Advertisement
E-Paper

নিজের মনের কথা শোনো, খুদেদের পরামর্শ দিলেন সচিন

১৫ নভেম্বর, ১৯৮৯। এই দিনটাতেই ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তেন্ডুলকরের। ২৮ বছর পরে আজ তিনি ব্যাট তুলে রেখেছেন ঠিকই, কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়া এই দিনটায় কুর্নিশ করতে ভোলেনি মাস্টার ব্লাস্টারকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৫৬
অতিথি: একটি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের সঙ্গে সচিন। ছবি: এএফপি

অতিথি: একটি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের সঙ্গে সচিন। ছবি: এএফপি

ভারতীয় ক্রিকেটে এই দিনটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৫ নভেম্বর। ২৮ বছর আগে এই বিশেষ দিনটায় একটা ছোটখাটো চেহারার, কোকড়া চুলের ১৬ বছরের ছেলে ভারতের জার্সি গায়ে নেমেছিল করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। টিম লিস্টে ছেলেটার নাম লেখা ছিল, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর!

১৫ নভেম্বর, ১৯৮৯। এই দিনটাতেই ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তেন্ডুলকরের। ২৮ বছর পরে আজ তিনি ব্যাট তুলে রেখেছেন ঠিকই, কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়া এই দিনটায় কুর্নিশ করতে ভোলেনি মাস্টার ব্লাস্টারকে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটগুলোয় চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে, ক্রিকেটপ্রেমীরা ফিরে গিয়েছেন সেই বিশেষ দিনে।

কিন্তু এই বিশেষ দিনে তিনি— সচিন তেন্ডুলকর কী করছেন? ফেসবুকে একবার আত্মপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যেখানে পোস্ট করা এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সচিন কথা বলেছেন পুণের কিছু শিশুদের সঙ্গে। যেখানে তিনি তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন কী ভাবে কড়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়।

খুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে সচিনের প্রথম পরামর্শ ছিল— ‘‘জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ওঠা-পড়া আছে। খেলাতেও আছে। এটা একটা প্যাকেজের মতো। একটার সঙ্গে আর একটা আসবেই। একবার ভারতীয় দলে ঢুকে যাওয়া মানে এই নয় যে সব কিছু মসৃণ ভাবে চলতে থাকবে। বরং ওখানে আরও বেশি করে ওঠা-পড়া আসবে।’’

এর পর সচিন তুলে আনেন প্রস্তুতির কথা। বোঝান, ফলের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল প্রস্তুতিটা। সচিন বলেন, ‘‘সব সময় মনে রাখবে, ফল মাঝে মাঝে তোমার মনের মতো হবে না। কিন্তু তার জন্য তোমার প্রস্তুতিতে যেন কোনও ঘাটতি না থাকে। তোমাকে রোজ ভোরবেলা বিছানা ছেড়ে ওঠার জন্য একটা কারণ খুঁজে বার করতে হবে। আমি সেই কারণটা খুঁজে পেয়েছিলাম।’’ সচিন মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাপারটা ঠিক স্কুলের পরীক্ষার মতো। পরীক্ষায় ফল ভাল করার জন্য যেমন পড়াটা চালিয়ে যেতে হয়, তেমন খেলাধুলার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সে রকমই।

এর পরে খুদেদের জন্য একটা বিশেষ পরামর্শ থাকছে সচিনের: দিল কি সুনো, দিমাগ কা মাত সুনো। সচিন বলে যান, ‘‘তোমার মন যেটা বলছে, সেটা শোনো। সব সময় মগজের কথা শুনো না। মাথাটা কাজে লাগাতে হয় স্ট্র্যাটেজি করার সময়। কিন্তু যদি মনের কথা শুনে নিজেকে তৈরি করতে পারো, তা হলে দেখবে সাফল্যটা আরও ভাল লাগবে। প্র্যাকটিসটা মন দিয়ে করবে, দেখবে ফলও ভাল পাবে।’’

ভিডিও বার্তার শেষ দিকে এসে সচিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘কখনও ফলের কথা ভেবে কাজ করবে না। দেখবে ফল নিজে থেকেই তোমার পিছনে ছুটছে।’’ আরও একটা পরামর্শ দিয়েছেন সচিন, ‘‘চ্যালেঞ্জকে আলিঙ্গন করো। দেখবে চ্যালেঞ্জ নিজেই পিছু হটে যাচ্ছে।’’

Sachin Tendulkar Cricket Legend Video Message
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy