্তু এত চাপের মধ্যেও সিআর সেভেন দেখিয়ে দেন কেন তাঁকে এ বারও ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই।

গোটা ম্যাচে পর্তুগাল বেশ কিছু সুযোগ পেলেও প্রথমে গোল আসেনি। নানি একটুর জন্য ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেলকে টপকে হেডের সুযোগ নষ্ট করেন, রিয়াল মাদ্রিদ গোলমেশিনের শটও বার দু’য়েক আটকে দেন স্কিমিচেল। পর্তুগাল সমর্থকদের হতাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল ম্যাচের শেষ দিকে হজবার্গকে ফাউল করে রোনাল্ডো হলুদ কার্ড দেখায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সুযোগটা পান রোনাল্ডো। সেড্রিককে ফাউল করেন ক্রন্দেলি। ফ্রি কিক পায় পর্তুগাল। ড্যানিশ ডিফেন্স তৈরি ছিল শেষ মুহূর্তের আক্রমণ সামলানোর জন্য। ফ্রি কিক হেড করে বক্সের বাইরেও পাঠিয়ে দেন ডেনমার্কের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু ফিরতি বল চলে যায় পর্তুগালের কুরেশমার কাছে। বক্সের ডান দিক থেকে তিনি ক্রস বাড়ান রোনাল্ডোকে। এ বারও দু’বার তাঁকে আটকে দেওয়া ডেনমার্কের গোলকিপার বাধা দেওয়ার কম চেষ্টা করেননি। সঙ্গে ছিলেন ডিফেন্ডার সিমন কাজের। কিন্তু সিআর সেভেন তার জগদ্বিখ্যাত স্পট জাম্প হেডারে স্কিমিচেল আর কাজেরকে বাধা দেওয়ার সুযোগই দেননি।

১৯ বছর পর ডেনমার্কের ঘরের মাঠে ড্যানিশদের হারিয়ে গ্রুপে লাস্টবয় থেকে তিন নম্বরে উঠে আসল পর্তুগাল। যার পুরো কৃতিত্ব ক্যাপ্টেনকেই দিচ্ছেন পর্তুগিজ কোচ ফের্নন্দো সান্তোস, “ক্রিশ্চিয়ানো হল ক্রিশ্চিয়ানো। এক জন চ্যাম্পিয়ন। ওকে বণর্না করার মতো বিশেষণ হয় না।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “জানতাম ডেনমার্ক খুব শক্তিশালী দল। আমার মনে হয় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই ওরা ট্যাকটিক্স বদলে ৪-৩-৩ থেকে ৪-৪-২ এ চলে গিয়েছিল ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে।” কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল কোথায়! ড্যানিশ কোচ মর্টেন ওলসেন তাই টিমের উপর বেজায় খাপ্পা হয়ে বলেই ফেলেন, “ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিট মনোসংযোগ ঠিক রাখতে পারলে এমন ফল হয় না। পেশাদারি মনোভাবটা তো রাখতে হবে। খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খোয়ালাম।”

অবশ্য ড্যানিশ কোচ তর্ক জুড়তেই পারেন ম্যাচের শেষে তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া ফ্রি-কিক নিয়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ক্রন্দেলির বিরুদ্ধে ফাউল দেওয়া হলেও তিনি সেভাবে বাধাই দেননি সেড্রিককে। তাই ম্যাচের পর পর্তুগালের পক্ষে ফ্রি-কিক দেওয়া নিয়ে ড্যানিশ সমর্থকরা বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ দিনই আবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র করে চমকে দেয় জার্মানিও। দ্বিতীয়ার্ধে টনি ক্রুজের শট থেকে এগিয়ে গেলেও ইনজুরি টাইমে আয়ারল্যান্ডের জন ওশিয়ার গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আটকে দেয় আয়ারল্যান্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE