Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

‘মায়াঙ্কের কাজটা কিন্তু বেশ কঠিন’

সম্প্রতি ভারতীয় দল নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। একটা নতুন প্রবণতা লক্ষ করছি যে, বিদেশে সিরিজ চলার সময় নির্বাচকেরা প্রতি দুই টেস্ট অন্তর দলে পরিবর্তন করছেন।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৮
Share: Save:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অ্যালবামে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ মানেই বিরাট একটা ব্যাপার। সব দল, ক্রিকেটার, কর্মকর্তারা এই টেস্টটার জন্য চিরকাল উন্মুখ হয়ে থাকে। যার মঞ্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এ বারের ‘বক্সিং ডে’ টেস্টটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অ্যাডিলেড আর পার‌্থ টেস্টের পরে সিরিজের ফল ১-১ থাকায় মেলবোর্নে এ বারের লড়াই ঘিরে উত্তেজনা চরমে। এখনকার অস্ট্রেলিয়া দলটাকে যতই দুর্বল মনে হোক, লড়াই ওদের রক্তে। পাশাপাশি আমাদের ছেলেরাও যে-কোনও চ্যালেঞ্জ সামালানোর জন্য তৈরি হয়েই আছে।

সম্প্রতি ভারতীয় দল নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। একটা নতুন প্রবণতা লক্ষ করছি যে, বিদেশে সিরিজ চলার সময় নির্বাচকেরা প্রতি দুই টেস্ট অন্তর দলে পরিবর্তন করছেন। আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে, এটা কতটা ভাল সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে যখন প্রস্তুতি ম্যাচের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তার উপর দুটো টেস্টের মধ্যে এখন ব্যবধান খুবই কম থাকে। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলিয়েই মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে নামানো হচ্ছে মেলবোর্নে। ওর কাছে বিরাট সুযোগ। ওর সাফল্যও কামনা করছি। কিন্তু মায়াঙ্কের জন্য কাজটা সহজ নয়। বিশেষ করে মেলবোর্নের উইকেটের চরিত্র অনেকটা বদলে যাওয়ায়। টেস্ট ম্যাচে সাধারণত টস জিতলে যে কোনও দলই প্রথমে ব্যাট করে নিতে চায়। আর যদি বুধবার ভারত প্রথমে ব্যাট করে, তা হলে একেবারে শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়বে মায়াঙ্ক।

আমার মনে হয়, ওপেনারদের নিয়ে সমস্যার সমাধান অন্য ভাবেও করা যেত। রোহিত শর্মাকে শুরুতে আনাই যেত। যদি আমি রোহিত হতাম, তা হলে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে গিয়ে সোজা বলতাম, ‘‘আমাকেই সুযোগ দেওয়া হোক।’’ মানছি ওর টেস্ট জীবনে ওঠা-নামা আছে। যদি শুরুর চাপটা ও সামলে নিতে পারত, তা হলে টেস্ট দলে অন্তত কিছু দিনের জন্য নিজের জায়গা পাকা করতে পারত।

মনে রাখতে হবে বীরেন্দ্র সহবাগ, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, মাইকেল ভনরা কেউই বিশেষজ্ঞ ওপেনার ছিল না। কিন্তু তিন জনই সফল। রোহিতেরও সেই ক্ষমতা আছে। নিঃসন্দেহে ও প্রতিভাবান। ওয়ান ডে-তে রোহিত নিয়মিত ওপেন করে। তাই এই জায়গাটায় খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। মানছি টেস্ট ক্রিকেটটা অন্য রকম খেলা। কিন্তু ওর মধ্যে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে।

আর অশ্বিনকে নিয়ে আমার উদ্বেগ রয়েছে। দলের প্রধান স্পিনার হয়ে ওঠার ক্ষমতা ওর আছে। কিন্তু বড় সফরে দেখছি বারবার চোট পাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও সেই একই ব্যাপার। বিপক্ষের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে ভীষণ ভাবেই ওকে দরকার। আপাতত যা খবর তাতে মনে হচ্ছে, মেলবোর্নেও ও খেলতে পারবে না।

আমি মনে করি, সিরিজে এখনও যে কোনও কিছু হতে পারে। আগেও বলেছি যে ভারতের টেস্ট সিরিজ জেতার ক্ষমতা আছে। এখনও একই কথা বলছি। মেলবোর্ন টেস্টে শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঘটনা যে পিচে ঘাস রেখে দিলে অস্ট্রেলিয়া সুবিধা পাবে। তাই টস এই টেস্টে একটা বিরাট ব্যাপার। কারণ ভারত বা অস্ট্রেলিয়া— কেউই খুব ভাল রান তাড়া করতে পারছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE