আই লিগ ডার্বি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সংশয় কাটাতে আজ মঙ্গলবার কলকাতায় যাচ্ছেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ। জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোগত বিষয়ের ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জরুরি তলবে তাঁর কলকাতা যাত্রা। এ কথা স্বীকারও করেছেন অরূপরতনবাবুও। কিন্তু কী বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে চায় লাল-হলুদ শিবির, তা খোলসা করতে চাননি তিনি। অরূপরতনবাবু বলেন, ‘‘আমি মঙ্গলবার কলকাতা যাব। বুধবারে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা। তবে কী নিয়ে আলোচনা তা আমার জানা নেই। বৈঠকের পরেই জানাতে পারব।’’ তিনি জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। খেলার আয়োজনে কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, স্টেডিয়ামের পরিকাঠামোর স্থায়ী পরিমার্জন করা সম্ভব না হলেও, আপাতত খেলার উপযোগী মাঠ তৈরি করতে কোনও সমস্যা নেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে অরুণাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির ক্রীড়া পরিষদ সচিবের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আয়োজন সংক্রান্ত কিছু ঘরোয়া আলোচনা রয়েছে।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ ও ফেন্সিং সরানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাজে ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ টাকার কাজের বরাত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় পূর্ত দফতর কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি। নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জেলাশাসক।
আগামী ২ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচের সূচি দেওয়া হয়েছে। ওই সময় যুব বিশ্বকাপের জন্য যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে কাজ শুরু হওয়ায়, বড় ম্যাচের জন্য ইস্টবেঙ্গলের হোম মাঠ হিসেবে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে চিহ্নিত করা হয়। পরে পরিকাঠামোর বিষয়ে সংশয় তৈরি হলে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাব তাদের প্রতিনিধি এবং অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের নিয়ে পরিদর্শনে আসে। স্টেডিয়াম দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আপত্তি জানান। সেগুলি ঠিক করে দেওয়া হলে ম্যাচ করতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানিয়ে দেন ফেডারেশনের কর্তারাও। এরপরেও বেশ কিছুদিন টালবাহানার পরে শেষ পর্যন্ত মার্চের প্রথম সপ্তাহে টেন্ডার করে ওয়ার্ক অর্ডার করে দেওয়া হয়। ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল সচিব মানস দে বলেন, ‘‘চলতি সপ্তাহে কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মাঠের ঘাস লাগানো হয়েছে। ক্রিকেট খেলার পিচ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ মাঠের ফেন্সিং সরানোর ফলে মাঠের পরিধি সামান্য ছোট হলেও তাতে খেলার কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানান মানসবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy