Advertisement
০৭ মে ২০২৪

‘গুয়ার্দিওলার ত্রাসই হয়ে উঠেছেন ক্লপ’

কিন্তু তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার এই দুই ফুটবল চাণক্যের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই দেখতে রাত জেগেছিলাম দু’টো কারণে। এক, মহম্মদ সালাহ নতুন কী ম্যাজিক দেখায়।

উল্লাস: ম্যান সিটিকে হারিয়ে লিভারপুলের ফুটবলারদের উৎসব। ছবি: এএফপি

উল্লাস: ম্যান সিটিকে হারিয়ে লিভারপুলের ফুটবলারদের উৎসব। ছবি: এএফপি

দীপেন্দু বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:২৯
Share: Save:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ০-৩ হেরে এসেছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা। আমার মতে ওখানেই সেমিফাইনালে যাওয়ার টিকিট গুয়ার্দিওলার পকেট থেকে চলে গিয়েছিল লিভারপুলের জার্মান ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপের পকেটে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার এই দুই ফুটবল চাণক্যের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই দেখতে রাত জেগেছিলাম দু’টো কারণে। এক, মহম্মদ সালাহ নতুন কী ম্যাজিক দেখায়। দুই, ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যান সিটি ম্যানেজার পেপ তাঁর যুযুধান প্রতিপক্ষকে মাত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে যাওয়ার কোনও জাদু দেখাতে পারেন কি না!

প্রথমার্ধে ০-১ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে সালাহ ম্যাঞ্চেস্টার সিটি গোলকিপার এডারসনের হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলটা চিলের মতো ছোঁ মেরে ধরে, যে ভাবে তা চামচের মতো তুলে গোলে পাঠিয়ে দিল, তা বুঝিয়ে দেয়, কেন মিশরের এই ফুটবলারকে নিয়ে এ বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এত মাতামাতি হচ্ছে। দুর্দান্ত ফিনিশিং! এই গোলটা ধরে এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আট গোল করে ফেলল সালাহ।

আর গুয়ার্দিওলা বনাম ক্লপ দ্বৈরথ? সেখানে কিন্তু ক্লপ ফের দেখালেন, প্রাক্তন বার্সেলোনা ম্যানেজারকে যে ভাবে তিনি বুন্দেশলিগায় ভুগিয়েছিলেন, তা ইংল্যান্ডেও বহাল রয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মরসুমে প্রথম সাক্ষাতে ক্লপ ০-৫ হেরেছিলেন গত বছর। কিন্তু নতুন বছরে ৮৬ দিনের ব্যবধানে তিন বার গুয়ার্দিওলাকে হারালেন ক্লপ। প্রথম বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। আর বাকি দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে। মঙ্গলবার রাতে ২-১ (দুই পর্ব মিলিয়ে ৫-১) জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে গুয়ার্দিওলারই ছুটি করে দিলেন ক্লপ। সেমিফাইনাল পেরিয়ে কিয়েভের ফাইনালে ক্লপের দলকে দেখতে পাচ্ছি আমি। যদি না শেষ চারে কোনও অঘটন ঘটে।

ক্লপ ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল নামিয়ে ম্যান সিটিকে প্রথম দেখে নিলেন। লিভারপুল রক্ষণ এই সময় চাপের মুখে ভেঙে পড়েনি। বরং লভরেন একটু ভুলচুক করলেও উইং থেকে স্টার্লিংদের ভাসানো বলগুলো ঠিক বিপন্মুক্ত করছিল। অপেক্ষা করেছিল দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ম্যান সিটি কখন আক্রমণে আসে তার অপেক্ষায়। সেটা যখন হল, তখনই ফির্মিনোর গোলটা ওতামেন্দির ভুলে। যা ম্যান সিটির শেষ চারে যাওয়ার আশা শেষ করে দেয়। এর পিছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে সাদিও মানে। দ্বিতীয়ার্ধে ওর গতির সঙ্গে পাল্লা দিতেই পারেনি ম্যান সিটি রক্ষণ।

ম্যাঞ্চেস্টার সিটি: এদেরসন, কাইল ওয়াকার, নিকোলাস ওতামেন্দি, এমরিক লাপোর্ত, ফার্নান্দিনহো, বার্নাদো সিলভা (ইল্কে গুন্দোগাঁ, কেভিন দে ব্রুইন, দাভিদ সিলভা (সের্জিও আগুয়েরো), রাহিম স্টার্লিং, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, লেরয় সানে।

লিভারপুল: লরিস ক্যারিয়াস, ট্রেন্ট আলেকজান্দার-আর্নল্ড (নেথানিয়েল ক্লাইন), ভের্জিল, ভান দেইক, দেয়ান লভরেন, অ্যান্ডি রবার্টসন, অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেন, ওয়াইনলডাম, জেমস মিলনার, মহম্মদ সালাহ (ড্যানিয়েল ইঙ্গস), রবের্তো ফির্মিনো (র‌্যাগনার ক্ল্যাভান), সাদিও মানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE