মণিপুর থেকে উঠে আসা অনেকেই ভারতীয় ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন। সে রেনেডি সিংহই হোক বা জেমস সিংহ। মাঝের তালিকাটা বেশ বড়। কিন্তু তিনি চেনেন না কাউকেই। বরং তাঁকে অনেকবেশি প্রেরণা দেন মেরি কম, সরিতা দেবীরা। যাঁদের হাত ধরে বিশ্ব ক্রিড়ায় দেশ গর্বিত হয়েছে। সেই মণিপুর থেকেই উঠে আসা ভারতীয় হকির আর এক নাম কোঠাজিৎ সিংহ। বেটন কাপ ফাইনাল শেষে কলকাতা সাইয়ে তাঁর নাম ঘোষণা হল টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার হিসেবে। দল জিতল, সেরাও হলেন তিনি। স্বভাবতই সব স্পটলাইট তখন তাঁরই দিকে। তবে অল্প কথার লাজুক ছেলেটির মুখে শোনা গেল তাঁর রাজ্যের মহিলা অ্যাথলিটদের নাম। বলেন, ‘‘আমি মেরি কম, সরিতা দেবীর জীবন থেকে প্রতি মুহূর্তে প্রেরণা নেই। ওদের মতো সবার জীবনেরই কিছু না কিছু গল্প রয়েছে। উত্থানের, সংগ্রামের গল্প। আমারও আছে। তবুও ওদের জীবন আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।’’
আরও খবর: ‘স্টিং অপারেশন কাকে বলে জানতামই না’
১২১তম বেটন কাপ চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। ভারত পেট্রোলিয়ামকে ৩-৫ গোলে হারিয়ে বেটন কাপ নিয়ে গেলেন দীপক ঠাকুর, প্রভজ্যোৎ সিংহরা। প্রথমেই পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ইন্ডিয়ান অয়েলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ড্র্যাগ ফ্লিকার গুরজিন্দর সিংহ। জোড়া গোল করেন তিনি। একটি করে গোল এসকে উথাপ্পা, দীপক ঠাকুর ও প্রভজ্যোৎ সিংহর। ভারত পেট্রোলিয়ামের হয়ে গোল করেন আমির খান, বরুণ কুমার ও হরমনপ্রীত সিংহ।’’ ইন্ডিয়ান অয়েলের এই সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা রেখে গেলেন কোঠাজিৎ। মাঝ মাঠ থেকে পুরো টুর্নামেন্টে পুরো দলকে পরিচালনা করলেন। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কোঠাজিৎ। এ ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২০১৪ এশিয়ান গেমসে সোনা। লখনউ-এর সাই থেকে উঠে আসা কোঠাজিৎ ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য। অফিস দলের হয়েও দাঁপিয়ে খেলে গেলেন বেটন কাপে।