Advertisement
E-Paper

এমএসএন থাকলে কী করবে বেচারা ডিফেন্স

বক্সে নিজেদের আটজন রেখে দেওয়া। বিপক্ষের প্লে-মেকারদের বিন্দুমাত্র সময় না দেওয়া। মাঝমাঠকে দু’তিনজন ফুটবলারে ঘিরে ফেলা! প্রথমার্ধটা দেখে মনে হয়েছিল যাক, মঙ্গলবার রাতে হয়তো আর্সেন ওয়েঙ্গার নতুন কোনও ওষুধ খুঁজে পেয়েছেন বার্সেলোনা নামক রোগের জন্য।

সুব্রত ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৫৮
বিধ্বংসী মেসি। ছবি: এএফপি।

বিধ্বংসী মেসি। ছবি: এএফপি।

বার্সেলোনা-২ (মেসি-পেনাল্টি সহ ২)

আর্সেনাল-০

বক্সে নিজেদের আটজন রেখে দেওয়া। বিপক্ষের প্লে-মেকারদের বিন্দুমাত্র সময় না দেওয়া। মাঝমাঠকে দু’তিনজন ফুটবলারে ঘিরে ফেলা!

প্রথমার্ধটা দেখে মনে হয়েছিল যাক, মঙ্গলবার রাতে হয়তো আর্সেন ওয়েঙ্গার নতুন কোনও ওষুধ খুঁজে পেয়েছেন বার্সেলোনা নামক রোগের জন্য। আর্সেনালের কাছে বার্সা তো বরাবরের ত্রাস। কিন্তু এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রি-কোয়ার্টারে বিশ্বসেরা ত্রিফলা এমএসএন-কে কী ভাবে শান্ত রাখতে হয় সেটা হয়তো বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন।

যদিও হাফটাইমের পরেই আমার ভুল ভাঙল। সেই এক বার্সেলোনা। সেই এক আর্সেনাল। সেই এক ফল!

মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ অ্যাটাক দেখলে ডিফেন্স শব্দটার উপর থেকেই যেন ভরসা উঠে যাচ্ছে। wwকী করে এত ভাল বোঝাপড়া থাকতে পারে! কী করে নেইমার বুঝতে পারে মেসি কোথায় থাকবে? সুয়ারেজ ইংলিশ লিগের ধাঁচের সেন্টার ফরোয়ার্ড হয়েও কী করে এত ভাল একটা পাসিং দলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে! এই সব ভাবতে ভাবতে চোখের সামনেই উত্তর পেয়ে গেলাম।

তিন জনের অফ দ্য বল মুভমেন্ট যেমন সুন্দর, তেমন গতি। ছোট জায়গায় ড্রিবলও করতে পারে। বুঝতে পারে একে অপরের মুভমেন্ট। ওরা থাকা মানে বিপক্ষ ডিফেন্স দর্শক মাত্র। প্রথমার্ধে আর্সেনাল টিপিক্যাল ব্রিটিশ টিমের মতোই শুরু করেছিল। সংগঠিত ডিফেন্স। বল পজেশন কম সত্ত্বেও সুযোগের সন্ধানে থাকা। মেসি, নেইমারদের আটকানোর প্ল্যানটাও তো ঠিকঠাক যাচ্ছিল।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা খেলার ধরনটা সামান্য পাল্টাল। মেসি মাঝমাঠে স্কিমার হিসেবে নেমে এলো। সুয়ারেজ আরও সেন্টারে চলে গেল। নেইমার উইংয়ে খেলা ছড়াতে শুরু করল। আর তাতেই আর্সেনাল ডিফেন্স ওপেন হয়ে গেল। বার্সার মতো গ্রাউন্ডে পাস খেলার ক্ষমতা বিশ্বের কোনও দলের নেই। ওদের জার্মান গোলকিপার টের স্টেগেনকে পর্যন্ত দেখলাম শর্ট পাস দিয়ে আঠারো গজের বক্স থেকে দলের মুভ শুরু করছে। অবিশ্বাস্য! বাকি দশজন পাস খেলে-খেলে ক্লান্ত করে দিচ্ছে ওজিলদের। আর্সেনাল মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে জমাট বাঁধলে বার্সাও পাল্টা সাপোর্টিং প্লেয়ার বাড়িয়ে দিচ্ছিল। যা ওয়েঙ্গারের বিরুদ্ধে আগেও করেছে বার্সা।

মেসির প্রথম গোলটাও তো একটা সুন্দর পাসিং মুভ থেকে। সুয়ারেজ থেকে নেইমার। নেইমার থেকে মেসি। মেসি থেকে চেকের গোলে। বার্সা-গোল বলতে ঠিক যা বোঝায়। পের চেককে কখনও গোল দিতে না পারার খেদও মিটিয়ে ফেলল মেসি। বার্সার আর একটা গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজি ছিল ওয়েঙ্গারের ছেলেদের ফাইনাল ট্যাকলে বাধ্য করা। পেনাল্টিটা তো সে ভাবেই পাওয়া। চেক ছিল বলে চার গোল খায়নি আর্সেনাল।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy