ক্রিকেটও অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁকে। ক্রিকেটের হাত ধরেই এসেছে যশ, খ্যাতি ও অর্থ। ৩ বছর আগে আইপিএল নিলামের শিরোনামে ছিলেন সিরাজ। ২০ লক্ষ টাকা বেসপ্রাইস থাকা সিরাজকে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অটোচালকের সন্তানের আইপিএল নিলামের হাত ধরে ক্রিকেটের গলি থেকে রাজপথে উঠে আসার কাহিনি ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।
আরও এক বার সেই পেশাদারিত্বের পরীক্ষা দিতে হল সিডনিতে বসে। ২০২০ সালের অক্টোবরে তিনি সুযোগ পান অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে। গত ২০ নভেম্বর সিডনিতে অনুশীলনের পর প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহালির কাছে বাবার মৃত্যুর খবর শোনেন সিরাজ। করোনা অতিমারির ফলে কোয়রান্টিন নিয়মের কারণে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার।
একইসঙ্গে নিজেও অংশীদার হয়ে থাকলেন কুর্নিশযোগ্য পারফরম্যান্সের। প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার এলিট তালিকায় ঢুকে পড়লেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ২০০৪ সালে অভিষেক ম্যাচ খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেই ম্যাচে ২ ইনিংস মিলিয়ে তিনি নেন ৬ উইকেট। সিরাজ নিলেন ৫টি।
প্রথম ইনিংসে সিরাজের শিকার ছিলেন মার্নাস লাবুশানে এবং ক্যামরন গ্রিন। দ্বিতীয় ইনিংসে সিরাজ তুলে নেন ট্রাভিস হেড, গ্রিন এবং নাথান লায়নের উইকেট। মেলবোর্নে দ্বিতীয় ইনিংসে উমেশ যাদব মাত্র ৩.৩ ওভার বোলিং করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। ভারতের পেস অ্যাটাকের দায়িত্ব এসে পড়ে বুমরা এবং সিরাজের ওপর। তাঁদের গতি ও নৈপুণ্যই ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর। সিরাজ জানিয়েছেন, আইপিএল-এর সাফল্যই জাতীয় দলে খেলার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে তাঁকে।