Advertisement
E-Paper

গোলশূন্য ম্যাচে ক্লিশে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল

ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে তখন শুধু ৯০ মিনিটের অপেক্ষা। সঙ্গে বিটলসের ক্লাসিক অ্যানথেম, ‘হে জুড ডোন্ট মেক ইট ব্যাড।’ স্টেডিয়ামের টানেলে নীল যুদ্ধের আগের শান্ত আবহ। গাঢ়় নীলে যেন হাহাকার একটাই, নেই রোনাল্ডো। হালকা নীলের সঙ্গী তো তখন ঘরের মাঠ।

সুচরিতা সেনচৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০৩

ম্যানচেস্টার সিটি ০

রিয়েল মাদ্রিদ ০

ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে তখন শুধু ৯০ মিনিটের অপেক্ষা। সঙ্গে বিটলসের ক্লাসিক অ্যানথেম, ‘হে জুড ডোন্ট মেক ইট ব্যাড।’ স্টেডিয়ামের টানেলে নীল যুদ্ধের আগের শান্ত আবহ। গাঢ়় নীলে যেন হাহাকার একটাই, নেই রোনাল্ডো। হালকা নীলের সঙ্গী তো তখন ঘরের মাঠ।

স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর হতাশ মুখটাই বলে দিচ্ছিল দলের ভাষা। প্রথমার্ধ শুরু হতেই সেই হতাশার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল র‌্যামোস, পেপে, ক্রুসদের শরীরী ভাষায়। নেইয়ের তালিকাটা নেহাৎই কম ছিল না ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দলেও। সব থেকে বড় না পাওয়া অবশ্যই ইয়াইয়া ট্যুরে। যদিও ফিরে স্বস্তি দিলেন ভিনসেন্ট কোম্পানি। যাঁকে ঘিরে সব থেকে বেশি আশা ছিল সেই আগুয়েরোর আক্রমণে বিদ্ধ হতে দেখা গেল না প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটাই পজিটিভ আক্রমণ থেকে পেনাল্টির দাবি তোলা ছাড়়া। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টির দাবি উঠল রিয়েল শিবির থেকেও। ৮৩ মিনিটে সিটি বক্সে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল রিয়েলের ফ্রিকিকে। হার্ট দুরন্ত সেভ না করলে সিটির গোল হজম ছিল সময়ের অপেক্ষা। ভাল সেভের তালিকায় নাম লিখিয়ে রাখলেন নাভাসও। বল পজেশনে প্রথমার্ধ সিটির হলে দ্বিতীয়ার্ধ লেখা থাকল রিয়েলের নামে।

বেশ কিছু নেইয়ের মধ্যে খেলা শুরু হতেই যেন ছন্দ খোঁজার শুরু। যা পেতে রিয়েলের লেগে গেল ৩৫ মিনিট। তাও পুরোটা পাওয়া হল বলা যাবে না। টিম রিয়েলকে ম্যাচে ফিরতে দেখা গেল প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিট। ম্যাচের প্রথম আক্রমণ এল প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগে। যখন বক্সের মধ্যে বল পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠালেন বেঞ্জিমা। এই বেঞ্জিমাকে নিয়েই না কত ধোঁয়াশা। শেষ পর্যন্ত তিনি খেললেন। মাঠে বসে পরের প্রজন্মকে মেপে নিতে দেখা গেল ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা রোনাল্ডোকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের মতো উত্তেজনার ম্যাচ যে সেই উচ্চতায় পৌঁছলো না কোনও ভাবেই।

সিটির ছন্দ কাটল সিলভা চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতেই। তখন ম্যাচের বয়স সবে ৩৮ মিনিট। বেলের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে নেমে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন সিলভা। তাঁর জায়গায় কেলেচিকে নামিয়ে প্রতিপক্ষর রক্ষণে কামড়় দিতে চেয়েছিলেন পেলেগ্রিনি। কিন্তু কাজের কাজ হল না। বরং প্রথমার্ধে সিটির দুই মিডিও ফার্নান্ডো, ফার্নান্ডিনহোর ওঠা-নামা দেখে মনে হচ্ছিল আজ এই দুই ফলাই বেগ দেবে জিদানের ছেলেদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তেমন কিছু দেখা গেল না। বেলের কিছু ছন্নছাড়া শটে হালকা আশা জাগলেও হতাশ করল ৭১ মিনিটে যখন হার্টকে টপকে জেসের হেড ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে গেল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেঞ্জিমাকে তুলে তাঁকে নামিয়েছিলেন জিদান। সিটির দূর্গ রক্ষা করলেন জো হার্ট। না হলে একাধিক বার রোনাল্ডহীন রিয়েল আক্রমণেও বেরিয়ে পড়ে ছিল সিটি রক্ষণের অসহায়তা। রিয়েলের ফাঁক ফোকরও কি দেখতে পেলোন পেলেগ্রিনি?

রিয়েল মাদ্রিদ: নাভাস, কারভাজাল, পেপে, র‌্যামোস, মার্সেলো, মডরিচ, কাসেমিরো, ক্রুস (ইসকো), ভাজকিুইজ, বেঞ্জেমা (জেসে), বেল।

ম্যানচেস্টার সিটি: হার্ট সাগনা, ওটামেন্ডি, কম্পানী, ক্লিসে, ফার্নান্ডো, ফার্নান্ডিনহো, নাভাস (স্টার্লিং), সিলভা (কেলেচি), ব্রুয়েন, আগুয়েরো।

Champions League Manchester City
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy